২ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৫৬

ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত, চোরাচালান ও ভারতীয় পণ্য বর্জন

-ড. মো. নূরুল আমিন

মূল আলোচনায় আসার আগে দুটি বাস্তব ঘটনার প্রতি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রথম ঘটনাটি হচ্ছে ১৯৬৩ সালের। আমি তখন ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে সবেমাত্র ডিগ্রি ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। আমার পাশের গ্রামের আমার এক স্কুল সহপাঠী ছিল। নাম শক্তি রঞ্জন নন্দী। নন্দীরা তিনভাই দুই বোন আর পিতামাতা মিলিয়ে পরিবারের ৭ সদস্য। পাঠকদের হয়তো অনেকের মনে আছে যে, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে একবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা রায়ট হয়েছিল। ঐ রায়টটি ছিল ভারতের কোলকাতা, বিহার, আসাম ও ত্রিপুরায় উগ্র হিন্দুদের কর্তৃক নির্বিচারে মুসলমানদের হত্যা, তাদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংসের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এই প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলায়ও রায়টের দাবানল জ¦লে উঠেছিল। তখন ছিল জেনারেল আইয়ুব খানের শাসনামল। রায়ট দমনের জন্য সরকার কার্ফু জারি করেছিলেন। ফলে রাস্তা, অলিগলি ও জনপদে মানুষ চলাচল তো দূরের কথা, কেউ বাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি মারলেও সেনাবাহিনীর গোলাগুলির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। গ্রামাঞ্চলে মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িঘর ও সম্পত্তি, জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য তাদের বাড়িঘর পাহারা দিত, আমরাও দিয়েছি। দাঙ্গা শেষ হবার পর বছরের শেষের দিকে শক্তি নন্দী ও তার পরিবার বাড়িঘর বিক্রি করে আগরতলা চলে যায়। নন্দী আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তারা চলে যাওয়ায় আমার খুব খারাপ লেগেছিল, তবে সে নিয়মিত আমাকে চিঠি লিখত। ’৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মাস খানেক আগে আমাকে একটি চিঠি লিখেছিল। এর ভাষা ছিল করুণ। সে লিখেছিল, দোস্ত, দেশ ত্যাগ করে আমরা যে কত বড় ভুল করেছি এখন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এখানে অভাব প্রকট, সামাজিক হানাহানি সীমাতিরিক্ত। জনপদ নকশালদের কব্জায়, চাঁদাবাজি, খুন-খারাবি নিত্যনতুন ব্যাপার, তোমরা বিশ^াস করবে কিনা জানি না, এখানে ভাতের মাড় (ফেন) বিক্রি হয় প্রতি সের তিন টাকা। আমাদের আফসোস, এখানে না এসে যদি পুকুরপাড়ে তালপাতার ছাউনি দিয়ে বস্তি বানিয়ে সেখানেও থাকতাম এবং পুকুরের জল খেতাম তাহলেও এখান থেকে অনেক শান্তিতে থাকতাম।’ তার দীর্ঘ চিঠিটি পড়ে আমার পক্ষে অশ্রু সংবরণ করা কঠিন ছিল। ভাবছি, আজ ৬০ বছর পর আমাদের অবস্থা কী হয়েছে? তাদের দেশের পেঁয়াজ, রসুন, যাবতীয় মসল্লাপাতি এমন কি চাল না পেলেও আমাদের চলে না। তাদের দেশে চালের কেজি ৩০/৩৫ টাকা আমাদের দেশে তার দ্বিগুণেরও বেশি। এখানে সামাজিক হানাহানি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, রাষ্ট্রীয় অনাচার আমাদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় আমার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায়। ছোটকালে দেখেছি আমাদের বর্ডার পাহারা দিত আনসার বাহিনী। আনসারদের দেখে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা ভয়ে পালাত। এখনকার অবস্থা পাঠক-পাঠিকা মাত্রই জানেন।

দ্বিতীয় ঘটনাটি অতি সাম্প্রতিক কালের ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিলের, একজন সাংবাদিক হিসেবে চাক্ষুষ দেখা। ঐদিন তৎকালীন বিডিআর হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ-এর তদানীন্তন মহাপরিচালক আরএস মুসাহারী ও বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর যৌথ সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এর আগে সীমান্ত ইস্যু নিয়ে তারা চারদিন ধরে বৈঠক করেছিলেন। এই উপলক্ষে বিডিআরের সম্মেলন কক্ষে সেনা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশন এবং সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক সংবাদ কর্মীদের আনাগোনায় সরগরম। দুই পক্ষের কর্মকর্তারা প্রস্তুত। হঠাৎ ভারতীয় একজন কূটনীতিক একটি টেলিফোন বার্তা পেলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ডিজি, বিএসএফ এর কাছে দৌড়ে এলেন এবং কানে কানে কিছু একটা বললেন, বার্তাটি পেয়ে তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং বিরক্তিকর কণ্ঠে ঘোষণা করলেন যে, বিডিআর সেনাদের অবন্ধুসুলভ আচরণের কারণে ভারতীয় বিএসএফএর ১৩১ ব্যাটালিয়নের সহকারী কমান্ড্যান্ট শ্রী জীবন কুমার কিছুক্ষণ আগে আখাউড়া সীমান্তের নিকটে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাটিকে তিনি ভয়াবহ আখ্যায়িত করে এর জন্য বিডিআরকে দায়ী করেন। উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে যায়। সম্মেলনস্থলের পরিবেশ সম্পূর্ণ বদলে যায়। শ্রী মুসাহারী বেশ কিছুক্ষণ বক্তব্য রাখেন। ইতোমধ্যে বিডিআর কর্মকর্তারাও ঘটনার তথ্য-প্রমাণ নিয়ে মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীরকে অবহিত করতে থাকেন। বিএসএফ প্রধানের বক্তব্যের পর জেনারেল জাহাঙ্গীর বক্তব্য প্রদানের জন্য উঠে দাঁড়ান এবং বিএসএফ কর্মকর্তার নিহত হবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বিস্তারিত অনুসন্ধান ও তদন্তের পূর্বে এই হত্যার জন্য বিডিআরকে দায়ী করার জন্য দুঃখ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান যে, প্রাথমিক তথ্যে তিনি ঘটনা সম্পর্কে যা জানতে পেরেছেন তাতে দেখা যায় যে, এই ঘটনার জন্য বিএসএফই দায়ী। তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ভূখ-ের প্রায় ৫০০ গজ ভিতরে ঢুকে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক এবং বিডিআর টহল বাহিনীর ওপর বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারত থেকে মাদক চোরাচালানের দায়ে ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয়া। বিএসএফ সদস্যদের সাথে এই কাজে ভারতীয় নাগরিকরাও যোগ দিয়েছিল এবং তারা বাংলাদেশের নাগরিকদের বাড়িঘর, ক্ষেতের ফসল, পুকুরের মাছ প্রভৃতি লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছিল। এই অবস্থা দেখে স্থানীয় লোকজন বিডিআরের বর্ডার আউটপোস্টের কমান্ডারকে খবর দেন। তিনি সেখানে টহলবাহিনী পাঠান। তারা বিএসএফ কর্মকর্তা ও ভারতীয় নাগরিকদের বেআইনি কর্মকা- থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন কিন্তু তারা তার পরিবর্তে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এতে গ্রামের মাঠে খেলাধুলায় রত একটি মেয়ে নিহত হয়। বিডিআর সদস্যরা একান্ত আত্মরক্ষায় গুলিবর্ষণে বাধ্য হয় এবং বিএসএফ কর্মকর্তা মারা যান। বিএসএফ কর্মকর্তা মুসাহারীর এই সফরকালেই জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি ঘটনা আমার মনে পড়ে। একজন সাংবাদিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি করে হত্যা এবং সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার ব্যাপারে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি তার উত্তরে বলেছিলেন, বিএসএফ নিরপরাধ লোককে মারে না, অনুপ্রবেশকারী, চোরাচালানী প্রভৃতি ধরনের লোকদেরই গুলি করে। এই পর্যায়ে আরেকজন সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেন, জেনারেল মহাশয়, আপনি কি বলবেন আন্তর্জাতিক আইন কিংবা আপনার দেশের আইনও কি বিচারের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদের গুলি করার অনুমতি দেয়? তিনি এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান এবং মন্তব্য করেন যে কাঁটাতারের বেড়া সৎ প্রতিবেশীর বন্ধুত্বকে আরো গাড়ো করে। তার মন্তব্যটি বোধগম্য ছিল না। বেড়া দিয়ে বন্ধুর পথ রোধ করা এবং সীমান্তে গুলির লাইসেন্স বন্ধুত্ব গাড় কিভাবে করে আজো আমরা তা বুঝতে পারিনি।

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠেছে। কথা উঠেছে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয় নিয়েও। পণ্য বর্জনের বিষয়টি ক্ষুদ্র পরিম-ল ছাড়িয়ে বৃহৎ পরিম-লে এসে ঠেকেছে। আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে সীমিত থাকলেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক এখন রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের মুখেও শোনা যাচ্ছে। আবার আলেম সমাজের একটা অংশও এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন। ভারতীয় মুসলমানদের ওপর বিজেপি সরকার ও তার অঙ্গসংগঠন এবং উগ্রবাদী হিন্দুরা যে অত্যাচার-অবিচার চালাচ্ছে এবং ভারত ভূখ- থেকে মুসলমান, তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অবদানসমূহ মুছে ফেলার যে কর্মকা- শুরু করেছে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেও অনেকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য আসে বৈধ ও অবৈধ দুভাবে। বৈধভাবে যা আসে সীমান্তে চোরাচালানের মাধ্যমে তার কয়েকগুণ বেশি পণ্য বাংলাদেশে আসে। এতে সরকার বৈধ শুল্ক থেকে বঞ্চিত হয়। এই নিবন্ধের প্রথম অংশে আমি প্রথমে সীমান্ত, চোরাচালান ও বৈধভাবে আসা পণ্য নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করব। এ ব্যাপারে প্রথমেই আমি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ব্যাপারে পাঠকদের কাছে কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই। আমাদের দেশের সরকারি বেসরকারি দলের সম্মানিত রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দেরও এ তথ্য কাজে লাগতে পারে।

ভারতের সাথে আমাদের মোট স্থলসীমান্তের পরিমাণ ৪১৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সাথে ২২৬২ কিমি, আসামের সাথে ২৬৪ কিমি, মেঘালয়ের সাথে ৪৩৬ কিমি, ত্রিপুরার সাথে ৮৭৪ কিমি, এবং মিজোরামের সাথে ৩২০ কিলোমিটার মিলিয়ে সর্বমোট ৪১৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাথে ১৫০ কিমি, আসামের সাথে ৩০ কিমি মিলিয়ে ১৮০ কিমি সীমান্ত fluctuating পর্যায়ের অর্থাৎ এই স্থল সীমানাই নদীর ভাঙন প্রভৃতি কারণে উঠানামা করে।

আমাদের সীমান্তবর্তী জেলা বা অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা কুষ্টিয়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি প্রভৃতি, ফেনী ও একটি সীমান্তবর্তী জেলা, তবে ফেনী সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য।
সীমান্তবর্তী জেলা ও অঞ্চল দিয়ে ভারত থেকে যে সব মালামাল বা পণ্য আসে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয় তার একটি বিবরণী আমি নীচে পেশ করলাম। এটা আমার সংগৃহীত তথ্য, পাঠকরা আরো বেশি বলতে পারেন।

খুলনা অঞ্চল: এই অঞ্চলের মাধ্যমে ভারত থেকে যে সব পণ্য আসে সেগুলো হচ্ছে, হিরোইন, ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদ, তাস, চিনি, লবণ, ওষুধপত্র সিরাপ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ইমিটিশনের গয়না, গরু, মহিষ, মেশিনের যন্ত্রাংশ, রেডিমেড পোশাক, কাপড় চোপড়, প্রসাধন সামগ্রী মুরগী পোস্তদানা জিরা এলাচি প্রভৃতি।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকৃত পণ্যগুলো মধ্যে রয়েছে: সয়াবিন তেল, ডিজেল, পামঅয়েল, শ্যালোমেশিন, পাওয়ার টিলার,ক্যামেরা, ক্যাসেট, টেপ রেকর্ডার রেডিও তামা কাসা কাঠের আসবাবপত্র এবং প্রক্রিয়াজাত তুলা।

কুষ্টিয়া : এই সীমান্তে দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে আসে, খুলনা বর্ডার দিয়ে আসা মালামাল ছাড়াও নাইলনের জাল ইস্পাতজাত পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, গ্যামস্কিন প্রভৃতি।

বাংলাদেশ থেকে খুলনা অঞ্চল দিয়ে পাচারকৃত পণ্য ছাড়াও তামা কাসা এন্টিক স্টোন, মূর্তি, টায়ার, সিগারেট প্রভৃতি ভারতে পাচার হয়।
রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে আসে উপরে উল্লেখিত সামগ্রী ছাড়াও কীটনাশক, বালাই নাশক, চাল, গরু, প্রভৃতি এবং ভারতে যায় পাম অয়েল, ডিজেল, এলুমিনিয়ামের তার, তামার তালা, ছাগলের চামড়া প্রভৃতি।

বলাবাহুল্য প্রতেকটি সীমান্ত অঞ্চল দিয়েই খুলনা সীমান্ত দিয়ে আসা পণ্যসমূহের ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। তবে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি প্রভৃতি সীমান্ত দিয়ে বেশি আসে ডিডিটি পাউডার, আদা, বাদাম, পটকাবাজি, মদ, বিয়ার, পাথর, তোয়ালে, লবণ, আগর বাতি, তৈজসপত্র, কাঠ, আতর, দাতের খিলাইল বার্মিজ লুঙ্গি, ফেন্সিডিল প্রভৃতি। আবার এ দেশে থেকে পাচার হয়। বিভিন্ন প্রকারের সার, গরু, ছাগলের চামড়া (কোচা-পোকা) সিমেন্ট, পলিস্টার ঢেউটিন, খাবার তেল সিমেন্ট শ্যালো ইঞ্জিন করাত কল প্রভৃতি। (চলবে)

https://www.dailysangram.info/post/552888