১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৯:৫৫

৪৬ তম মহান বিজয় দিবস পালিত

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপি দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, মহান মুক্তিসংগ্রাম ও বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এই অর্জন কোন দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির অর্জন ছিল না বরং এই তা ছিল দলমত, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের কাঙ্খিত সাফল্য। তাই মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীরদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও মহান বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করতে হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।

তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, আশরাফুল আলম ও ছাত্রনেতা গোলাম মর্তুজা প্রমূখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, অনেক ত্যাগ-কোরবানী ও রক্তের বিনিময়ে গণমানুষের বিজয়ের আকাঙ্খা বাস্তবরূপ লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এই জনপদের মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্খা দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তারা যুদ্ধ করেছেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ও পাকিস্তানের জালিম শাসকদের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার সংগ্রামের এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব শহীদ সিরাজউদ্দৌলা, শহীদ মীর নিসার আলী তিতুমীর, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেক মহান নেতা। মূলত স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও কঠিন হলো স্বাধীনতা রক্ষা এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের বিভেদের রাজনীতির কারণে আমরা আজও সে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি।

তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক, সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সমাজই স্বাধীনতার ইপ্সিত লক্ষ্য। কিন্তু মহল বিশেষের ক্ষমতালিপ্সা, অপরাজনীতি ও অহমিকার কারণে সে প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে যখন পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করা উচিত ছিল তখন ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য তাদের সকল শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়েছে। তারা সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। The Newspaper (Announcement Of declaration) Act-1975 মাত্র ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ব পত্রিকা বাদে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তদানীন্তন সরকার এই এ্যাক্ট পাসের আগেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে আসছিলো। ১৯৭৩ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক গণকণ্ঠ সম্পাদক আল মাহমুদ অভিযোগ করেছিলেন, ‘গণকন্ঠ অত্যন্ত বেআইনিভাবে বন্ধ করিয়া দেওয়ার ফলে তথাকার পৌনে তিনশ’ সাংবাদিক ও কর্মচারী বেকার হইয়া পড়িয়াছেন। সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মুহূর্ত মাত্র সময় না দিয়া অফিস হইতে কাজ অসমাপ্ত রাখা অবস্থায় বাহির করিয়া দেয়া হইয়াছে’। যা ছিল মহান স্বাধীনতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড জনজীবনকে আতঙ্কগ্রস্ত করে রেখেছে। রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হলেও সরকার জনগণকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমনকি রাজনৈতিক দলের ঘরোয়া বৈঠকগুলোকে কথিত গোপন বৈঠক আখ্যা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় বয়োবৃদ্ধ রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ সহ জামায়াতের শীর্ষনেতাদের ঘরোয়া বৈঠক থেকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় রিমান্ডের নামে তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। যা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি সরকারকে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে আমীরে জামায়াত সহ জামায়াতের শীর্ষনেতারে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মহানগরী দক্ষিণের আমীর (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোআ মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য এডভোকেট জসীম উদ্দিন তালুকদার, মজলিশে শুরা সদস্য শামীমুল বারি, জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম, আবুবকর সিদ্দিক ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুল আলম ইমন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

ড. হেলাল সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্য মহান স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হলেও প্রতিহিংসা ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। দল-মত, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে মুলত সুখী, সমৃদ্ধ ও সপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে সকলকে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ও বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।

তিনি আরোও বলেন, মহান বিজয় দিবসের এই দিনে জাতি গর্বিত ও আনন্দিত। কিন্তু সরকারের অপ-রাজনীতি ও ভ্রান্ত নীতির কারণেই সে আনন্দ আজ অনেকটাই ম্লান । বর্তমান সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার কথা বললেও তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে আমাদের সার্বভৌমত্ত আজ হুমকির সম্মুখিন। সীমান্তে নিয়মিত ফেলানীদের লাশ ঝুলছে, রোহিঙ্গা সংকট মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে পেয়াজ সহ নিত্য পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছে। অথচ সরকার এর কোন সমাধান করতে পারছে না। স্বাধীনতার মূল চেতনা হলো গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, ইসলামী মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার হলেও আজ এসব সম্পূর্নভাবে উপেক্ষিত এবং বিজয়ের আনন্দকে কলঙ্কিত ও মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত করছে।

ড. হেলাল আরোও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। সরকার মানুষের সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করে গণনির্যাতন চালিয়ে দেশকে নরকে পরিণত করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে বিকিয়ে দেয়ার জন্যই আওয়ামী সরকার জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটক রেখেছে। এ দেশের জনগণ জীবন দিয়ে হলেও সরকারের দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখবে। অবিলম্বে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে তারা সরকারের প্রতি আহবান জানান।

আলোচনা সভা শেষে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশ-জাতির সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় জামায়াতের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নিউমার্কেট : মহান বিজয় দিবস নিউমার্কেট থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর মাওলানা মহিব্বুল হক ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোআ মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট বদরুল আলম, শাহিন শিকদার, এডভোকেট জামীল খান, এডভোকেট এল ইউ মাজেদ, কাজী আজিজুল হক সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

চকবাজার : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চকবাজার থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মুরাদ খান শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোআ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা আমীর মুহাম্মদ আল আমীন। দোআ পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর কাদের। আরোও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মু. আব্দুর রহমান, মুরাদ হোসেন, আবু হানিফ, জহির আহম্মদ, মাওলানা মোহাম্মাদ মোকসেদ উল্লাহ, আব্দুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

খিলগাঁও : খিলগাঁও থানার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগরী দক্ষিণেরর মজলিশে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আবু সালেহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা সেক্রেটারি এস এম জুয়েল, আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ সারোয়ার, মোহাম্মদ শিবলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

শাহজাহানপুর : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শাহজাহানপুর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মুহসিনুল কবির, সারোয়ার জাহান, মাহমুদুর রহমান, আব্দুল আওয়াল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

যাত্রাবাড়ী পশ্চিমঃ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যাত্রাবাড়ী পশ্চিম থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত নেতা নাহিদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাদেক বিল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর এমদাদুল হক। আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মুনির হোসাইন, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সিলেট মহানগরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগরীর নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন বলেছেন- ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস জাতির জন্য এক গৌরবোজ্জল প্রেরণার দিন। একাত্তরের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নেয়। আমাদের বিজয়ের চেতনা ঐক্যের। কিন্তু একটা গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে স্বাধীনতার পক্ষের-বিপক্ষের শক্তির ধুয়া তুলে জাতিকে বিভক্ত করতে চায়। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবেনা। মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের দিন শেষ হয়ে গেছে। কোন গোষ্ঠীর অবৈধ ক্ষমতা লিপ্সার কারনে আমাদের মহান বিজয়ের গৌরবোজ্জল অর্জনকে বিসর্জন করার যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশপ্রেমিক জনতাতে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের মহান বিজয়ের লক্ষ্য শুধু একটি ভুখন্ড নয় সর্বক্ষেত্রে মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আর এই মহান বিজয়ের জন্য দেশপ্রেমিক জনতার সংগ্রাম আজো চলছে এবং বিজয়ের সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছার পুর্ব পর্যন্ত এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। ৭১-এ দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রাম করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে যে জাতি যেমন বিজয় অর্জন করতে পেরেছে। জাতির ক্রান্তিলঘ্নে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার এই আন্দোলনেও এই মুক্তিকামী জনতার এই বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা।

তিনি আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ড. নুরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো: ফখরুল ইসলাম, অফিস সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত ও মু. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মুল করতে তারা রাষ্ট্র শক্তিকে ব্যাবহার করছে। জনগণের কল্যানের চিন্তা বাদ দিয়ে তারা জনভোগ সৃষ্ঠিতে মেতে উঠেছে। দেশে আইনের শাসন নেই, সকল ক্ষেত্রে মানবাধিকার লংঘনের মহোৎসব চলছে। গুম আতংকে দেশবাসী আজ উদ্বিগ্ন। খুন, গুম, গণগ্রেফতার আতংকে জাতি আজ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় মহান বিজয় দিবস-এর আয়োজন জাতিকে অবৈধ বাকশালীদের হাত থেকে মুক্তির জন্য প্রেরণা জোগাবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে গনতন্ত্র পনুরদ্ধার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আর এক্ষেত্রে গনমানুষের প্রানপ্রিয় ও দায়িত্বশীল কাফেলা হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করতে হবে।

এছাড়াও, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, কুমিল্লা, নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাদপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, যশোর, বাগেরহাট, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, নরসিংদী, পাবনা, ফরিদপুর, জামালপুরসহ দেশের আরো বিভিন্ন জায়গায় দোয়া মাহফিল করেছে জামায়াত।