বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, বর্তমান সরকারের শাসনামলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতির ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, পিঁয়াজ, রসূন, কাঁচামরিচ, শাকসব্জি, তেলসহ নিত্যপন্যের মূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে দফায় দফায়। সেই অনুপাতে বাড়েনি মানুষের আয়। ফলে জীবনযাত্রার মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আওয়ামীলীগ ওয়াদা করেছিল ১০টাকা কেজি চাল ও বিনামূল্যে সার সরবরাহ করবে। সেই চালের দাম এখন ৭০/৮০ টাকা। আর সারের দাম বাড়ানো হয়েছে কয়েকবার।
দেশের বাজারে যে অব্যবস্থাপনা চলছে, তা দেখার যেন কেউ নেই। জনগণের প্রতি এ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কারণ বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সরকারের দীর্ঘ শাসনকালেও দেশে কোনো সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের পৃষ্ঠপষকতায় গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বাজারকে প্রভাবিত করে দ্রব্যব্যমূল্য বৃদ্ধির নেপথ্য ভূমিকা রাখছে। সরকার জনগণের কষ্ট লাঘবের পরিবর্তে বৃদ্ধির ব্যবস্থা করছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।”