১৯ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩৮

বন্যায় দুর্ভোগ চরমে

পানিতে ভেসে ১০ জনের মৃত্যু

 টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে আকস্মিক বন্যার খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নতি হলেও অবনতি হচ্ছে সিলেট জেলায়। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নি¤œাঞ্চল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভুইঞা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি আরও উন্নতির আশা করেন। তবে সর্বশেষ তথ্যমতে হবিগঞ্জে খোয়াই, মনু, ধলাই, ফেনীতে মুহুরী নদী ও মাইনী নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করছে তিস্তা নদীর পানি। ফলে নতুন নতুন জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব জেলায় অনেক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বিভিন্ন উপজেলা শহর রক্ষা বাঁধ। বিভিন্ন স্থানে পানিতে ভেসে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বন্যার কারণে সিলেটের সাথে বিভিন্ন উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে বাধ্য হয়ে বসবাস করছেন আকাশের নিচে । বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে দুর্গত এলাকার মানুষ। গরু-ছাগল, হাঁস, মুরগীসহ গৃহপালিত পশু, আর মানূষে বসবাস চলছে একই ছাদের নিচে। তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের । পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা করছেন তারা। ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ। গবাদি পশুর মৃত্যুসহ নষ্ট হয়েছে অনেক ফসলিজমি ও বাড়িঘর। তলিয়ে গেছে কৃষকের আউশ ক্ষেত। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট । এখনো পানিতে সয়লাব বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট।

https://www.dailyinqilab.com/article/137079