২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন জননেতা আলহাজ্ব আবু বকর ওয়াহেদীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রুকন), রংপুর জেলা জামায়াতের সাবেক তারবিয়াত সেক্রেটারি, মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন জননেতা আলহাজ্ব আবু বকর ওয়াহেদী বার্ধক্যজনিত কারণে ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় ৮৭ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ৪ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় ভাংনী মাঠেরহাট ঈদগাহ মাঠে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন জননেতা আলহাজ্ব আবু বকর ওয়াহেদীর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন মরহুমের জ্যেষ্ঠ সন্তান মাওলানা উমর ফারুক। জানাজা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগর আমীর মাওলানা এ টি এম আজম খান, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক এবং জেলা ও উপজেলা জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ জানাযায় শরীক হন। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাযা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিঠাপুকুর উপজেলা সেক্রেটারি জনাব আসাদুজ্জামান শিমুল।

আবু বকর ওয়াহেদীর কবর জিয়ারত

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আলহাজ্ব আবু বকর ওয়াহেদীর কবর জিয়ারত করেছেন। তিনি এলাকার লোকদের সাথে নিয়ে মরহুম আবু বকর ওয়াহেদীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দিয়ে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উঁচু মাকাম দান করুন। এ সময় তিনি মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদের সান্ত্বনা প্রদান করেন।

শোকবাণী

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন জননেতা আলহাজ্ব আবু বকর ওয়াহেদীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ২৩ ফেব্রুয়ারি এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, আলহাজ্ব আবু বকর ওয়াহেদী ইসলামী জ্ঞানচর্চা ও ইসলামের মহান আদর্শ প্রচারের পাশাপাশি তিনি সামাজিক নানা কর্মকান্ডেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর-৫ আসনে কয়েক দফা জামায়াতের নমিনি হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভালবাসা অর্জন করেছিলেন। অন্যায়, অবিচার ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। শত জুলুম-নির্যাতন, প্রলোভন উপেক্ষা করে তিনি তার আদর্শ ও কর্তব্যে অটল ছিলেন। তিনি ছিলেন আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার প্রিয় রাহবার। তিনি ছিলেন গরীব অসহায় মানুষের আশা-ভরসার স্থল। তাঁর ইন্তিকালে জাতি একজন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও মানবদরদী নেতাকে হারাল। মহান রব তাঁর শূন্যতা পূরণ করে দিন।

শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।