৭ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:০৯

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, "দেশ আজ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সমগ্র দেশটাই আজ এক বিশাল কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে উত্তরণ করতে হলে রুকনদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগের নজরানা পেশ করতে হবে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।”

৬ মার্চ বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আয়োজিত ভার্চুয়ালি সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জনাব আলাউদ্দিন সিকদারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব আব্দুর রব, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী প্রমূখ।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “জামায়াতের সদস্য (রুকন) ভাই বোনদের ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মজলুম মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে আসতে হবে। একজন মুমিনের দুনিয়ায় জীবনের সাফল্যের চাইতে আখেরাতের জীবনের সাফল্য অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মুসলমানের দুনিয়াবি সম্পদের চেয়ে ঈমান ও আমলের সম্পদ অনেক বেশি মূল্যবান। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা কষ্ট পেলে, জেল-জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হলে দুঃখ পাবার কিছু নেই বরং এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়া'লা আমাদের ক্ষমা করবেন, আমাদের মাফ করবেন।”

তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সাধারণ মানুষের দু'বেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকা অনেক কষ্টকর। এর উপর কয়েক দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে টাকার মূল্যমান অনেক কমে গিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে খুব দ্রুতই দুর্ভিক্ষ আসতে বাধ্য।”

মাওলানা এটিএম মা'ছুম বলেন, “আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই হতে হবে আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করতে হবে। রুকনিয়াতের শপথের সময় আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। এই প্রতিশ্রুতি লংঘন করলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।”

মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, “আমাদের রুকন ভাই বোনদের ঈমানি বলে বলিয়ান হয়ে কঠিন ময়দানে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যে শপথ নিয়েছি সে শপথে আল্লাহর অনুগ্রহ রয়েছে। মহান আল্লাহ তায়া'লা মেহেরবানী করে তাঁর দ্বীনের জন্য আমাদের বাছাই করে নিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই এ সৌভাগ্যকে মনে রেখে শহীদি ময়দানের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।”