২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শনিবার, ১০:১০

জনজীবনে অস্থিরতা

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এবং ‘গোদের উপর বিষ ফোঁড়া’ প্রবাদ দু’টির নামান্তর। গ্যাস নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ভোক্তারা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দিনে কয়েক ঘন্টা গ্যাস নিভু নিভু জ্বলে। লাখ লাখ ভোক্তাকে গ্যাসের অভাবে দুপুরের রান্না করতে হয় বিকেলে। এরই মধ্যে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পরের দিনই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভোক্তারা। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা যেন জনজীবনে অস্থিরতার দাবানল ছড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী, পরিবহন মালিক, কৃষক সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, গ্যাস মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষকে জীবন চালাতে হিমশিম খেতে হবে। বেড়ে যাবে শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়। পরিবহন ভাড়া বাড়বে। যার বিরূপ প্রভাব পড়বে অর্থনীতির সকল সূচকে। খোদ ক্ষমতাসীন দলের শরীক রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি ও হাসানুল হক ইনুর জাসদ গ্যাসের দাম বাড়ানোকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘তামাশা’ বলে মন্তব্য করেছে। দল দু’টি গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে।

আগামী ১ লা মার্চ ও ১ জুলাই দুই ধাপে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য কার্যকর নিয়েই নগর জীবনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যানবাহন ও পরিবহনের মাইল প্রতি কী পরিমাণ ভাড়া বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে হিসেব নিকেষ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতি। বাড়িওয়ালারাও বাসা ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসে যে পরিমাণ চুরি হয় সেটা রোধ করা গেলে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়তো না।

গ্যাস দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আগাম পূর্বাভাসের সমালোচনা করেছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী সংগঠন, বিভিন্ন্ সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের খেটে খাওয়া মানুষ। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে আধা বেলা হরতালের ডাক দিয়েছে সিপিবি ও বাসদ। ওইদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই হরতাল পালন করবে তারা। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান এক বিবৃতির মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তেল গ্যাস বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের শরীক ১৪ দলীয় জোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণাকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তারা বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ ভোক্তারা। এর ফলে জনজীবনে সংকট বাড়বে। আবাসিক ব্যবহারকারীরা চাহিদা মতো গ্যাস পাচ্ছেন না। গ্যাস ঘাটতিরও কোনো সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় এই মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা গ্রাহকদের সঙ্গে তামাশা ব্যতীত অন্য কিছু নয়। বিবৃতিতে নেতারা প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালনায় ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা, দুর্নীতি, সিস্টেম লস রোধ করে গ্যাসের মূল্য জনগণের সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। জাসদের কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য শিরীন আখতার এক বিবৃতিতে গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত জনজীবনে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। তাঁরা গ্যাসের এ অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এদিকে, এমন একটি সময়ে এই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে যখন গ্যাস ঘাটতির কোন সুরাহা হয়নি। এমতাবস্থায় এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা গ্রাহকদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। আর হাজারিবাগের বাসিন্দা নিম্ন আয়ের রহিমা খাতুন ক্ষোভের সাথেই জানতে চেয়েছেন, ‘আমাগো ওপর জুলুম চাপাইয়া সরকারের কী লাভ?’ তার বক্তব্য হচ্ছে-দাম না বাড়িয়ে আমরা যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করছি-ওই পরিমাণ গ্যাসের বিল নেয়া হোক। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছি-তার চেয়েও বেশি বিল আমাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই পরিস্থিতির নিরসন চেয়ে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় বাজারে যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, এতে করে তার অভাবের সংসারে আরও দুর্দশা নেমে আসবে।

অপরদিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আজ শনিবার দেশব্যাপী গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। রাজপথ, সড়ক, মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এ জন্য দেশবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন কমিটির নেতারা। বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে কর্মসূচি পালিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় শহীদ মতিউল কাদের চত্বরে (প্রেসক্লাব) অবস্থান নেওয়া হবে।

দুই ধাপে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির সভাপতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এ দাবি জানান। তারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণায় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ ভোক্তারা। এতে জনজীবনে সংকট বাড়বে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আবাসিক ব্যবহারকারীরা চাহিদা মতো গ্যাস পাচ্ছেন না। গ্যাস ঘাটতিরও কোন সুরাহা হয়নি। এমতাবস্থায় এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা গ্রাহকদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তারা প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালনায় অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ‘সিস্টেম লস’ রোধ করে গ্যাসের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের প্রতি দাবিও জানান।

তবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার লুটপাট চালাতেই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াবে। গতকাল নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এই কথা বলেন। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দাবি করে রিজভী বলেন, এ জন্যই সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। অবশ্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর সমালোচনা করলেও এর প্রতিবাদে বিএনপি কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়াতে এবং সরকারের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ কমাতেই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের কাছে দেশবাসী যেখানে গণবান্ধব পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে; সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রমাণ করলো তারা জনবিচ্ছিন্ন সরকার।

এদিকে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর বিদ্যুতের দামও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের প্রাইসটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দামও আমরা অ্যাডজাস্ট করতে চাই। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শিশু একাডেমীতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে ৩০-৩৫ লাখ গ্রাহক পাইপ লাইনে গ্যাস পায়, বাকি কোটি কোটি লোকের কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হল সারা বাংলাদেশে আবাসিক খাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি দেওয়া, আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহার থেকে সরে আসতে চাই, এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে চাই এবং এলপিজির দাম সহনীয় রাখতে চাই।

গ্যাসের দাম বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষ থেকে। ক্যাব জানায়, গ্যাসের দাম বাড়ার প্রভাবে বাসা ভাড়া ও পরিবহন খরচ এবং নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গণশুনানি করলেও সাধারণ মানুষের মতামতের মূল্যায়ন করা হয়নি। এটা রিভিউ করা উচিৎ। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ক্যাবের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলেছি দাম বাড়ানো কোনো কারণ নেই। এটা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন থাকবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার আরেক দফা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। দুই ধাপে এই বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে। গড়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এতে করে আবাসিকে এক চুলায় গড়ে ৫০ ভাগ এবং দুই চুলায় গড়ে ৪৬ ভাগ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে আবাসিকের মিটার ব্যবহারকারীদের। মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের দাম বেড়েছে গড়ে ৬০ ভাগ।

গৃহস্থালি খাতে প্রথম দফায় আগামী ১ মার্চ থেকে এক চুলার মাসিক বিল ৭৫০ টাকা ও দুই চুলার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আগামী ১ জুন থেকে মাসিক বিল এক চুলার ক্ষেত্রে ৯০০ টাকা ও দুই চুলার ক্ষেত্রে ৯৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।

এ ছাড়া সিএনজির দাম ১ মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার হবে ৩৮ টাকা ও ১ জুন থেকে হবে ৪০ টাকা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার কারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক, চা-বাগান প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিকসহ কয়েকটি শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বর্তমানে দুই চুলার বিল ৬৫০ এবং এক চুলার বিল ৬০০ টাকা দিচ্ছেন গ্রাহকেরা। ওই সময়ের আগে দুই চুলায় ৪৫০ ও এক চুলায় ৪০০ টাকা দিতেন গ্রাহকেরা। এ ছাড়া সব গ্রাহকশ্রেণির ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম সর্বশেষ বাড়ানো হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে।

গত বছর গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য পেট্রোবাংলার প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। সেখানে আবাসিকে ২ চুলার জন্য মাসিক বিল ১ হাজার ২০০ টাকা, ১ চুলার জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা করার প্রস্তাব করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে এই খাত থেকে সরকারের বছরে ৪ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা আয় বাড়বে বিইআরসি জানায়। তবে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জানায়, এমনিতেই বিতরণ কোম্পানিগুলো এখন লাভে আছে। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর এই লাভ আরও বাড়বে।

নতুন দাম ঘোষণা করার সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, জ্বালানি ব্যবহারে বৈষম্য কমাতে দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে সহনীয় পর্যায়ের এই মূল্য বৃদ্ধি জীবনযাত্রার মানে তেমন প্রভাব ফেলবে না। 

http://www.dailyinqilab.com/article/66335