৫ মে রাত আনুমানিক ৯টার সময় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পশ্চিম ডেকরা গ্রামের সাধারণ মানুষ যখন ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই একদল দুর্বৃত্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের বাড়িতে বর্তমান আওয়ামী দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিবের আশীর্বাদপুষ্ট কুলাশার গ্রামের সন্ত্রাসী আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী নির্বিচারে ভাঙচুর করে ও তাণ্ডবলীলা চালায়। এ সময় তারা ডাক্তার তাহেরের বাড়িসহ সাধারণ নিরীহ মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এছাড়াও ডাঃ তাহেরের চাচাতো ভাই ফয়েজ আহমেদ এবং পার্শ্ববর্তী দিনমজুর শাহ আলমের বাড়ি, নিরীহ গ্রামবাসী তাহের মিয়াজীর মাইক্রোবাসসহ গ্রামের বিভিন্ন ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বহু মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে ও পূর্ব পরিকল্পিকতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। প্রাণভয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ নিরীহ মানুষ মারাত্বকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের চৌদ্দগ্রামের নিজ বাড়িতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,
“কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব প্রায় ২০ বছর যাবত কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। তারই ধারাবাহিতকতায় ৫ মে রাত ৯টায় আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা করা হয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আমার পার্শ্ববর্তী আরো কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। এই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
তিনি আরো বলেন, এই সন্ত্রাসী হামলা রাজনৈতি শিষ্ঠাচার, গণতান্ত্রিক চেতনা ও ন্যূনতম সৌজন্যবোধেরও পরিপন্থী। আমি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারের প্রমাণ করা উচিত তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে।”