১৩ আগস্ট ২০২১, শুক্রবার, ১২:০০

গণমুখী দাওয়াত ও সামাজিক কাজের মাধ্যমে জামায়াত দেশে গণভিত্তি রচনা করতে চায়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক ও গণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। সমাজসেবা ও মানবসেবার মাধ্যমে জামায়াত ইতোমধ্যে দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। সমাজ সংস্কারের জন্য গণভিত্তির প্রয়োজন। ব্যাপক ও গণমুখী দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে জামায়াত সেই গণভিত্তি রচনা করতে চায়।

১৩ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখা কর্তৃক ভার্চুয়ালি আয়োজিত ষান্মাসিক সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা জেলা উত্তর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আফজাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ শাহাদাত হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল উত্তরের অন্যতম টিম সদস্য জনাব আবুল হাসেম।

প্রধান অতিথি বলেন, সদস্যরা সংগঠনের পিলার বা খুঁটি। খুঁটি যেমন ঘরকে দাঁড় করিয়ে রাখে তেমনি সদস্যরাও সংগঠনকে সঠিক মানের উপর টিকিয়ে রাখেন। জামায়াতের সদস্যরা একদিকে যেমন নিজেদের পরিবারের দায়িত্ব নিজেরা কাঁধে তুলে নিবেন, পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বও কাঁধে তুলে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করবেন। কুরআন-হাদীস ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়নের মাধ্যমে সে কাক্সিক্ষত যোগ্যতা অর্জিত হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, জামায়াত যোগ্য মানুষ তৈরির জন্য ক্যাডার ভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তুলেছে। জামায়াতের সদস্যরা হলেন সংগঠনের মূল ও পরীক্ষিত শক্তি। তিনি সদস্যদেরকে ইঞ্জিনের সাথে তুলনা করে বলেন, জামায়াতের সদস্যরা ট্রেনের ইঞ্জিনের ন্যায়। ইঞ্জিন স্বচালিত এবং অসংখ্য বগিকে টেনে সামনে নিয়ে যায়। তেমনি সদস্যরা হবেন স্বচালিত এবং তারা সমাজের সব স্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে দীন বিজয়ের জন্য কাক্সিক্ষত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের সদস্যদেরকে নৈতিকতার ব্যাপারে আপোষহীন হতে হবে। ওয়াদা পূরণ, বিশ্বস্ততা, দায়িত্ব পালন এবং অধিকার আদায়ে তারা হবেন অনুকরণীয়। আল্লাহর রাস্তায় খরচের বিষয়ে তারা স্বতঃস্ফুর্ত হবেন।  সমাজের মানুষের জন্য তারা হবেন আলোকিত। ইসলামী আন্দোলনে ত্যাগ-কুরবানী স্বাভাবিক বিষয়। আমাদের শহীদ এবং আহত পঙ্গুত্ববরণকারী ভাইয়েরা ত্যাগ-কুরবানীর জীবন্ত উপমা রেখে গেছেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য আবুল হাশেম বলেন, সাংগঠনিক কাজে সদস্যদের ওজর পেশ করার কোনো সুযোগ নেই। বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা জেলা উত্তর আমীর মাওলানা আফজাল হোসাইন বলেন, জামায়াত একটি গতিশীল সংগঠন। সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যে আদর্শিক চিন্তা লালন করেন বাস্তব কাজের মাধ্যমে ময়দানে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।