৮ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার

শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান তাঁর লেখনির মাধ্যমে আমাদের মাঝে দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকবেন- ডা. শফিকুর রহমান

বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার সম্পাদক জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের অবদান এবং ত্যাগের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ৮ এপ্রিল নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “শহীদ কামারুজ্জামান ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি দৈনিক সংগ্রাম ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতেন এবং একজন লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধসমূহ যুগ যুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরকে একটি গণ-ছাত্র আন্দোলনে পরিণত করেছিলেন এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের দাওয়াত এ দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, জেনারেল এরশাদ ও শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে তিনি জামায়াতের রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তা তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ সকল কূটনৈতিক বৃন্দের সাথে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের নিকট তিনি জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছে দিতেন। তিনি সত্য কথা বলতে কখনো দ্বিধাবোধ করতেন না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি অতি অল্পকালের মধ্যেই স্থান করে নিয়েছিলেন। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এ নামটি বাংলাদেশের ছাত্র-যুবক সকলের অন্তরে গ্রোথিত হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, সরকার তাঁকে সাজানো রাজনৈতিক মামলায় দোষী বানিয়ে মৃত্যুদ- প্রদান করে। ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তিনি তাঁর লেখনির মাধ্যমে আমাদের মাঝে দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকবেন। তিনি যে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়ে গেছেন, তা এ দেশের মানুষের মনে আবেগ ও অনুভূতি সৃষ্টি করবে। আমি তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করছি। মহান রব্বুল আলামীন তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন ও তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাাকাম দান করুন। তাঁর রেখে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনের অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য এবং ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে এ দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।”