১৪ জুন বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নিযুক্ত আইনজীবীগণের পক্ষ থেকে ঢাকা বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট এসএম কামালুদ্দিন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের জামিনের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বারের ট্রেজারার, এজিএস-সহ সিনিয়র আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সম্মানিত আইনজীবী ও সাংবাদিক বন্ধুগণ, আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী মানবাধিকার কর্মী, সংগঠন, সংস্থা এবং দেশবাসীকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের জামিনের বিষয়টি অবহিত করা জরুরী বলে মনে করছি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের একটি বৃহৎ সাংবিধানিক, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দল। এই সংগঠনের সংগ্রামী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানার একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরবর্তীতে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট ও চেম্বার জজ থেকে তিনি জামিন লাভ করেন। এরপরে নতুন করে আবার তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কল্পিত একটি মামলা দেওয়া হয়। এই মামলাতেও তিনি জামিন লাভ করেন। এভাবে তিনি ধারাবাহিকভাবে ৩ বার মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করার পর উনাকে আবার জেলগেট থেকে আটক করে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। দীর্ঘ ২১ মাস যাবৎ উনাকে সংবিধান লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনীভাবে জেলখানায় আটক রাখা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রিয় আইনজীবী বন্ধুগণ
দেশি-বিদেশী মানবাধিকার কর্মী ও দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, উনাকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা ইতোমধ্যেই উনার বেলবন্ড ছেড়ে দিয়েছি। আমরা অবিলম্বে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের মুক্তি চাই।
আমরা আরো বলতে চাই, সরকার সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনীভাবে সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাঁকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। আমরা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সর্বশেষে জামিন নামা দাখিল করেছি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশ অনুসারে। আমরা আশা করছি সরকার পুনরায় তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে না। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। উনি ইতোমধ্যেই সকল মামলায় জামিনে আছেন। যেহেতু উনার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই, সেহেতু তার মুক্তি পেতে বাধা নেই। আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংগঠনকে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের জামিনের বিষয়টি বিনীতভাবে খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
সকল অপতৎপরতা, টালবাহানা ও সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করা থেকে বিরত থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
পরিশেষে আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।”