বর্তমান বিনা ভোটের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। শাসক দলীয় সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রে ত্রাস সৃষ্টি করায় জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ফলে হাসিনা সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনেই জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। দেশের জনগণ এ সরকারকে বিশ্বাস করে না। সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম প্রণীত কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে যে কয়টি নির্বাচন হয়েছে, তাতে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমানে জনগণের দাবিও এটাই। এই গণদাবি আদায়ের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করার জন্য আমি দেশের আপামর জনতার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
২৩ জুন শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়ালি কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন। সহকারী সেক্রেটারি জেলারেল, সাবেক এমপি ও ফরিদপুর অঞ্চল পরিচালক জনাব এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, আমরা একমাত্র আল্লাহকেই ভয় করবো এবং একমাত্র তাঁরই গোলামী করবো। জাহিলিয়াতকে চিনতে হলে আমাদেরকে বেশি বেশি কুরআন হাদীস অধ্যয়ন করতে হবে। মানুষের নৈতিকমান উন্নয়নে শিক্ষা ব্যবস্থ্যায় কুরআনকে সিলেবাসভুক্ত করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মানবরচিত মতবাদ দিয়ে সমাজে কখনও শান্তি আসতে পারে না। আল্লাহর আইনই একমাত্র নির্ভুল আইন। এই আইনের বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। বর্তমানে স্বৈরাচারী, ফ্যাসিষ্ট ও গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকার জগদ্দল পাথরের মতো ক্ষমতায় বসে আছে। তারা সবচেয়ে বেশি জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর। ইসলামী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা এর বদলা নিবো ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব হামিদুর রহমান আযাদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত আমল সুন্দর করতে হবে। সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষের কান্ডারী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি কর্মীদেরকে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মাজলিসে শূরা ও অঞ্চল টিম সদস্য শামসুল ইসলাম আল-বরাটী, প্রফেসর আবদুত তাওয়াব, মাওলানা খলিলুর রহমান, ফরিদপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন,
রাজবাড়ি জেলা আমীর অ্যাড: নূরুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা আমীর মাওলানা আঃ সোবহান খান, শরীয়তপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আঃ রব হাসেমী, গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মো: রেজাউল করিম।