১১ আগস্ট ২০২১, বুধবার, ১১:০৭

রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

করোনাকালিন দুর্যোগ সময়ে অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবেঃ ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে ১০ ও ১১ আগস্ট উপজেলা আমীর, নায়েবে আমীর ও সেক্রেটারিদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী ভার্চুয়ালি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বেলালের সঞ্চালনায় দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এম.পি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যথাক্রমে মাওলানা এ.টি.এম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও জনাব এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বিষয় ভিত্তিক আলোচনা উপস্থাপন করেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টীম সদস্য আজিজুর রহমান সরকার, আফতাব উদ্দিন মোল্লা, মাওলানা আব্দুল খালেক, ডা. আব্দুর রহীম সরকার, এড. আব্দুল বাতেন সহ জেলা ও মহানগরী আমীরবৃন্দ।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন-
আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করবেন, এটা আল্লাহর ওয়াদা। তবে তার আগে আমাদের নিজেদের তৈরি হতে হবে। প্রতিটি হালাল-হারামের বিষয়ে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমাদের কাজের দুর্বলতাগুলো চিহ্্িনত করে তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। মজলুমদের পাশে দাঁড়াতে হবে। উপজেলা হলো ইউনিটের কেন্দ্র। মূল দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। দায়িত্বশীলদের তাদের দায়িত্বের মর্যাদা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। দায়িত্বশীল হিসেবে পরিবার, সমাজ, সংগঠন সকলের সাথে সুন্দর আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে। দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় মহিলােিদর উৎসাহমূলক সহযোগিতা করতে হবে। করোনাকালীন দুর্যোগ সময়ে অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং আক্রান্ত মানুষকে সেবা দিতে হবে। করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ভাইদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

কর্মশালার ডেলিগেইটদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বক্তব্যে বলেন-
স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং পরিচালনার যোগ্যতা আছে এমন জনশক্তি বৃদ্ধি ও লালন করতে হবে। নিজেদের মান সংরক্ষণ ও তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে। কথা ও কাজের গরমিল পরিহার করতে হবে। আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। জ্ঞানগত যোগ্যতাকে বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন সভাপতি ও সেক্রেটারিকে মান উন্নয়েিনর আওতায় আনতে হবে। শপথের আলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইসলামের মৌলিক জ্ঞান অর্জনে আরও সক্রিয় হতে হবে। এ ছাড়াও দায়িত্বশীলগণকে সংগঠনের প্রতিটি স্তর ও বিভাগ সচল রাখার জন্য আরো ভূমিকা রাখতে হবে। পরিবেশ অনুযায়ী দ্বীনি চাহিদা পূরণে যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। রাজনৈতিক ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে আরো দক্ষ হতে হবে।