৫ মে ২০১৯, রবিবার, ১১:০৮

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে পবিত্র মাহে রমাদান

মাহে রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা এবং তাক্বওয়া ভিত্তিক আত্ম-গঠন, চরিত্র ও সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা চালাবার আহবান

মাহে রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা এবং তাক্বওয়া ভিত্তিক আত্ম-গঠন, চরিত্র ও সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা চালাবার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৫ মে ’১৯ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-

“রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আমাদের সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমাদান। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘এ মাসের প্রথম অংশ রহমতের, মধ্যবর্তী অংশ মাগফিরাতের ও শেষ অংশ নাজাতের।’ এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর একটি বরকতময় রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি ফরজ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; আর ১টি নফল কাজের আঞ্জাম দিলে ১টি ফরজ কাজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাস সবর ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীলতার মাস। এ মাসটি পূর্ণ মর্যাদাসহকারে পরিপূর্ণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

পবিত্র এ রমাদান মাস কুরআন নাজিলের মাস। কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনকে সঠিকভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমাদান মাসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব। কুরআন থেকে হেদায়াত লাভের জন্য যে মন-মানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তায়ালা মাহে রমাদানের সিয়াম পালনকে আমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। এক মাসব্যাপী সিয়াম পালনের মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

আল্লাহর বিধান না মানার কারণেই সমাজে বেহায়াপনা, ঘুষ, দুর্নীতি, শোষণ, জুলুম, নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন এবং মাদকাসক্তিসহ নৈতিক অবক্ষয় ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে। যে কারণে মানুষের উপর আল্লাহর গজব-আজাব আসছে। সকল পর্যায়ে আল্লাহর বিধান মেনে চললেই সমাজ থেকে সকল প্রকারের পাপাচার-অপরাধ দূর হবে এবং আল্লাহর গজব-আজাব থেকে মানুষ রেহাই পাবে।

রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধ করার দায়িত্ব প্রধানতঃ সরকারের। আমরা সরকারকে এ সব বন্ধের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। উপরন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসা এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করে মানুষের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সিয়াম পালনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রেখে অধিক মুনাফা লাভের মানসিকতা পরিহার করার জন্য আমি দেশের ব্যবসায়ী মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং দেশ থেকে জুলুম-নির্যাতনের অবসান, দেশের জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করছি।”