৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার, ২:৩৪

নতুন বছর কতটা নতুন হবে?

কালের গর্ভে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। কেমন কাটবে ২০১৭? বিদায়ী বছরে অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো চলতি বছরের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। গেল বছরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। প্রথমটি জঙ্গিবাদের প্রসার এবং দ্বিতীয়টি নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠুভাবে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। জঙ্গিবাদের প্রসারের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় এবং বছরের শেষ দিনগুলো পর্যন্ত এর ভয়াবহতা আমরা অনুভব করেছি। জঙ্গিবাদের প্রসারের পাশাপাশি আমরা লক্ষ করেছি আত্মঘাতী নারী জঙ্গিদের উত্থান। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জঙ্গিবাদের উত্থান সাম্প্রতিককালে ঘটলেও নারী আত্মঘাতী বোমারুদের সংবাদ ছিল এই প্রথম। ঢাকার আশকোনায় নারী আত্মঘাতী বোমারু একটি বড় সংবাদের জন্ম দিয়েছে বটে; একই সঙ্গে রেখে গেছে অনেক প্রশ্ন। এ ঘটনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। ২০১৫ সালেও আমরা জঙ্গিবাদের তৎপরতা লক্ষ করেছিলাম। ওই সময় একজন ইতালিয়ান ও একজন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল, ওইসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইএস জড়িত। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আইএস-সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করা হয়েছিল।


২০১৬ সালের জুনে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা এবং বেশ কয়েকজন জঙ্গিসহ ২৮ জন মানুষের মৃত্যুর খবর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। এই জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি নাম- ‘নিউ জেএমবি’ বা ‘নব্য জেএমবি’। জেএমবির একটি অংশ নতুন করে সংগঠিত হয়েছে। যেটা সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ তা হচ্ছে, ‘নব্য জেএমবি’ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের, বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে। বিদেশ থেকে আসছে অর্থ ও অস্ত্র। এরই ধারাবাহিকায় আমরা লক্ষ করেছি আশকোনায় জঙ্গিদের সমাবেশ এবং বড় ধরনের একটি ‘জঙ্গি’ হামলার আশংকা। ওই জঙ্গি হামলা শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দাদের তৎপরতার কারণে সফল হয়নি। তবে ২০১৬ সালজুড়ে জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়ার একটি উদ্যোগ লক্ষ করা যায়। আশকোনার মতো ঢাকার কল্যাণপুরেও জঙ্গিরা সমবেত হয়েছিল। ফলে ভয়ের কারণ হচ্ছে, ২০১৭ সালেও জঙ্গিরা তাদের অপতৎপরতা চালাতে পারে। অর্থাৎ আমাদের ঝুঁকির মুখে থাকার আশংকা রয়েই গেল।

গত দু’বছরে জঙ্গি দমনে ব্যাপক সরকারি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ‘কাউন্টার টেরোরিজম ফোর্স’ গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে সোয়াতের মতো সংস্থাও। জঙ্গিদের মূলধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সরকার আর্থিক সহযোগিতাও দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় আতংকের কারণ হচ্ছে নারী আত্মঘাতী বোমারুদের জন্ম। এটা প্রমাণ করে, জঙ্গি সংস্কৃতি আমাদের সমাজে প্রবেশ করেছে। এরা বিভ্রান্ত। শুধু আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে জঙ্গি দমন করা যাবে না। প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা। ইসলামী স্কলারদের ব্যবহার করাও জরুরি। ইসলামী স্কলারের নামে যারা টিভি পর্দায় আসেন, তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ক্যাম্পাসগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর কথা আমরা বলেছিলাম। সেটা খুব একটা হয়নি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছে বা নিখোঁজ হয়ে আছে, তাদের সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এতটুকু খোঁজখবর নিয়েছে বলে মনে হয় না। ফলে জঙ্গি রোধে মাঝে-মধ্যে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে, তারপর সব যেন ঝিমিয়ে যায়। পরে জঙ্গি দমনে তেমন কোনো তৎপরতা আমরা দেখি না। সুতরাং নতুন বছর জঙ্গিবাদের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ইসলামের নামে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তা রোধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। ইন্টারনেটে নজরদারি বাড়াতে হবে।

রাজনীতিতে ২০১৬ সালে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। একটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে একটি ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর’ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ। উভয় ঘটনাকে পর্যবেক্ষকরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে নাসিক নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ, নির্বাচনের পর হেরে যাওয়া বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের বাসায় বিজয়ী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর গমন এবং তার সহযোগিতা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার ঘোষণা সমসাময়িক রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যে আস্থার সম্পর্ক থাকা দরকার, তা অন্তত একটি জায়গায় (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা দেশের সামগ্রিক রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ২০১৭ সালের রাজনীতিতে নাসিক নির্বাচন কতটুকু প্রভাব ফেলবে, সেটাই দেখার বিষয়। নাসিক নির্বাচন অনেকগুলো কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির নির্বাচনী রাজনীতিতে ফিরে আসা, সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ না করা এবং দলীয় সরকারের অধীনে যে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ সম্ভব তা প্রমাণ করা, নির্বাচন কমিশনের সফলতা, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘শক্ত’ অবস্থান ইত্যাদি নাসিক নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। ওই নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এর আগে অবশ্য যেসব স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তা সুষ্ঠু হয়নি। আমাদের সামনে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনের দুটো মডেল ছিল ফেনীর নির্বাচন ও নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সংস্কৃতির প্রতি মানুষের ‘আস্থা’ ফিরে এসেছে। মানুষ নির্বাচনমুখী হয়েছে।

গেল বছরের শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ শুরু করেছেন, তা চলতি বছরের প্রথম দিকেও অব্যাহত থাকবে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর আমরা নতুন একটি নির্বাচন কমিশন পাব। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন প্রণয়ন করার কথা সংবিধানে বলা হয়েছে (১১৮-১), দীর্ঘ ৪৫ বছরে কোনো সরকারই এ আইনটি প্রণয়ন করেনি। ডিসেম্বরে (২০১৬) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে আসে। একই সঙ্গে একটি ‘নিরপেক্ষ’ ও ‘যোগ্যতাসম্পন্ন’ নির্বাচন কমিশনের দাবিও ওঠে। রাষ্ট্রপতি তার সাংবিধানিক অধিকার বলে (১১৮-১ ও ৪৮) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। কিন্তু তা সব পক্ষকে কতটুকু খুশি করতে পারবে, সে প্রশ্ন রয়ে গেছে। কেননা সিইসিসহ কমিশনারদের নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা থাকলেও ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দুটি ক্ষেত্র ছাড়া (প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ) অন্য সব নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ‘প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ’ নিতে বাধ্য। ফলে রাষ্ট্রপতি যাদেরই নিয়োগ দিন না কেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শের’ বাধ্যবাধকতা একটি ‘সূক্ষ্ম অসন্তোষ’ সৃষ্টি করতে বাধ্য।

এই নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব অনেক। কারণ তাদের ওপর বর্তাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে ‘সব দলের অংশগ্রহণ’ এবং একটি নির্বাচন আয়োজন করা চাট্টিখানি কথা নয়। আমরা স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার করেছি। তার পরও একটি বড় ‘ব্যর্থতার’ জায়গা হচ্ছে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার অভাব। এই আস্থার অভাবের কারণে গণতন্ত্র বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। আমরা একটি ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখছি। ফলে যে নির্বাচন কমিশনটি গঠিত হতে যাচ্ছে, চলতি বছরটি তাদের জন্য হবে একটি ‘লিটমাস টেস্ট’, অর্থাৎ পরীক্ষার সময়। তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু বাড়াতে পারবেন, সেটাই হবে মূল আলোচনার বিষয়। সংবিধানের ১১৮-৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তারা সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু কাজী রকিবউদ্দীনের কমিশন সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে ‘স্বাধীনভাবে নির্বাচন’ পরিচালনা করতে পারেনি। সরকারের ‘চাপ’ তারা অস্বীকার করতে পারেননি। ফলে যে নির্বাচন কমিশনটি গঠিত হতে যাচ্ছে তার ‘ভূমিকা’ নিয়ে একটা শংকা থেকেই গেল। একটি সার্চ কমিটিই সব সমস্যার সমাধান এনে দেবে না। আমরা যেন ভুলে না যাই কাজী রকিবউদ্দীন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নিয়োগ পেয়েছিলেন। ফলে ‘আস্থার সম্পর্ক’ গড়ে তোলাটাই জরুরি।

গেল বছর দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাতীয় কাউন্সিল করেছে। কিন্তু কাউন্সিলের মাধ্যমে নয়া নেতৃত্ব বেরিয়ে আসেনি। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন এসেছে। নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। অবশ্য আওয়ামী লীগের মূল কাণ্ডারি এখনও শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে এবং তাকে কেন্দ্র করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ৩৫ বছর ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। যদিও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তিনি খুশি হতেন যদি তিনি অবসরে যেতে পারতেন; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি ছাড়া দলের নেতৃত্ব দেয়ার মতো এ মুহূর্তে কেউ নেই। ফলে সঙ্গত কারণেই তিনি নেতৃত্বে থেকে যাচ্ছেন এবং তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির ৩৫ বছরই, অর্থাৎ অর্ধেক সময় ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। বোধকরি এটা একটা রেকর্ড। অন্যদিক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বয়স প্রায় ৩৯ বছর। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া এ দলটির ১৯৮৩ সাল থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন খালেদা জিয়া। সেই অর্থে দীর্ঘ ৩৩ বছর তিনি দলটির চেয়ারপারসন। দলটি ২০১৬ সালে কাউন্সিল করেছে। কিন্তু এই কাউন্সিলে নয়া নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়নি। বলা যেতে পারে, দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখনও পুরনো নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। আওয়ামী লীগ অবশ্য কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে উপদেষ্টামণ্ডলীতে স্থান দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি তা করেনি। নিয়ম রক্ষার্থে দল দুটি কাউন্সিল করেছে। কিন্তু তাতে পরিবর্তন এসেছে অতি সামান্যই।

গেল বছরের (২০১৬) একদম শেষের দিকে সরকার জেলা পরিষদের নির্বাচন আয়োজন করে। এর একটি ইতিবাচক দিক ছিল। সেই সঙ্গে ছিল নেতিবাচক দিক। সংবিধানের ১১নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসনের সকল পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ এ ক্ষেত্রে জেলা পরিষদের নির্বাচন একটি নির্বাচন বটে। কিন্তু তাতে করে ‘জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ’ নিশ্চিত হয়নি। কারণ এটা পরোক্ষ নির্বাচন। ভোট দিয়েছেন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। বলা যেতে পারে, ওই নির্বাচন ছিল অনেকটা একদলীয় ও একতরফা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ‘বিদ্রোহী’ আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। উপরন্তু ৬১ জন জেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ১৩৭ জন সদস্য ও ৫১ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘বিজয়ী’ হওয়ায় জেলা পরিষদের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

কাজেই চলতি বছরের রাজনীতিতে প্রাধান্য পাবে কয়েকটি বিষয়। এক. আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে আদৌ কোনো আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে কিনা। দুই. রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশনারদের (একজন সিইসি ও চারজন সদস্য) নিয়োগ দেবেন, তাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে কতটুকু। বিএনপি এই নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নিয়ে ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে কিনা। তিন. জঙ্গিবাদ কতটুকু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে। আমার বিবেচনায় এ তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই ২০১৭ সালের রাজনীতি আবর্তিত হবে।

ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

tsrahmanbd@yahoo.com
http://www.jugantor.com/sub-editorial/2017/01/01/89783/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87?