৯ মার্চ ২০২৪, শনিবার, ১০:০৬

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখা এবং দ্রব্যমূল্য ও ইফতার সামগ্রী জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক ৯ মার্চ সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে এবং রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য সরকার ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের গৃহীত ঐ প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, “এমনি এক দুঃসময় জাতি পবিত্র সিয়াম সাধনা করতে যাচ্ছে যখন দেশে চলছে স্বৈরাচারী দুঃশাসন, গ্রেফতার, জুলুম ও নির্যাতন। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ বহু নেতাকর্মীকে সরকার অন্যায়ভাবে জেলে আটক করে রেখে তাদের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে তাদের অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া হচ্ছে। পবিত্র রমজানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধী দলের সকল রাজবন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে মুক্ত পরিবেশে সিয়াম সাধনার সুযোগ দেয়ার জন্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করছে যে, চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, মাছ, গোশত, তরি-তরকারির দাম সরকারি দলের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এতটাই অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে যে, তা দরিদ্র জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। ফলে দরিদ্র লোকদের একবেলা পেট ভরে খাবার জুটছে না। এ অবস্থায় রমজানের সিয়াম পালন করা তাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।

এক কেজি চাউলের দাম প্রকার ভেদে ৬০ থেকে ৯৫ টাকা, সয়াবিন তেল ১৬৮ থেকে ১৭২ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গরুর গোশত ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, খাসির গোশত ১,১০০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকা। ইফতার সামগ্রী খেজুর প্রকারভেদে ৪০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত, মুরগী ৩৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। ছোলা ১১০ থেকে ১২০ টাকা, মসুর ডাল ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। এ অবস্থায় দরিদ্র মানুষ কিভাবে রমজান পালন করবে? তারা কীভাবে ইফতার ক্রয় করবে? এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের ব্যাপারে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। কারণ বর্তমান সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত অবৈধভাবে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ উদ্বেগের সাথে আরও লক্ষ্য করছে যে, দেশে ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, মাদকাশক্তি ও বেহায়াপনা দ্রুত গতিতে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। জনগণ যাতে একটি পবিত্র পরিবেশে সিয়াম পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে ঘুষ, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ, মাদকাশক্তি ও বেহায়াপনা বন্ধ এবং দিনের বেলা হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দ্রব্যমূল্য ও ইফতার সামগ্রী জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সরকার ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে এবং পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানাচ্ছে।”