১ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ৩:৩১

নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্যে শিক্ষার্থীগণের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা এবং যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

গত ২৯ জুলাই ঢাকা মহানগরীর বিমান বন্দর সড়কে বাসের চাপায় ২ জন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিকভাবে নিহত এবং ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ও এ সম্পর্কে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরূপ মন্তব্যে শিক্ষার্থীগণের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা এবং যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১ আগস্ট ২০১৮ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ২৯ জুলাই ঢাকা মহানগরীর বিমান বন্দর সড়কে বাসের চাপায় ২ জন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিকভাবে নিহত এবং ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ও এ সম্পর্কে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরূপ বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা এবং যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

আমরা দীর্ঘদিন থেকেই লক্ষ্য করে আসছি যে, বাস চাপায় একের পর এক ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ মর্মান্তিকভাবে নিহত হচ্ছে। আবার কখনো দেখা যাচ্ছে দুই বাসের পাল্লা দেয়ার কারণে হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাত্রী নিহত হচ্ছে। কিন্তু দোষী বাস চালকদের কোন শাস্তি হচ্ছে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ার কারণেই বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা বন্ধ করার জন্য সরকার কোন কার্যকর পদক্ষেপই নিচ্ছে না। দু’জন শিক্ষার্থী মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ার পরে নৌপরিবহন মন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্ত্রীর এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য কারো কাম্য নয়।

২জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় শিক্ষার্থীগণের মধ্যে ক্ষোভ ও আবেগ সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। সরকারের উচিত ছিল তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা প্রশমনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু সরকার তা না করার কারনে ক্রমেই অবস্থার অবনতি ঘটছে। সরকারের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের মনের ভাষা বুঝতে চরমভাবে ব্যার্থ হয়েছে। জনসমর্থনহীন এ অবৈধ সরকার সকল ক্ষেত্রেই বল প্রয়োগ করছে এবং নাগরিকদের ন্যায্য দাবীকে দমিয়ে রাখার অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য দাবীর প্রতি সম্মান দেখানোর পরিবর্তে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে লাঠি-পেটা করে সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। ইতিহাস সাক্ষী ছাত্র সমাজ কোন ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলে তখন সে দাবী আদায় করেই ঘরে ফিরে। তাই সরকারের দমননীতির মানসিকতা ত্যাগ করে সুষ্ঠু ধারায় ফিরে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য দাবী অবিলম্বে মেনে নেয়া উচিত।  

বিমান বন্দর সড়কে বাস চাপায় দু’জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ৯ দফা ন্যায্য দাবী মেনে নেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”