সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপির মহাসমাবেশে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামার মুক্তি এবং জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃতীয় দফায় ৮ নভেম্বর দেশব্যাপী জামায়াতের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই নিকটবর্তী হচ্ছে সরকার ততই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর তাদের জুলুম-নির্যাতন বাড়িয়ে দিচ্ছে। দেশব্যাপী বিরোধী মতের লোকজনকে গণহারে গ্রেফতার ও হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার লংঘন অহরহ ঘটছে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও অফিস থেকে সাদা গাড়িতে করে লোকজনকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছে না।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার তার ক্ষমতাকে আর দির্ঘায়িত করতে পারবেনা। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি আদায় করা হবে ইনশাআল্লাহ। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
৮ নভেম্বর নিম্নোক্ত শাখাসমুহে অবরোধ ও বিক্ষোভের কর্মসূচী পালিত হয়
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ, ঢাকা মহানগরী উত্তর, চট্টগ্রাম মহানগরী, গাজীপুর মহানগর, রাজশাহী মহানগরী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, সিলেট মহানগর, ময়মনসিংহ মহানগর, ভোলা জেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, গাজীপুর জেলা, রাজশাহী জেলা পূর্ব, নারায়ণগঞ্জ জেলা, কুমিল্লা জেলা উত্তর, চাপাইনবয়াবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ, ঢাকা জেলা উত্তর, রাজশাহী জেলা পূর্ব, রংপুর, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, বগুড়া শহর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া পশ্চিম, মেহেরপুর, যশোর শহর, দিনাজপুর জেলা দক্ষিণ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচী পালিত হয়।