৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, শুক্রবার, ৪:১০

সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে ব্যাংকিং খাত

‘বিচারহীনতার কারণে ব্যাংকিং সেক্টরে অপরাধ বাড়ছে’ * রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও ব্যাংকের পরিচালকরা নিজেরা ভাগাভাগি করে যে পরিমাণ মোটা অংকের ঋণ নিচ্ছেন- সেটাই খেলাপি হচ্ছে - সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
সীমাহীন দুর্নীতি, ঋণ জালিয়াতি, খেলাপি ঋণের বোঝা ও সর্বোপরি ঋণ অবলোপনের কারণে দেশের ব্যাংকিং খাত ডুবতে বসেছে। এসব অভিযোগ দীর্ঘদিনের হলেও এই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না অধিকাংশ ব্যাংক। দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থা তো আরও ভয়াবহ। আর এই যখন অবস্থা তখন বিদায়ী বছরে সব নেতিবাচক রেকর্ড ছাপিয়ে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা। বিশ্বের ব্যাংকিং ইতিহাসে কখনও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক ব্যবহার করে এমন চুরির ঘটনা ঘটেনি। তবু খোয়া গেল জনগণের ট্যাক্সের বিপুল অংকের অর্থ।
এদিকে অনেক স্বপ্ন-আশ্বাস দেখানো হলেও ব্যাংকগুলো তাদের অতিরিক্ত কস্ট অব ফান্ড আর লাগামহীন দুর্নীতির কারণে সুদের উচ্চ হার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বছরজুড়ে উচ্চ সুদ শিল্পোদ্যোক্তাদের গলার ফাঁস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ওদিকে একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যাংক থেকে জনগণের আমানত রাখা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসেবে তুলে নিয়েছে। কিন্তু পরিশোধের খবর নেই। বারবার ঋণখেলাপির খাতায় নাম উঠলেও তাদের কিছুই হয় না। বরং তারা সমাজে দিব্বি বহাল তবিয়তে আয়েশি জীবনযাপন করছেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো রাকঢাক না রেখে খোলামেলা মন্তব্য করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার তিনি যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও ব্যাংকের পরিচালকরা নিজেরা ভাগাভাগি করে যে পরিমাণ মোটা অংকের ঋণ নিচ্ছেন সেটাই খেলাপি হচ্ছে বেশি। এদের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করার সাহসও পায় না। এছাড়া শাস্তি হবে না, এটা নিশ্চিত জেনেই তারা একের পর ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করছেন।
একই ধরনের মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, মূলত বিচারহীনতার কারণে ব্যাংকিং সেক্টরে অপরাধ বাড়ছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারীদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারের উচ্চ মহলের কোনো ব্যক্তির ছত্রছায়ায় অবস্থান করছেন। এ কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ব্যাংক খাত স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বিশৃংখল। বর্তমানে সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। আর রিজার্ভ চুরিসহ এক বছরজুড়ে এটিএম বুথে জালিয়াতির ঘটনাসহ সরকারি ব্যাংকে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। কিন্তু কোনো ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার কিছুই হয়নি। তিনি মনে করেন, এসব অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক লুটপাট ঠেকানো যাবে না।
ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা ২০১৬ ব্যাংক ও আর্থিক খাতের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও লজ্জাকর বছর। চাঞ্চল্যকর অনেক ঘটনার জন্ম দিয়ে বিদায় নিচ্ছে সালটি। একই সঙ্গে বছরটি বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইতিহাসে প্রথম রিজার্ভ চুরির মতো বড় ঘটনার সাক্ষী। শুধু তাই নয়, ঘটনার গুরুত্ব বেড়েছে আরও দুই কারণে। চুরি হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় অর্থ বের করে নেয়া হয় আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটের মাধ্যমে। যার বিশ্বস্ততা নিয়ে কখনও প্রশ্ন ছিল না। এছাড়া বছরের শুরুতে তিন ব্যাংকের এটিএম বুথে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরটিতে ব্যাংক খাতে ছিল সীমাহীন লুটপাট, লাগামহীন দুর্নীতি, ঋণ জালিয়াতি, খেলাপি ও ঋণ অবলোপনে উল্লম্ফন, পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগির মহোৎসব, ব্যাংকের এমডি-ডিএমডি গ্রেফতার ও চাকরিচ্যুতির ঘটনা। বিশেষ করে গত জুন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সব ব্যাংকের পরিচালকরদের ভাগাভাগি করে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা ছিল বিস্ময়ের বিষয়। ব্যাংক মূলধনের ৯০ শতাংশের মালিক সাধারণ আমানতকারী। অথচ ১০ শতাংশ মালিকানার পরিচালকরা এভাবে ঋণ নিয়ে গুরুতর অনিয়ম করেছেন।
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে আরও বলেন, বছরটি ছিল ব্যাংক খাতের জন্য মর্মান্তিক ও লজ্জাকর। বিশেষ করে ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগির বিষয়টি ভয়ানক। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালকরা বেশি এগিয়ে। এছাড়া সরকারি ব্যাংকের রোগে ধরেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে। আগে বেসরকারি ব্যাংকে এত অনিয়ম ছিল না। এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকের অনিয়ম রোধে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, সরকারি ব্যাংকে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। পুনর্গঠন করা ঋণ আবার খেলাপি হওয়ায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা রিজার্ভ চুরি। এটি শুধু দেশে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি যাওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক কাদা ছোড়াছ–ড়ি হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ হয় আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফট। সমালোচনা এড়াতে পারেনি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কও। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে পৃথক তদন্ত চলছে। বিদেশী তদন্তে আংশিক ফল পাওয়া গেলেও দেশীয় তদন্তে আনুষ্ঠানিক কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিটির তদন্ত শেষ হয়েছে বহু আগে। কিন্তু সে প্রতিবেদন আজও প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত দল সিআইডির তদন্ত কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৪ ফেব্র“য়ারি হ্যাকাররা ৩৫টি ভুয়া আদেশ পাঠায় নিউইয়র্ক ফেডের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। তাতে ৫টি আদেশ কার্যকরের মাধ্যমে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়া হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। আর ফিলিপাইনে চলে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দেড় কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেলেও বাকি অর্থের কোনো হদিস মিলছে না।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছরে প্রথম কোনো গভর্নরের পদত্যাগের ঘটনা ঘটল বাংলাদেশ ব্যাংকে। রিজার্ভ চুরি ঘটনায় ঘরে-বাইরে সীমাহীন চাপের মুখে পড়েন তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ব্যাপক সমালোচনার এক পর্যায়ে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। একই অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে আবুল কাশেম ও নাজনীন সুলতানাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই দিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলমকেও প্রত্যাহার করা হয়। তবে অভিযোগের তীর যাদের দিকে বেশি তাদের কিছুই হয়নি। বিশেষ করে এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে ঋণের নামে প্রায় শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান খানকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই মামলায় ব্যাংকের প্রধান শাখার ডিজিএম আখতারুল আলম ও এজিএম মো. শফিউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩০ জুন গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এমডির দায়িত্ব বুঝে নেন। এর আগে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ১ নভেম্বর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এ মোনায়েম খানকে চাকরিচ্যুত করে বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বেসিক ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা অনিয়মের ঘটনায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে ৩৫টি মামলায় আসামি মোনায়েম খান।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের শেষের দিকে ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ছিল ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে খেলাপি বেড়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে ৩৫ হাজার কোটি টাকা থেকে ঋণ অবলোপন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকায়।
শুধু ব্যাংক নয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও বছরটিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ২০১৬ সালে দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ম ভেঙে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন পরিচালকরা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) থেকে ৭০৩ কোটি টাকা নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। আর পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৫৭০ কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ পরিচালক।
এসব অনিয়মের ঘটনায় প্রতিষ্ঠান দুটির বেশির ভাগ পরিচালককে অপসারণ করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তনের পাশাপাশি মালিকানাও বদল হয়েছে। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। মালিকানা বদল হলেও পিপলস লিজিংয়ে আবার ঋণ দেয়ায় অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই ব্যাংকগুলোতে নানা ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটেছে। এখন নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও (এনবিএফআই) অনিয়মের ঘটনা ধরা পড়ছে। যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়ম ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এ প্রসঙ্গে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ব্যাংকের পাশাপাশি এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও অনিয়ম ছড়িয়ে পড়েছে। অনিয়ম রোধে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
২০১৩ সালে কার্যক্রমে আসা নতুন ৯ ব্যাংক নানাভাবে টিকে থাকার লড়াইয়ে থাকলেও ২০১৬ সালে আরও দুটি নতুন ব্যাংক কার্যক্রমে আসে। একটি দেশীয় সীমান্ত ব্যাংক। অপরটি বিদেশী দোহা ব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত উল্টোপথে চলছে। এর অন্যতম উদাহরণ পুনর্গঠিত ঋণ আবারও খেলাপি হচ্ছে। এটি ব্যাংক খাতের জন্য অশনি সংকেত। এছাড়া ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় আসা ৯ ব্যাংকের অধিকাংশের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ। এর মধ্যে ২০১৬ সালে আরও নতুন দুই ব্যাংক কার্যক্রমে আসা খুব ভালো দেখাচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।
http://www.jugantor.com/first-page/2016/12/30/89091/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A4