চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিনসহ ৬ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ১১ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন জেলখানার সামনে থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাসুম বিল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা পৌর আমীর এড. হাসিবুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মহসিন আলী ও ড্রাইভার মিনারুল ইসলাম রিপনকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একটি বৈধ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার চরম অন্যায়, অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। আমি এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের শতশত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদেরকে বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও শিশুদের নাজেহাল করা হচ্ছে। পুরনো রাজনৈতিক সাজানো মামলাগুলো সচল করে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দ্রুত সাজা দেয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সারাদেশে দমন-পীড়ন চালিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতীতে কখনো এমন চরম নির্যাতন দেখা যায়নি। দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। জনগণের স্বতঃস্ফ‚র্ত আন্দোলনের মুখে বর্তমান জুলুমবাজ সরকার পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
অবিলম্বে এসব অন্যায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর রুহুল আমিনসহ ৬ জন এবং সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”