১৭ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ১১:০৭

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত

জন আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গঠিত সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে

-মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পবিত্র মাহে রামাদান প্রতিবছর আমাদেরকে কুরআনিক মডেলের আলোকে সমাজ বিনির্মাণের ডাক দিয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মার এই দুর্দিনে এবারের রমাদান ভিন্ন বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে।”

১৬ মার্চ কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আয়োজনে মজলিসের শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারির সভাপতিত্বে ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার শহর আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সদর আমির অধ্যাপক খোরশেদ আলম আনসারী প্রমূখ।

মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “জন আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গঠিত সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ঘন্টায় ঘন্টায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশকে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়ে সরকার দলীয় লোকজন ফায়দা হাসিল করছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কারের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চরমভাবে উপেক্ষা করে জাতিকে ধীরে ধীরে ধর্মবিমুখ করছে। শিক্ষা নিয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যদি দেশবাসী সোচ্ছার ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে একদিন সবাইকে এর জন্য চরম মাসুল দিতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিন, মিয়ানমার, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে মজলুম অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ স্বার্থের আলোকে পলিসি নির্ধারণ করে বিশ্বকে বিভক্তি ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। গাজার ক্ষুধার্ত বনি আদম এর চিৎকার আজ বিশ্ববাসীর চোখে অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের প্রায় ১৫ লক্ষ মুসলিম জনগোষ্ঠী ভিটেবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়ে দাতা দেশের করুণার ওপর তাদের জীবন নির্ভরশীল করে রেখেছে। ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনের নামে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিতাড়নের ষড়যন্ত্র চলছে। মুসলিমরা এক উম্মাহর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিপরীতে ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের কাছে নিজেদের বন্দি রেখে বিচ্ছিন্নভাবে জীবন যাপন করার কারণে বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো শাসনের নামে শোষণ চালানোর সুযোগ পেয়েছে। এহেন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে কুরআনিক মডেলে সমাজ বিনির্মাণে নিঃস্বার্থ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পবিত্র মাহে রামাদান আমাদেরকে সেই কাঙ্ক্ষিত সমাজ বিনির্মাণের জন্য প্রতি বছরই তাগাদা দিয়ে যায়। মহাগ্রন্থ আল কোরআনই মানবতার মুক্তির একমাত্র পাথেয়।”