বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের চিরদিন ক্ষমতায় থাকার অভিলাষে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এখন জামায়াতের নেতাকর্মীদের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দূর্নীতি ও দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য আনোয়ারুল আলম চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এএইচএম আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক উপাধ্যক্ষ আবদুর রব, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর জনাব মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ বদরুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এএইচএম আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত সদস্যদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পরকালীন মুক্তির জন্য জান্নাত লাভের আশায় দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করতে হবে। আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য পবিত্র রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। দ্বীনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে দুনিয়াবী জিন্দেগী পরিচালনা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক উপাধ্যক্ষ আবদুর রব বলেন, শপথের আলোকে সদস্যদের দ্বীনের পরিপূর্ণ দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে জানমাল উৎসর্গ করে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। ইসলামী আন্দোলনকে বুঝার জন্য কুরআন-হাদীস সহ রাজনৈতিক ইতিহাসের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহনগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, রাসুল (সাঃ) এবং সাহবায়ে কেরামগণ হলো ইসলামী আন্দোলনের মডেল। জামায়াতের সদস্যদের কুরআন ও হাদীস থেকে ইসলামী আন্দোলন পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তিনি ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন এবং সাংগঠনিক জীবন পদ্ধতিকে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঢেলে সাজানোর জন্য সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
এতে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি এডভোকেট আবু নাছেরসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।