২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রবিবার, ১:০৩

ডিসিসিআই ও ইএবি’র প্রতিক্রিয়া

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যবসা ব্যয় বাড়বে

গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে দুই ধাপে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এতে সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হবে। শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও রফতানিকারক সমিতি (ইএবি) পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ওই দুটি সংগঠন। একই সঙ্গে সংগঠন দুটি গ্যাস সংকট নিরসনে নিজস্ব কয়লার ব্যবহার বৃদ্ধি, নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধান বিশেষ করে সমুদ্র এলাকায় গ্যাস কূপ অনুসন্ধানে বাপেক্সের কর্মকাণ্ড আরও জোরদারের তাগিদ দিয়েছে। ডিসিসিআই মনে করে, বর্তমানে গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে চাহিদামাফিক গ্যাস সংযোগ প্রদান করা যাচ্ছে না। তার ওপর মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে পণ্য উৎপাদন, রফতানি এবং পণ্য পরিবহনসহ ব্যবসায়িক সব কর্মকাণ্ডের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে খুচরা বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়বে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হবেন। স্থানীয় উদ্যোক্তারা হবেন আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

এছাড়াও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর আশংকা রয়েছে। সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তের কারণে দেশের কৃষি খাত বিশেষ করে ধান উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাবের আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে ইপিবি মনে করে, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে সব রফতানি পণ্যসহ দেশীয় সব শিল্পই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাছ, হিমায়িত খাদ্য পণ্য, কাঁচা বাজার, প্লাস্টিক, লেদার, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত শিল্পসহ সব ধরনের রফতানি বাণিজ্যে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে রফতানিমুখী শিল্প সক্ষমতা হারাবে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে যখন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সক্ষমতা অর্জনের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছিল সেই মুহূর্তে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সক্ষমতা অর্জনে একটি বাধা বলে মনে করে সংগঠনটি। ইপিবি বলছে, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে রফতানি খাতের সার্বিক উৎপাদন খরচের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। উৎপাদন ব্যয় অবশ্যই বেড়ে যাবে। সর্বোপরি রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জন আরও কষ্টসাধ্য হবে। প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়বে রফতানি খাত এবং সক্ষমতা হারাতে থাকবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক রফতানি খাতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমর্থ হবে না।

http://www.jugantor.com/last-page/2017/02/26/104249