১২ মে ২০১৮, শনিবার, ৩:৪৮

রমযানকে সামনে রেখ নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের মদদপুষ্ট এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী দায়ী

আসন্ন পবিত্র মাহে রমযানকে সামনে রেখে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১২ মে, ২০১৮ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আসন্ন পবিত্র মাহে রমযানকে সামনে রেখে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সম্প্রতি দু’সপ্তাহের ব্যবধানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

আসন্ন পবিত্র মাহে রমযানকে সামনে রেখে চাল, ডাল, চিনি, ছোলা, পিঁয়াজ, রসূন, মশলা, তরি-তরকারী, গোস্তসহ সকল দ্রব্যের মূল্যই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। চাউলের দাম প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। একেবারে নিম্ন মানের যে চাউল ছিল প্রতি কেজি ৪৩ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭/৪৮ টাকা দরে। বর্তমানে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল প্রতি কেজি ৩০/৩২ টাকা। চিনি প্রতি কেজি বর্তমানে বিক্রয় হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। অথচ এক সপ্তাহ পূর্বে প্রতি কেজি বিক্রয় হত ৫৭ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে। ফার্মের মুরগীর দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা হারে বেড়ে বর্তমানে ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।

টমেটো, লাউ, চিচিঙ্গা, কাকরোল, করলা, বেগুন, পোটল, ঢেঁড়শ, বরবটি, পেঁপে ইত্যাদি সকল প্রকার তরিতরকারীর দাম প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যে পেঁপের দাম দু’সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ছিল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, তা বর্তমানে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। যে বেগুন এক সপ্তাহ আগে বিক্রয় হতো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, তা বর্তমানে বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। অবস্থা দেখে মনে হয় বাজার দরের উপর সরকারের কোনই নিয়ন্ত্রণ নেই এবং এ নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যথাও নেই।

বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কারণেই জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা দেখে তারা না দেখার ভান করছে। তারা জনগণের উপর অনির্বাচিত স্বৈরাচারী শাসন চাপিয়ে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত রয়েছে। জনগণের সমস্যা নিয়ে তাদের ভাবনা-চিন্তা করার ফুরসত নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের মদদপুষ্ট এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না।

আসন্ন পবিত্র মাহে রমযান মাসে যাতে দেশের জনগণ শান্তিতে রোজা পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”