২ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:২৫

ঈদের আগে রেমিট্যান্সে ধাক্কা

প্রতিবছরই ঈদের আগে রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র। কমে গেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবৈধ চ্যানেলে বা হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্স কমেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্র?তি ডলার ১১০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে আসা প্রবাসী আয় তার আগের মাস ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বা ৭.৭৪ শতাংশ কম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় ছিল ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এ ছাড়া মার্চে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার বা ১.২৭ শতাংশ। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার (১৯.৯৬ বিলিয়ন)। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ডলার, আর ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার।
আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।

প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে এখন ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। তবে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১২০ টাকারও বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনছিল। এখন অবশ্য এই দর কমে ১১৫-১১৬ টাকায় এসেছে। এর পরেও হুন্ডিতে ডলার দাম বেশি।

https://mzamin.com/news.php?news=104273