বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তিকালের পর তাঁর জানাযায় বাধা দান, দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাযায় হামলা, সারাদেশে কয়েক শত নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম আগামী ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ৬ সেপ্টেম্বর নিম্নোক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকারের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ১৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গত ১৮ আগস্ট শুক্রবার দেশব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠান এবং ২৩ আগস্ট বুধবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সংবিধান স্বীকৃত শান্তিপূর্ণ মিছিলের কর্মসূচিতেও বাধা দিয়েছে। সরকার সারা দেশে নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে এবং কর্মস্থলে গণগ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানকালে বাড়ি-ঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহর জানাযায় বাধা দান, দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাযায় হামলা, সারাদেশে কয়েক শত নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের, জালেম সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মী ও আলেমা-ওলামার মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকা মহানগরীতে এবং ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার দেশের অন্যান্য মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
উপরোক্ত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমি জামায়াতের সকল জনশক্তি, দেশের আপামর জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।”