১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শনিবার, ১০:৫৬

পবিত্র মেরাজ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মেরাজের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার মুক্ত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

-মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “বর্তমান সময়ের অশান্ত পৃথিবীকে শান্তির পয়গাম দিয়ে যায় রাসূলের (সা.) এর পবিত্র শবে মি‘রাজ। মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী আমরা যদি ভালোভাবে দেখি এটা স্পষ্ট হয় যে, মহান আল্লাহ তাকে সশরীরে পরিভ্রমণ তথা মিরাজে নিয়ে গিয়েছেন। কুরআনেও বলা হয়েছে তাকে রাত্রে ভ্রমণ করানো হয়েছে।

১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার পবিত্র মিরাজুন্নবী (সা:) উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত মহানগরীর আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “এই মিরাজের আলোচনায় আমরা যা অর্জন করলাম তা যদি আমাদের ব্যক্তি জীবনে এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনে বাস্তবিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তবেই আজকের আলোচনা সভা স্বার্থক হবে। আল্লাহর রাসূল (সা:) যখন একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছিলেন, ঠিক সেই সময়ে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মিরাজ সংঘটিত হয়। লক্ষ্য ছিল আকাশ ও ভূ-মণ্ডলের নির্দেশনাবলী রাসূল (সা:)-কে দেখানো।

কুরআনে বর্ণিত ১৪ দফার অন্যতম একটি দফা হচ্ছে, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা যাবে না। আজ বাংলাদেশে জায়ামাতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতাদেরকে বিচারের নামে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এই জালিম সরকার হত্যা করেছে। আল্লাহ অবশ্যই এর সঠিক বিচার করবেন, ইনশাআল্লাহ।” তিনি মেরাজের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার মুক্ত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

মহানগরী আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “সমাজের সকল স্তরে আল্লাহর দাসত্ব প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সমাজে এত অশান্তি। আল্লাহ তায়ালা যা নির্দেশ দিয়েছেন, তার বিপরীত করা হচ্ছে। সুদকে হারাম করেছেন, তা এখন বৈধ। বরং সুদ না দিলে মামলা হয়ে যাচ্ছে। রাসূল (সা.)-কে আল্লাহ মিরাজের রাতে অগ্রিম কিছু দৃশ্য দেখিয়ে দিয়েছেন।”

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. আবু বকর রফিক বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। ওহী প্রাপ্ত হয়ে তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতেন। মিরাজের বিষয়টি ইসলামের ইতিহাসে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। সেইদিন হাদিয়া স্বরূপ উম্মাহর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। যা যথাযথভাবে আদায় করা জরুরি।”

মহানগরীর নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম বলেন, “মেরাজের ঘটনা আমাদের কাছে অনেক শিক্ষনীয়। যেহেতু দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা এবং সকল সৌভাগ্য রাসূল (সা:) এর অনুসরণের মধ্যেই নিহিত। কাজেই সকল ক্ষেত্রে আমাদের রাসূল (সা:) এর অনুসরণ করতে হবে “

অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ আবু নোমান বলেন, “রাসূল (সা:) এর মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক মোজেজা। আমরা তার সিরাত থেকেই তা অনুধাবন করতে পারি। সেই রজনীতে জান্নাত জাহান্নামীদের অবস্থা সচক্ষে দেখানো হয়েছে।”

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি, জনাব মুহাম্মদ উল্লাহ, এফএম ইউনুছ, মোঃ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।