আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘ দিন দেশে-বিদেশে কুরআনের দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কুরআনের সমাজ কায়েমের চেষ্টা করে গিয়েছেন। তিনি ওয়াজের মাধ্যমে কুরআনের সঠিক দাওয়াত মানুষের নিকট পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর দাওয়াতের মাধ্যমে বহু মুসলমান ইসলামের সঠিক পথে এসেছেন এবং বহু অমুসলিম মুসলমান হয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম-এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহর জীবন ও কর্ম শীর্ষক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আল্লামা সাঈদীর অবদান ভোলার মত নন। তাঁর ওয়াজের প্রধান বিষয়ই ছিল ইক্বামাতে দীন ও জাতিকে শিরক মুক্ত করা। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিকে শিরক মুক্ত রাখতে জাতীয় সংসদে মাথা নত করে প্রবেশ করার মত শিরক প্রথাকে তিনি বিলুপ্ত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে কুরআনের ধারক-বাহকদের সংসদে পাঠাতে হবে। আমাদেরকে আল্লামা সাঈদীর স্বপ্ন পূরণে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজ করে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, আল্লামা সাঈদী ছিলেন পৃথিবীর ক্ষণজন্মা মানুষদের মধ্যে একজন। বিশ্বব্যাপী কুরআনের বাণীকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মহান রব তাঁকে বাছাই করেছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, সরকার তথাকথিত বিচারের নামে প্রহসন করে আল্লামা সাঈদীকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘ ১৩ বছর জেলে বন্দি করে রেখেছিল। বন্দি হওয়ার আগে ও পরে তাঁর হার্টে ৫টি রিং পরানো ছিল। তিনি ডায়াবেটিস, গোড়ালি ব্যথা ও কিডনিসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অথচ তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ইন্তিকালের আগে মারাত্মক হার্ট এ্যাটাকের পরও তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে কালক্ষেপণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা সাঈদী জালিমের কাছে মাথা নত না করে হাসিমুখে মৃত্যু বরণ করে আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের জমিনে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর রেখে যাওয়া সেই অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে আমাদেরকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান ও অঞ্চল টিম সদস্য খন্দকার একেএম আলী মুহসিন এবং নড়াইল জেলা আমীর জনাব আতাউর রহমান বাচ্চু, মাজলিসুল মুফাসসিরীন এর জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা নূরুল আমীন। সমাপনি বক্তব্যে জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম মেহমানবৃন্দসহ অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।