আমীরে জামায়াত

2024-02-24

রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মজলুম মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, "বাংলাদেশে বর্তমানে নীতি নৈতিকতাহীন অনৈসলামিক পরিস্থিতি বিরাজমান। তরুন প্রজন্মের আজ ইসলামের সু-মহান আদর্শ জানার জন্য যে সুযোগ থাকা দরকার তা থেকে তারা বঞ্চিত। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধংসের সম্মুখীন। মানুষের ভোটদানের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে জিনিস পত্রের যে দাম তাতে সাধারণ মানুষের দু'বেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকা অনেক কষ্টকর। এর উপর কয়েক দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে টাকার মূল্যমান অনেক কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে খুব দ্রুতই দুর্ভিক্ষ আসতে বাধ্য।"

২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরী আয়োজিত সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী মহানগরী আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.কেরামত আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের পরিচালনয় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সদ্য কারামুক্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মজলুম জননেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সদ্য কারামুক্ত মজলুম জননেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এম পি হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর সাবেক আমীর প্রফেসর ড. আবুল হাশেম।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, "জামায়াতের সদস্য (রুকন) ভাই বোনদের ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মজলুম মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে আসতে হবে। একজন মুমিনের দুনিয়ায় জীবনের সাফল্যের চাইতে আখেরাতের জীবনের সাফল্য অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মুসলমানের দুনিয়াবি সম্পদের চেয়ে ঈমান ও আমলের সম্পদ অনেক বেশি মূল্যবান। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা কষ্ট পেলে, জেল-জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হলে দুঃখ পাবার কিছু নেই বরং এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়া'লা আমাদের ক্ষমা করবেন, আমাদের মাফ করবেন।"

বিশেষ অতিথি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, "রুকনগণ হলেন সংগঠনের মূল জনশক্তি। একটি বিল্ডিং এর মূল শক্তি খুটির জোরে টিকে থাকে। আমাদের রুকন ভাই বোনদের ঈমানি বলে বলিয়ান হয়ে কঠিন ময়দানে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যে শপথ নিয়েছি সে শপথে আল্লাহর অনুগ্রহ রয়েছে। মহান আল্লাহ তায়া'লা মেহেরবানী করে তাঁর দ্বীনের জন্য আমাদের বাছাই করে নিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই এ সৌভাগ্যকে মনে রেখে শহীদি ময়দানের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।"

বিশেষ অতিথি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, "আমাদের উপর জেল, জুলুম ও নির্যাতন হলো একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। রুকনিয়াতের শপথের মাধ্যমে আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পালনে পিছু হটার সুযোগ নেই। এ প্রতিশ্রুতি লংঘন করলে ভয়াবহ পরিনতি ভোগ করতে হবে। রাজশাহীর শহীদি ময়দানের কাজের প্রচার ও প্রসারের জন্য আমাদের নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।আমাদের আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, "রুকন ভাই বোনকে নিজ দ্বায়িত্বের পরিধি অনুযায়ী শপথের আলোকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করা লাগবে।আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই হতে হবে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এ জন্য দ্বীনে বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।"

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমীর এ্যড.আবু মোহাম্মদ সেলিম, ত্রান ও পূনর্বাসন সম্পাদক অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক সারওয়ার জাহান প্রিন্স, যুব বিভাগের সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজা প্রমূখ।