বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়ঃ-
“সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশের ৬০টি জেলায় ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ছয়জন মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না হওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের দুরবস্থা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
গত ২৪ ঘন্টায় বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্থাৎ ১২শত ৪৬ জন লোক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তদের ৭০৯ জন ঢাকায় এবং ৫৩৭ জন ঢাকার বাইরের। গত সাড়ে ৬ মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৮ জন লোক এবং ১৬ হাজার ১৪৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ১২ দিনে ৮ হাজার ১৫৬ জন লোক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং মারা গিয়েছে ৪১ জন রোগী। এ অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সুচিন্তিত অভিমত হচ্ছে, বর্তমান সরকার ডেঙ্গু জ্বর মোকাবেলা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা ও তার লার্ভা ধ্বংস করার লক্ষ্যে সরকার যথাযথ ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করেনি। ফলে এখন তা মহামারী আকার ধারণ করেছে। সরকারের এ ভুলের মাশুল জনগণকে দিতে হচ্ছে।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ রোধে এডিস মশা ও তার লার্ভা ধ্বংস ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করার লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ এবং আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সরকারের প্রতি আহবান জনাচ্ছে।”