৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার, ৩:৫৪

ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে রেলের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের মিল!

বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘ট্্েরড অ্যাপ্রেন্টিস’ পদে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই হাতের লেখা প্রশ্নপত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথমে ছড়ায়। পারে কেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপির দোকানে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দুপুরে পরীক্ষা শেষে সকালে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নের সাথে মিল খুঁজে পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
তবে বাংলাদেশ রেলের পরিচালক ভারপ্রাপ্ত (জনসংযোগ) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘রেলের রিক্টুইন্টমেন্ট হয় জোনে। কাজেই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে পূর্ণ কর্তৃত্ব সংশ্লিষ্ট জোনের জেনারেল ম্যানেজারের। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে তিনি অবহিত নন বলে জানান।
এ দিকে একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, এভাবে যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তাহলে এত কষ্ট করে পরীক্ষা দেয়ার দরকার কি। আমরা অনেক কষ্ট করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি, কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে আমাদের প্রকৃত মেধা যাচাই হচ্ছে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবদুল হাই, রেলের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তা অজয় কুমার পোদ্দারের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ১৮০ পদের বিপরীতে প্রায় ১৭ হাজার আবেদন জমা পড়ে। যাচাইবাছাই শেষে আট হাজার ৫০০ জনের কাছে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মোট সাতটি কেন্দ্্ের গতকাল শুক্রবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামে চারটি কেন্দ্র পাহাড়তলী রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়, রেলওয়ে পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় (পলোগ্রাউন্ড), ডা: খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও এনায়েত বাজার মহিলা কলেজে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/183305