২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার, ১১:১৭

কেসিসিতে টেন্ডারে যুবলীগের বাধা

খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকার ঠিকাদারি কাজের সিডিউল জমা দিতে দেয়নি যুবলীগ নেতারা। এনিয়ে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল সোমবার নগর ভবনের পূর্ত বিভাগের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভের বদলে ঘৃণা প্রকাশ করেছে সাধারণ ঠিকাদারররা।

কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, টুটপাড়া তাততলা মাতৃসদন হাসপাতালের দারোয়ানের ঘর নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। দরপত্রের এস্টিমেট মূল্য ছিল তিন লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৬ টাকা। নির্ধারিত সময়ে ৪৬টি সিডিউল বিক্রি হয়েছিল। জমা পড়েছে মাত্র ৫টি। বাধা দেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।

সাধারণ ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম খলিফার নির্দেশে তার কিছু অনুসারী সাধারণ ঠিকাদারদের দরপত্র জমা দিতে দেয়নি। তারা সিডিউল জমা দিতে গেলে তাদের গালাগাল দেয়া হয়। ভয়ে ৪৬ জন সিডিউল কিনেও জমা দেয়নি।

তারা জানান, ছোট অংকের কাজগুলো ছোট ঠিকাদাররা করে থাকেন। ইদানীং এই কাজগুলোও যুবলীগ নেতারা দখল করে নিচ্ছেন। ইতোপূর্বে তিনটি কাজ এভাবে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে। এধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে কেসিসিতে ব্যবসার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম খলিফা বলেন, ছোট ভাইরা একটা কাজ করতে চেয়েছে, আমি থেকে নেগোসিয়েশন করে দিয়েছি। এজন্য আমি এক টাকাও নেইনি। কাউকে নিতেও দেইনি।

খুবিতে গ্লোবাল সলিড ওয়েস্ট
ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক সেমিনার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবনে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে গ্লোবাল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকালে সেমিনারে ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ মোঃ মুরছালিন মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান ও সেন্টার ফর কিউএমএস এর কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. সাধন কুমার ঘোষ বক্তব্য রাখেন। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে কিভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন বর্জ্যকে পরিশোধন ও পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি মোকাবেলা করতে পারি সে বিষয়ে পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি ভবিষ্যতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানান। এরপর প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ড. শিল্পী রায়। এসময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেলে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাধন কুমার ঘোষ উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

http://www.dailysangram.com/post/273695