২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ১:০৩

দাতাদের অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতি কমেছে

বৈদেশিক দাতাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি ও প্রতিশ্রুতিকৃত অর্থের ছাড়করণ কমেছে। অর্থছাড়ের পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ কোটি ডলার কমে গেছে। তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার ঋণের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত হওয়ায় চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আশ্বাসকৃত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। এটি ছিল বিশেষ ঋণ; এটা বাদ দিলে প্রকৃত অর্থে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইআরডির তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাজেটে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ কোটি ডলার নির্ধারণ করে সরকার। তবে ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ১ হাজার ৩৭২ কোটি ২০ লাখ ডলার, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার দেয়া প্রতিশ্রুতির কারণে যা আগেই ছাড়িয়ে গেছে। তবে গত অর্থবছর একই সময়ে এই ছিল ৯৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ৯৭ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৮৮ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং অনুদান ৯ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ডলার।
নভেম্বর পর্যন্ত দাতারা ছাড় করেছে ৯০ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ কোটি ডলারের চেয়েও কম। গত বছর নভেম্বর পর্যন্ত ছাড় হয়েছিল ১০০ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। চলতি বছর প্রতিশ্রুতির মধ্যে অনুদান হলো মাত্র ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৩৩৫ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। আর ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে অনুদান ৯ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ঋণ ৮০ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। তবে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার।
ইআরডির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত অর্থবছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে বড় অঙ্কের ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছিল। কিন্তু সেটি ছিল বিশেষ ঋণ। তাই মনে হচ্ছে প্রতিশ্রুতি ব্যাপক ছিল। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ পরিশোধের পরিমাণ হচ্ছে ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর মধ্যে আসল হচ্ছে ৩১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার এবং সুদ ৮ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম পাঁচ মাসে) পরিশোধ করা হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এর মধ্যে আসল ৩৫ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং সুদ ৭ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। 
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/182707