২ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:০০

সুপেয় পানির সংকটে রাজধানীর বহু মানুষ

পশ্চিম কাফরুল ১৬নং ওয়ার্ড, তালতলা, শেরেবাংলা নগর। গত পনেরো দিন ওয়াসার পানি সরবরাহ লাইনে সুয়ারেজে ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি প্রবেশ করার কারণে এলাকায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতটা খারাপ অবস্থা যে, গোসল-অজু কিছুই করা যাচ্ছে না। অনেকে আশপাশে আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়ে থাকছে। অন্যরা বাইরে থেকে পানি কিনে এনে চলছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মডস জোন-৪ ঢাকা ওয়াসা দারুস সালাম মিরপুর, স্থানীয় কাউন্সিলরের বরাবর আবেদন করার পরও কোনো সমাধান হয়নি

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : পশ্চিম কাফরুল ১৬নং ওয়ার্ড, তালতলা, শেরে বাংলা নগর। গত পনেরো দিন ওয়াসার পানি সরবরাহ লাইনে সুয়ারেজের ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি প্রবেশ করার কারণে এলাকায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পরেছে। এতটা খারাপ অবস্থা যে, অজু গোসল কিছুই করা যাচ্ছে না। অনেকে আশে পাশে আত্মীয় স্বজনের বাসায় যেয়ে গোসল করছে। অজুসহ রান্নার পানি নিয়ে আসছে। কেউকেউ বাইর থেকে পানি কিনে এনে চলছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মডস জোন-৪, ঢাকা ওয়াসা দারুস সালাম মিরপুরসহ স্থানীয় কাউন্সিলরের বরাবর আবেদন করার পরও কোন সমাধান হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। খবর নিয়ে জানা গেছে, শুধু তালতলা এলাকাতেই নয়, রাজধানীর অনেক স্থানেই পানি দুর্গন্ধ। সেই সাথে পানি সংকট তো রয়েছেই। এলাকাবাসী জানান, ময়লাযুক্ত এসব পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত রোগ।

সূত্রমতে, সুপেয় পানির সংকটে রাজধানীর বহু এলাকার মানুষ। একে তো রমযান, তার ওপর গরমে চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। যতটুকু মিলছে সেটিও ব্যবহারের অযোগ্য। সেই পানি ব্যবহারের কারণে রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। সরবরাহ লাইন পুরনো হওয়ায় ময়লা পানি আসার কথা স্বীকার করলেও ওয়াসা বলছে, পানির কোনো সংকট নেই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ঢাকার অনেক জায়গায় ওয়াসার পানি নাকি নর্দমার পানি, তা বুঝে উঠা মুশকিল হয়ে উঠছে। কবে থেকে এই দশা, সেটি মনেও করতে পারেন না ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। এভাবেই চলছে মাসের পর মাস। শুধু বাসাবাড়ি নয়, পাম্পের পানির একই দশা! ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নতুন যুক্ত হওয়া ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তত এক লাখ মানুষের বাস। পানির কষ্টে নাজেহাল দশা বাসিন্দাদের। তারা বলছেন, পানি তো না খেয়ে পারা যায় না। আবার খেলেও অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে। আবার গোসল করলেও শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্য হচ্ছে। সব মিলিয়ে রোজা রেখে পানির সংকটে বেশি কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পানির মান এতই খারাপ যে নাসিরাবাদে পানিবাহীত রোগে ভুগছেন শত শত মানুষ। পাম্প থেকে নেয়া পানি কিছুক্ষণ পরই দেখা যায়, ধূসর বর্ণ ধারণ করেছে। জানা যায়, এখানে পানির পাম্প তিনটি। দুটি পাম্পে পানির চাপ না থাকায় নতুন একটি পাম্প বসায় ওয়াসা। সেই পাম্পেই মিলছে এমন পানি। যে কারণে কম চাপযুক্ত পাম্প থেকে পানি সংগ্রহে প্রতিনিয়ত এক রকম যুদ্ধ করতে হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া প্রায় সবগুলো নতুন ওয়ার্ডই পানি নিয়ে ভুগছে। ভালো নেই পুরনো ওয়ার্ডগুলোও। এই যেমন মানিকনগর। এই এলাকার পানি এতই দুর্গন্ধ যে, তা খাওয়া অসম্ভব। একইরকম দশা শেওড়াপাড়া, রুপনগরসহ মিরপুরের বেশি কিছু এলাকায়। যদিও ওয়াসার দাবি, রাজধানীতে পানির সংকট নেই।

ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন বলেন, সরবরাহ লাইন পুরনো হলে লিকেজ হয়ে ময়লা পানি প্রবেশ করে। আর ময়লা পানি খেলে মানুষ অসুস্থ হতে পারে। তাই এডিবির অর্থায়নে আমরা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি।

এ বিষয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পরিজা) সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, ঢাকা ওয়াসা শুধু মুখেই বলে তারা পানি সরবরাহ করছে। আসলে সেটি সঠিক নয়। পানির জণ্য একদিকে যেমন হাহাকার দেখা দিয়েছে অণ্যদিকে যেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে সেগুলো ব্যবহার করাও যাচ্ছে না। অবিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ২০২১ সালে ওয়াসার এমডি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ২০২৩ সালের পর ঢাকা ওয়াসার পানির মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না। কিন্তু ২০২৪ সালে ঢাকা শহরের ১০টি জায়গার নমুনা নিলে খুব সহজেই বুঝা যায়, সেটি পানের যোগ্য না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখি ঝড় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এপ্রিল দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে অতিতীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বরছেন, তাপমাত্র বৃদ্ধি পেলে পানির চাহিদাও বাড়বে। ফলে চলতি মাসে পানি সংকট যে আরও ভয়াবহ হবে সেটি আগে থেকেই বলা যায়।
রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা রেবেকা সুলতানা জানান, এক বালতি পানি দিয়ে থালাবাসন ধুতে হচ্ছে, সেটি দিয়েই আবার ভাত বসাতে হচ্ছে। গোসল তো তিন দিন করাই হয়নি। বছরের অন্যান্য সময় পানির সংকট থাকে, কিন্তু রমযান মাসে পানি না থাকলে কেমন ভয়ংকর অবস্থা হতে পারে, তা আমরা এখন বুঝতে পারছি। আশপাশের বাসার মালিকরা মিলে বারবার ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তারপরও পানির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। পানি ছাড়া অসহায়ের মতো অবস্থা পুরো এলাকাবাসীর।’ কথাগুলো বলছিলেন
জানা গেছে, রাজধানীর অনেক এলাকাতেই রোজার মধ্যে পানির সংকট দেখা চরমে পৌছেছে। রোজার শুরু থেকেই মিরপুর, শেওড়াপাড়া, বাড্ডা, নতুন বাজার, কুড়িল, ভাটারা, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মুগদা, মা-া, লালবাগ, আজিমপুর, রায়েরবাগ, পুরান ঢাকা ও দক্ষিণখান এলাকায় পানির সংকট বেশি। এ ছাড়া নগরীর অনেক এলাকার পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ দেখা যাচ্ছে। পানির অভাবে ইফতার, সেহরিসহ আনুষঙ্গিক কাজকর্ম করতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। সারা দিন রোজা রেখে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা।

মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা কায়ছার বলেন, পানি এলেও সঙ্গে বালু আসে। একাধিকবার ওয়াসায় অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও সমস্যা সমাধান হয়নি। কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন হল লাইনে পানি আসছে না। গভীর রাতে অল্পস্বল্প যে পানি আসে তা দিয়ে হয় না। অনেক তদবির করে ওয়াসা থেকে গাড়ির পানি এনে কোনো রকম কাজ চলছে। তবে বড় গাড়ি চাইলে দেয় ছোট গাড়ি। পুরান ঢাকার বাড়ি মালিক আবদুল্লাহ আল হাসান বলেন, ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ওয়াসার পানি একদম ব্যবহার করা যায় না বললেই চলে। পাশের একটি জায়গা থেকে পানি কিনে ব্যবহার করতে হয়। ওয়াসার পানিতে এতই দুর্গন্ধ যে, ফোটানোর পরও বিন্দুমাত্র কমে না। আগে ওয়াসার লাইনের পানি ফুটিয়ে খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা যেত। তবে এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এ পানি নাকের কাছেই নেওয়া যায় না। খাওয়া বা রান্নার কাজে ব্যবহার তো দূরের কথা এই পানি দিয়ে গোসলও করতে পারেন না এলাকার বাসিন্দারা।

লালবাগের বাসিন্দা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকবুল হোসেন বলেন, তিন-চার দিন ধরে এলাকায় তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। ওয়ার্ডের মধ্যে আবদুল আজিজ লেন, ললিত মোহন দাস লেন, নবাবগঞ্জ রোড, হোসেন উদ্দিন খান প্রথম লেন, দ্বিতীয় লেন, সুবল দাস রোডসহ বেশ কিছু এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানি সংকট নিয়ে এলাকাবাসীর ফোনে অতিষ্ঠ বলে জানান তিনি।

মালিবাগের শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা নীরব হোসেন বলেন, সারারাত পানি থাকে না। আসে ভোরে। তখন যদি কোনো কারণে মিস করি তাহলে সারাদিন পানি ছাড়া থাকতে হয়। তাই চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকি কখন ওয়াসা পানি দেবে। ওয়াসার মডস জোনে যোগাযোগ করে পানি আনার ব্যবস্থা করছি। ৬০০ টাকার পানি অনেক সময় ১ হাজার টাকা লেগে যাচ্ছে। কিন্তু তবুও চাহিদা মতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। মেরুল বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ বলেন, কয়েকদিন ধরে আমার বাসাসহ আশপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ নেই। পানি না থাকায় বাধ্য হয়ে আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছি।

ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে পানির সংকট হয়। এ সময় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কিছু জায়গায় গভীর নলকূপে উৎপাদন কমে যায়। এবার মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে রমযান শুরু হওয়ায় পানির সংকট তীব্র হয়নি। এরই মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ শুরু হয়েছে।

সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন বলেন, সার্বিকভাবে ঢাকা শহরে পানির সংকট নেই। তবে, কিছু কিছু এলাকায় সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সেসবের জন্য কাজ করছি। আশা করছি, খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। কিছু স্ট্যান্ডবাই পাম্প চালু করা হয়েছে। যেখানে সমস্যা হচ্ছে সেখানে রেশনিং করে পানি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে, সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি তারা পাচ্ছে ভূগর্ভস্থ থেকে।

ঢাকা ওয়াসার তথ্যমতে, শীত ও বর্ষা মওসুমে নগরবাসীর পানির চাহিদা থাকে ২১০ থেকে ২১৫ কোটি লিটার। আর খরার মওসুমে পানির চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি লিটার। ঢাকা ওয়াসার বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা ২৯০ কোটি লিটার। তবে ২০-২৫ শতাংশ সিস্টেম লস বাদ দিলে পানি সরবরাহ থাকে দুইশ লিটারের কম বেশি। ফলে প্রায় ৬০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ ঘাটতি থেকেই থাকে। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি আরও বৃদ্ধি পায়। চলতি রমযানে পানির স্বাভাবিক চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

প্রতিবছরই গ্রীষ্মে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দেয়। এর বড় কারণ ভূগর্ভস্থ উৎসের ওপর নির্ভরতা। ২০১০ সালে ঢাকা ওয়াসার উৎপাদিত পানির ৮০ শতাংশ ছিল ভূগর্ভস্থ উৎসের, যা গভীর নলকূপের মাধ্যমে তোলা হচ্ছে। আর ২০ শতাংশ ছিল ভূ-উপরিভাগের পানি। সংস্থাটি ২০২১ সালের মধ্যে ভূ-উপরিভাগের পানির উৎপাদন অন্তত ৭০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়। তবে এ লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি। এখনো ওয়াসার দৈনিক উৎপাদিত পানির ৭০ শতাংশই ভূগর্ভস্থ উৎসের।ঢাকা ওয়াসা পানির উৎসের টেকসই সমাধান করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন নগরবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, গভীর নলকূপ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিবছর পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, যা প্রকৃতি-পরিবেশের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে। নলকূপনির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিভাগের পানির উৎপাদন বাড়ানোয় জোর না দিলে সংকট কাটবে না।

https://www.dailysangram.info/post/552946