২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সোমবার, ১:১১

খোলা জানালা

একজন শ্রাবণ ও একগাদা ভূতের বই

তারেক শামসুর রেহমান

বাচ্চা মেয়েটির বয়স কত হবে ১৪ থেকে ১৫ বছর। কিশোরী। আমাকে সে চেনে না। চেনার কথাও নয়। বইমেলায় শোভা প্রকাশ স্টলে এসে আমার সদ্য প্রকাশিত দুটি বই সম্পর্কে খোঁজ করল। মাঝে-মধ্যে আমি বইমেলায় যাই। অনেক শুভাকাক্সক্ষী, আমার অনেক ছাত্র আসে বইমেলায় আমার হাত থেকে বই দুটি নেয়ার জন্য। কিশোরীটি যখন বিক্রয়কর্মীকে বই দুটির নাম জিজ্ঞেস করছিল, আমি স্টলে ছিলাম। ও জানাল পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে বই দুটি কিনতে এসেছে। সঙ্গে ওর কাজিন। ডাক্তার। ওর নাম শ্রাবণ। মতিঝিল আইডিয়ালের ছাত্রী। সম্ভবত নবম কিংবা দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এ বয়সে তো ওর ভূত-প্রেত বা রাক্ষস-খোক্কসের বই পড়ার কথা! হঠাৎ করে ‘বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর’ কিংবা ‘নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা ও সমকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতি’র প্রতি ওর আগ্রহ বাড়ল কেন? প্রায় প্রতি বছরই আমার একটি-দুটি বই প্রকাশিত হয়। মেলায় গেলে অনেক পাঠকের সাক্ষাৎ হয়। এরা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সরকারি চাকুরে কিংবা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। ওরা সবাই সিরিয়াস পাঠক। শ্রাবণের মতো ‘ক্ষুদে’ পাঠক, পড়–য়া আমি পাইনি কখনও। আমার পরিচয় না দিয়েই আমি যখন ওর সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিলাম, আমাকে অবাক করে দিয়ে ও জানাল বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে ও জানতে আগ্রহী। কী অবাক কাণ্ড! একটা বাচ্চা মেয়ে, যার এখন বয়স হুমায়ূন আহমেদের কিশোর উপন্যাস পড়া, নিদেনপক্ষে অবাস্তব ভৌতিক, সায়েন্স ফিকশন পড়া, সে কিনা এ বয়সে বিশ্ব রাজনীতি পড়বে? এটা তো ওর সিলেবাসেও নেই? কিংবা ওকে জি-৫ পেতেও সাহায্য করবে না? তাহলে? গত দু’সপ্তাহ আগে ক্লাসে যখন পড়াচ্ছিলাম বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি, তখন আমি লক্ষ করলাম প্রথম বেঞ্চে বসা আমার এক ছাত্রীর কাছে একটি গাইড বই, যেখানে একটি ছোট্ট প্রবন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে। চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গাইড বই পড়বে! এ ব্যর্থতা তো আমার। আমি আমার ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করতে পারিনি মূল বই পড়তে। সমসাময়িক বিশ্ব রাজনীতিও ওদের অনেকের অজানা। ক্লাসে একদিন ‘ব্ল– ইকোনমি’ নিয়ে আলাপ করছিলাম। দেখলাম দু-একজনের এ সম্পর্কেও কোনো ধারণা নেই। আমি কোথায় যাব? কোন প্রজন্ম আমরা তৈরি করছি? আমরা সার্টিফিকেটসর্বস্ব একটা জাতিতে পরিণত হয়েছি। আমাদের প্রয়োজন জিপিএ৫। এটাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিলাম। এখন খোদ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে। গাইড বই যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্পর্শ করে, ছাত্ররা যদি গাইড বইনির্ভর হয়ে যায়, এ দোষ তো আমার। সারাটা বছর এখানে একদিনের জন্যও ক্লাস না করেও পরীক্ষা দেয়া যায়। ভিসিরা তাদের অনুমতি দেন পরীক্ষা দেয়ার। আর এটা উচ্চশিক্ষার জন্য গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়! আমাদের শিক্ষামন্ত্রী এটা নিয়ে গর্ব করেন। বলেন, উচ্চ শিক্ষায় আমাদের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে! গাইড বই পড়া আর জিপিএ ৫-এর ‘বিস্ফোরণ’ যদি আমাদের ‘মানদণ্ড’ হয়, তাহলে আমরা উচ্চশিক্ষায় উন্নতি করেছি বৈকি! তবে একজন শ্রাবণ আমার জন্য অনেক আশার জায়গা। আগামীতে আমরা যখন আর শিক্ষকতায় থাকব না, তখন হয়তো এই শ্রাবণরাই আমাদের জন্য আশার আলো জ্বালিয়ে রাখবে।

দুই.

বইমেলায় ভূতের ওপর একটি বই নাড়াচাড়া করছিলাম। প্রতি বছর এ ধরনের প্রচুর বই মেলায় আসে। এ যুগে কিশোরদের ভূত-পেত্নীদের গল্প শুনিয়ে কি তাকে আধুনিকমনস্ক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে? ভূত-পেত্নীদের গল্প শুনিয়ে আমরা কি সমাজকে, তরুণ প্রজন্মকে পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছি না? এটা না করে তরুণ সমাজকে যদি বিশ্বে যেসব পরিবর্তন এসেছে, তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারতাম, তাতে করে তরুণ প্রজন্ম শুধু উৎসাহিতই হতো না, বরং তাদের আরও বেশি করে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে পারতাম। আমরা তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে গর্ব করি। এ তরুণ প্রজন্মই আগামীতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। এক সময় যেসব গুণী ব্যক্তি আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা হারিয়ে যাচ্ছেন। এটাই বাস্তবতা। এটাই চরম সত্য। এখন আমরা যদি প্রতি বছর এসব ভূতমার্কা বই প্রকাশ করতে থাকি, তাহলে গুণী, মেধাবী, আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানী আমরা তৈরি করতে পারব না। আমার কাছে এ মুহূর্তে কোনো পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু কিশোরদের জন্য যেসব গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, তার একটা বড় অংশই ওইসব ভূত-পেত্নী সংক্রান্ত। কিশোরদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বই বের হয়েছে এটা ভালো কথা। সেই সঙ্গে খুব সহজ ভাষায় বাংলাদেশের ইতিহাস, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, বাংলাদেশের পরিবেশ, ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের পরিচিতি যদি তুলে ধরা যেত, আমার ধারণা একটি জ্ঞাননির্ভর তরুণ প্রজন্ম আমরা তৈরি করতে পারতাম। আমাদের লেখকদের একটা বড় অংশই এ কাজটি করেন না।

ভূত-পেত্নীদের নিয়ে লেখা বই যে এবার প্রথম বের হল, তেমনটি নয়। প্রতি বছরই বের হচ্ছে। শত শত প্রকাশক আছেন, তারা বই বের করছেন। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। হয়তো স্বস্তা জনপ্রিয়তার জন্য লেখকরা এটি করে থাকেন। কিন্তু একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কেন এমনটি করবেন? তাহলে তার সঙ্গে সাধারণ একজন লেখকের পার্থক্য থাকল কোথায়?

তিন.

পত্রপত্রিকা থেকে দেখলাম এবার প্রায় তিন হাজারের মতো বই প্রকাশিত হবে। আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত বই প্রকাশ অব্যাহত থাকবে বলে প্রকাশকরা আমাকে জানিয়েছেন। এ তিন হাজার বইয়ের মধ্যে ক’টি বই মানসম্মত? ক’টি বইকে আমরা রেফারেন্স বই হিসেবে গ্রহণ করতে পারব? ভালো রেফারেন্স বই একশ’টি পাব কিনা, তাতে রয়েছে সন্দেহ। বইমেলা থেকে আমার যা অভিজ্ঞতা, তা অনেকটা এরকম- এক. ভালো হোক মন্দ হোক প্রচুর বই বের হচ্ছে। মানুষ বই কিনছে, তা সে পড়ার জন্যই হোক কিংবা নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালার জন্য হলেও হোক, বই বিক্রি প্রতি বছর বাড়ছে। প্রকাশনা একটি শক্তিশালী ‘শিল্প’ হিসেবে এটি গড়ে উঠছে। শত শত লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। প্রকাশনার মান উন্নত হচ্ছে। তবে সমস্যাও আছে। প্রচুর বানান ভুল থাকে। ঠিকমতো সম্পাদনা হয় না। সম্পাদনা সহকারীদের তেমন প্রশিক্ষণ নেই। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তাদের সম্মানীও কম। ফলে শিক্ষিত, প্রশিক্ষিত সম্পদনা সহকারী বের হয়ে আসছে না। বাংলা একাডেমি তাদের কর্মের পরিধি বাড়িয়ে ‘সম্পাদনা সহকারী তৈরি প্রকল্প’ হাতে নিতে পারত, যার মাধ্যমে শত শত দক্ষ সম্পাদনা সহকারী আমরা পেতাম। ফলে মানসম্মত বই আমরা বাজারে পেতাম। দুই. হাজার হাজার বই প্রকাশিত হওয়ার ফলে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বইয়ের আগ্রাসন আমরা রোধ করতে পেরেছি। এটা ভালো লক্ষণ। আমার ধারণা ধীরে ধীরে আমরা আরও দক্ষ ও ভালো লেখক পাব। তিন. কিছু কিছু বই আমার চোখে পড়েছে, যেসব বই নিয়ে বাংলাদেশে এবং কলকাতায় প্রচুর গ্রন্থ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে (যেমন প্লেটো ও অ্যারিস্টটলকে নিয়ে বই)। এর প্রয়োজন ছিল না। আধুনিক সমাজে অ্যারিস্টটল কতটুকু গ্রহণযোগ্য, তা আমি খুঁজে পাইনি। উপরন্তু কলকাতা থেকে প্রকাশিত বইয়ের সঙ্গে কোথায় যেন একটা ‘মিল’ আমি খুঁজে পেয়েছি। চার. সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে প্রচুর ইংরেজি বই প্রকাশিত হয়েছে। ওইসব বইয়ের কোনো অনুবাদ আমার চোখে ধরা পড়েনি। কয়েক বছর আগে অধ্যাপক রশীদ (উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়) কয়েকটি বইয়ের অনুবাদ করেছিলেন (একটি ছিল হানটিংটনের সভ্যতার দ্বন্দ্ব)। আর কাউকে আমি এগিয়ে আসতে দেখলাম না। বাংলা একাডেমির উদ্যোগও এতে নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা ভাষায় পড়ানো হয়। ছাত্ররা (প্রায় ৯৫ ভাগ) বাংলা ভাষাতে উত্তরপত্র লেখে। এমনকি পিএইচডি ডিগ্রিও হচ্ছে বাংলা ভাষাতে। এতে দোষের কিছু নেই। ছাত্ররা বাংলা ভাষাতে ক্ল্যাসিকাল বইগুলোর বাংলা অনুবাদ পায় না বিধায় গাইড বই পড়ে। পড়তে বাধ্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে ক্ল্যাসিকাল বইগুলোর বাংলা অনুবাদের দায়িত্ব নিতে পারে। অথবা বিষয়ভিত্তিকভাবে বই প্রকাশের দায়িত্ব নিতে পারে, যা প্রকারান্তরে ছাত্রদের সাহায্য করবে। বাংলা একাডেমিও এ কাজটি পারে। কিন্তু করছে না। একই সঙ্গে যদি স্পন্সরের ব্যবস্থা করা যায়, আমার ধারণা তাতে করে লেখকরা ভূতের বই না লিখে সিরিয়াস পাঠ্যবই লিখতে উৎসাহিত হবেন। একজন ঔপন্যাসিক একটি বই লিখে যা পান, বা হুমায়ূন আহমেদ যা পেতেন, তাতে করে তাকে অন্য কিছু করতে হতো না। বিদেশে একজন লেখক শুধুই লেখেন। অন্য কোনো পেশা তাদের নেই বা থাকে না। বাংলাদেশে একমাত্র হুমায়ূন আহমেদ বাদে অন্য কেউই এভাবে নিজেকে তৈরি করতে পারেননি। অনেকেই বই লিখে অর্থ আয়ের একমাত্র পথ করতে পারেননি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি প্রকাশকরা যে সম্মানী দেন (কেউ আবার দিতেও চান না), তা নিয়ে ‘সংসার চালানো’ যায় না। এ ক্ষেত্রে যদি স্পন্সর পাওয়া যায় ক্ষতি কী। অনেক ইংরেজি বইয়ের অনুবাদ হতে পারে, যা কোনো কোম্পানির সৌজন্যে প্রকাশিত হতে পারে। এতে করে অনুবাদক বা লেখকরা একটা ভালো সম্মানী পাবেন। তারা তাতে উৎসাহিত হবেন, উজ্জীবিত হবেন। প্রকাশকদের আর্থিক ঝুঁকিও কিছুটা কম হতে পারে এতে করে। অনেক সৃজনশীল কাজে এখন স্পন্সররা যুক্ত হচ্ছেন। তাহলে বই প্রকাশনার সঙ্গে কেন নয়? পাঁচ. প্রতিবছরই একটি কথা শুনি। এবারও শুনলাম- সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা অনেক আগেই চালু হয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষায় গ্রন্থ কোথায়? এখন শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে নতুন একটি নীতিমালা থাকা উচিত, যেখানে একজন শিক্ষকের একটি টেকসই বই থাকতে হবে। না হলে তিনি পদোন্নতির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। প্রয়োজনে একজন শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে বিষয়ভিত্তিক টেকসই বই প্রণয়ন করার উদ্যোগ নিতে হবে। একজন শিক্ষক যেন উপলব্ধি করেন তার পদোন্নতি হবে না যদি না তিনি ন্যূনতম একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ ধরনের একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারে। ছয়. কিছু কিছু বইয়ে তথ্য বিভ্রাট রয়েছে। ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। একটা শক্তিশালী সম্পাদনা পরিষদ নেই বিধায় এমনটি হচ্ছে। সৃজনশীল প্রকাশকরা নিজেদের উদ্যোগে বিষয়ভিত্তিক সম্পাদনা পরিষদ গঠন করতে পারেন।

চার.

ভূতের বই বাংলা ভাষার মানোন্নয়ন কিংবা বৃদ্ধির জন্য আদৌ কোনো ভূমিকা রাখবে না। কোমলমতি শিশু-কিশোরদের জন্য আরও অনেক বিষয় যেমন- সৌরজগৎ, সোলার জগৎ, পরিবেশ, ‘ব্লাক হোল’ ইত্যাদি নিয়ে সিরিজ গ্রন্থ প্রণয়ন করা যায়। যিনি ভূত-পেত্নী নিয়ে লিখেছেন, তাকে উৎসাহিত করা যায় এসব বিষয় নিয়ে লিখতে। একুশ শতকে এসে আমাদের কিশোরদের মনোজগতে কেন আমরা ভূত-পেত্নীর কল্পকাহিনী ঢুকিয়ে দেব? এটা আমাদের জন্য হতাশার। আমার আশার জায়গায় একজন শ্রাবণকে আমি পেয়েছি যে এই কিশোর বয়সে বিশ্বকে জানতে চায়। তার এই জানার আগ্রহ আমাকে আরও বেশি উৎসাহিত করল কিশোরদের জন্য আগামী বইমেলায় ‘নতুন কিছু’ উপহার দেয়ার।

ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

tsrahmanbd@yahoo.com

http://www.jugantor.com/window/2017/02/27/104565