৮ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ৬:৫৬

টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এই পৃথিবীতে সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হচ্ছে আল্লাহ তায়া’লার দুনিয়ায় তাঁর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “আল্লাহ তায়া’লা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এজন্য তিনি মানুষের কাছ থেকে দ্বীনে হকের জন্য খেদমত করিয়ে নিতে চান। আল্লাহ তায়া’লা মানুষকে ইবাদতের জন্য এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যেন আমরা দুনিয়ায় ইবাদত সফলভাবে করব এবং পরকালের পুরস্কার পাবো। আর এই পৃথিবীতে সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হচ্ছে আল্লাহ তায়া’লার দুনিয়ায় তাঁর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা।”

৮ মার্চ জুমা’বার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমীর আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী।

মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “আল্লাহ তায়া’লা মানুষকে সর্বোত্তম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে, মানুষ মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখবে। দ্বীনের কাজ মানুষকে পরিপূর্ণভাবে করতে হবে। আংশিক করলে কাজ হবে না। অর্থাৎ পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে মেনে চলতে হবে আর জীবনের কোন অবস্থাতেই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করা যাবে না। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে মেনে আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে হবে। আল্লাহ তায়া’লা যখন রূহ সৃষ্টি করলেন তখন প্রত্যেক রূহ থেকে তিনি ওয়াদা গ্রহণ করেছিলেন, ‘আমি কি তোমাদের রব নই? তখন সকল রূহ বলেছিল হ্যাঁ, আপনি আমাদের রব।’ ঠিক তেমনি আমরা রূহের জগতে যখন আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছি সে ওয়াদার পরিপূর্ণতার জন্য পৃথিবীতে এসে আমরা রুকনিয়াতের শপথ করলাম। আর এই শপথ রক্ষার জন্য আমাদেরকে দুনিয়ার সকল কাজকে গৌণ করে শপথের আলোকে জীবনটাকে মুখ্য করে অর্থাৎ এক নাম্বারে আনতে হবে। এতেই আমরা দুনিয়া এবং আখরাতে কামিয়াব হতে পারব।”

তিনি আরো বলেন, “দুনিয়াতে মানুষকে খাওয়া-দাওয়া ফুর্তি করার জন্য পাঠানো হয়নি। একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের জন্য দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে মানুষকে। তাই এর আলোকেই আমরা শপথ নিয়েছি। যুগে যুগে পূর্বের সকল নবীগণ তাদের উম্মতদেরকে এই শপথ দিয়েছিলেন। এই কাজের পরিপূর্ণ বিধান করেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা) এবং তিনিও সাহাবায়ে কেরামদেরকে এই শপথ দিয়েছিলেন। রুকনিয়াতের শপথ থেকে জামায়াতে ইসলামের কর্মীরা আলাদা হতে পারে না। শপথ হচ্ছে গায়ের চামড়ার মত। এটা কোন পোশাক নয় যে ইচ্ছা হল পড়লাম ইচ্ছে হল খুলে ফেলে দিলাম। আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে শপথের আলোকে জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।”