আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর শাপলা চত্ত্বরে মহা-সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন উপ-কমিটি’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি শ্রমিক নেতা মুহিবুল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দেশের সংবিধান মোতাবেক আমরা সকল কর্মসূচী পালনের অধিকার রাখি। ক্ষমতাসীনদের দীর্ঘ পনের বছরের দুঃশাসনে দেশের জনগণ চরম অতিষ্ঠ। চাল, ডাল, তৈল, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ গ্যাস সবকিছুর মূল্য আকাশচুম্বি এবং তা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। দেশের মানুষের জীবনযাত্রা আজ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় আমরা জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী ২৮শে অক্টোবর শনিবার দুপুর ২টায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিশৃংখলা চাই না, শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি। মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব এটা সচেতন দেশবাসী মনে করে।
তিনি আরও বলেন, ভোট ডাকাতি, দখলদারী, গুম, খুন, দুঃশাসন এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশ গভীর সংকটে পড়েছে। দেশের মানুষ এই ব্যর্থ সরকারের কবল থেকে মুক্তি চাই, জনগণ জুলুমবাজদের কবল থেকে মুক্তি চাই। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আজ দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। শুধু তাই নয় গোটা বিশ্ব আজ আওয়ামী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। রাজপথের কর্মসূচিতে সরকারের বাঁধা আছে কিনা তাও এখন আন্তর্জাতিক বিশ্ব জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আজ সকলেই বুঝে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের অধিনে এদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতায় আজকে পুরো জাতির উপরে স্যাংশন, ভিসা নীতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।
তিনি আরও বলেন, জনগণের মুক্তির জন্য, দেশকে অপশাসন ও দুঃশাসন হতে মুক্ত করতে আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার জামায়াতের মহা-সমাবেশ। যে শাপলা চত্ত্বরে বাংলাদেশের মুসলিম তৌহিদী জনতার পবিত্র রক্ত মিশে আছে। সেই পবিত্র স্থানেই আমরা সমাবেশ করতে চাই। ফলে ইসলাম, মানবতা এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই সমাবেশকে একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ধৈর্য এবং শৃঙ্খলার চরম উদাহরণ পেশ করে মাথা ঠান্ডা রেখে সব ধরনের পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা করতে হবে। কুচক্রী মহলের ফাঁদে পা দিয়ে কারো সাথে কোন ধরনের ঝামেলায় জড়িত হওয়া যাবেনা।
সর্বোপরি মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে শৃঙ্খলার সাথে মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি নগরবাসীকে সাথে নিয়ে দলে দলে মহা-সমাবেশে যোগদান করার জন্য উদাত্ত্ব আহ্বান জানান।