বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে জেলখানায় থাকাবস্থায় তৃতীয়বারের মত নতুন মামলায় আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৫ জুলাই এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উচ্চ আদালত থেকে সকল মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে ৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার করে পল্টন থানার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি সব মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হলে পুনরায় দ্বিতীয়বারের মতো কলাবাগান থানার একটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। অথচ এই সময়ে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত ২১ জুন পল্টন থানার এ মামলায়ও তিনি জামিন প্রাপ্ত হন। কিন্তু সরকার তাঁকে মুক্তি না দিয়ে ২৭ জুন শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করে। আজ ৫ জুলাই তাঁকে অন্যায়ভাবে জেলে আটক রেখে পুনরায় তৃতীয়বারের মত গ্রেফতার দেখানো হল। আমরা সরকারের এই চরম জুলুমের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, তার মত একজন জাতীয় নেতাকে আজ ডান্ডা বেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, লজ্জাজনক ও অনভিপ্রেত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একজন নিরপরাধ জাতীয় নেতার ওপর সরকারের এই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ও নির্যাতন রাষ্ট্রের আইনের শাসনের চরম বিপর্যস্ত অবস্থারই পরিচয় বহন করে। সকল মামলায় জামিন পাওয়া এবং জামিন নামা কারাগারে পৌঁছানোর পরও তাঁকে মুক্তি না দেয়া আইনের শাসনের পরিপন্থী। দেশের প্রচলিত আইন ও সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের প্রতি সরকারের যদি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকত তাহলে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে এভাবে বারবার হয়রানি করতে পারত না। তিনি সরকারের রাজনৈতিক যড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তাঁকে বারবার গ্রেফতার দেখানোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কিছু নেই।
আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ আটক সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।