২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার, ১১:২৫

হাউজ বিল্ডিংয়ের এমডি সাড়ে ৪ কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট চান

নিজের বসবাসের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে চান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়টি অনুমোদন করার জন্য তিনি একটি আবেদনও করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে।

জানা গেছে, হাউজ বিল্ডিংয়ের এমডির এ ধরনের আবেদনে ব্যাংকিং বিভাগে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যমান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে ৬০ লাখ টাকার বেশি দিয়ে এমডিদের বসবাসের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট কেনার সুযোগ নেই। কিন্তু হাউজ বিল্ডিংয়ের এমডি এই সীমা বাড়িয়ে সাড়ে চার কোটি টাকা দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার অনুমতি চেয়েছেন।

বিএইচবিএফসি সূত্রে জানা গেছে, মাসখানেক আগে দায়িত্ব নেয়া গৃহায়ন খাতে ঋণদানকারী সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির এমডি দেবাশীষ চক্রবর্তী গত সপ্তাহে ব্যাংকিং সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠান। এতে তিনি এই আবেদনটি করেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জন্য দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের মধ্যে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের নিয়ম রয়েছে। এই আয়তনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। ২০০১ সালের অর্থ বিভাগের এক পরিপত্রের মাধ্যমে এই সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।’

বিএইচবিএফসি এমডি তার পত্রে আরো বলেন, ‘অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএইচবিএফসির পরিচালকদের জন্য ইতঃপূর্বে কোনো বাসভবন ক্রয় করা হয়নি। বর্ণিত পরিপত্রটি (বিগত ২০০১ সালের, যেখানে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য ৬০ লাখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়) দীর্ঘ ১৬ বছর আগের। বর্তমানে ধানমন্ডি, গুলশান কিংবা বনানীর অভিজাত আবাসিক এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য প্রতি বর্গফুট (কম-বেশি) ১৫ হাজার টাকা। সে মোতাবেক তিন হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করতে আনুমানিক সাড়ে চার কোটি টাকা প্রয়োজন হতে পারে। এমতাবস্থায় বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বসবাসের জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের মধ্যে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের অনুমোদন দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ব্যাংকিং বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, এত মূল্য দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার কোনো সুযোগ নেই। তিনি কেন এই আবেদন করেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন অর্থমন্ত্রী।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/199473