ফাইল ছবি
২৩ মে ২০১৮, বুধবার, ১০:৩৭

পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মাস আগে কাঠামো পরিবর্তনে উদ্বেগ

অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা

অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা কাঠামোতে আবারো পরিবর্তন আসবে, যার সিদ্ধান্ত হবে ২৮ মে। এই নতুন কাঠামোতেই পাঁচ মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী (জেএসসি) পরীক্ষা। নতুন কাঠামো কী হবে এখনও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জানানো হয়নি। গণমাধ্যম থেকে শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আংশিক তথ্য পেয়েছে। যার ফলে উত্কণ্ঠায় রয়েছে সকলেই।

পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মাস আগে কেন আগের পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, বছরের শুরুতেই এ কাঠামো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হতো। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় শিক্ষাবর্ষ। এর আগে প্রাথমিক স্তরের এমসিকিউ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয় শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার দ্বিতীয় মাসের শেষ সপ্তাহে।আগামী ১ নভেম্বর চলতি বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসি মিলিয়ে ২০ লাখের মতো শিক্ষার্থী অংশ নেবে।

তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষাবোর্ড জেএসসির জন্য নতুন পরীক্ষা কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছে। ওই প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

বর্তমানে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলার মূল্যায়ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয়। তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতোই অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সাত বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা সাত দিনে শেষ হবে।

বাংলা ১ম ও ২য় পত্র মিলে ১০০; পূর্বের ১৫০ নম্বর থেকে ৫০ বাদ যাবে। ইংরেজি দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বর, ৫০ নম্বর বাদ যাবে। গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ১০০, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ১০০, ধর্মে ১০০ এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে ৫০ নম্বরসহ মোট ৬৫০ নম্বর। আগে গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষিসহ ১০টি বিষয়ে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হতো। এবার সবমিলে নম্বর কমবে ২০০।

অভিভাবকরা বলেন, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন তা বছরের শুরুতে নয় কেন। এছাড়া এবার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবছরই কেন বাস্তবায়ন করতে হবে? কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে এটা এক প্রকার তামাশা ছাড়া কিছুই নয় বলেন রফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক। অভিভাবক সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ২০১৮ সালে না করে ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষা থেকে প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করলে সুফল পাওয়া যাবে।

উৎকণ্ঠায় ছিল প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও: শিক্ষাবর্ষ শুরুর ২ মাস পরে প্রাথমিক শিক্ষাসমাপনী থেকে এমসিকিউ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ উত্কণ্ঠায় ছিল শিক্ষার্থী অভিভাবরা। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) থেকে জানানো হয়, এ বছর এই পরীক্ষার ৬টি বিষয়ের শতভাগ প্রশ্নই হবে কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে (সৃজনশীল)। এর এক সপ্তাহ পর পরীক্ষা সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।

http://www.ittefaq.com.bd/education/2018/05/23/157995.html