বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে তৃতীয় বারের মত আটক দেখানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর ২৭ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন। তিনি উচ্চ আদালত থেকে সকল মামলায় জামিন প্রাপ্ত হয়ে ৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার করে পল্টন থানার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ মার্চ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর পল্টন ও রামপুরা থানার আরো ২ টি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে তিনি সব মামলায় জামিন প্রাপ্ত হলে পুনরায় ২য় বারের মত কলাবাগান থানার একটি মামলায় শ্যোন এরেস্টের জন্য গত ১৫ মে আবেদন করে। আদালত ২১ মে গ্রেফতার আবেদন মঞ্জুর করেন। অথচ এই সময়ে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ জুন পল্টন থানার এ মামলায়ও তিনি জামিন প্রাপ্ত হন। কিন্তু সরকার তাঁকে মুক্তি না দিয়ে ২৭ জুন শ্যোন এ্যারেস্টের আবেদন করে পি/ডব্লিউ পাঠিয়েছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জাতির প্রশ্ন যে, সকল মামলায় জামিন পাওয়া এবং জামিন নামা কারাগারে পৌঁছানোর পরও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না কেন? আমরা অত্যন্ত বিস্মিত যে, এ নিয়ে পরপর ৩ বার দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পর তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হলো।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, দেশের প্রচলিত আইন ও সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের প্রতি সরকারের যদি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকত তাহলে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে এভাবে হয়রানি করতে পারত না। তিনি সরকারের রাজনৈতিক যড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে বারবার জেলখানা থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে গ্রেফতার দেখানোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে আর কিছু নেই। দেশের আদালত সরকারের ছক মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে অবিলম্বে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”