২০ আগস্ট ২০১৭, রবিবার, ৯:১৮

একদলীয় শাসনের পথে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ

কোন্ পথে চলেছে দেশ? এই প্রশ্নটি আমরা অতীতে অনেক বার উত্থাপন করেছি। প্রতিবারই একটা না একটা গুরুতর সঙ্কট উপস্থিত হয়েছে, আর তখন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু এবার যে সমস্যা ও সঙ্কটের উদ্ভব ঘটেছে সেটি অতীতের সব সঙ্কটকে ছাড়িয়ে গেছে। সঙ্কটটি যদি রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক অথবা নেতা ও ব্যক্তি কেন্দ্রিক হতো তাহলে হয়তো আমরা সেটিকে এতখানি গুরুতর বলে ভাবতাম না। কিন্তু এখন যে সঙ্কটের উদ্ভব ঘটেছে সেটি দেশকে নিয়ে, দেশের রাজনীতি নিয়ে, দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে। সেজন্যই শুধু আমরা নই, শিক্ষিত সচেতন সমস্ত দেশবাসীই উদ্বিগ্ন। সম্ভবত সে কারণেই ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেছেন যে, দেশ সুনিশ্চিতভাবে একদলীয় শাসনের পথে ধাবিত হচ্ছে। ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন সেই দুইজনের একজন যিনি ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রস্তাব সংসদে পাস হলে এর প্রতিবাদে জাতীয় সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। আরেক ব্যক্তি হলেন জেনারলে মোহাম্মদ এম এ জি ওসমানি। তিনিও একদলীয় বাকশাল কায়েমের প্রতিবাদে জাতীয় সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। তখন প্রধান মন্ত্রী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ৪র্থ সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয়। সকলেই জানেন যে, ৪র্থ সংশোধনী বলে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়। তার বদলে একদলীয় প্রেসিডেন্সিয়াল এক নায়কতন্ত্র কায়েম হয়। সেনাবাহিনী, বেসামরিক আমলাতন্ত্রসহ সকলকে বাকশালে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়। মাত্র চারটি সংবাদপত্র রেখে আর সমস্ত সংবাদপত্র বিলোপ করা হয়। এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার প্রতিবাদেই জাতীয় সংসদ থেকে জেনারেল এম এ জি ওসমানি এবং ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেই মঈনুল হোসেন এখন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন যে, দেশ একদলীয় ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

গত ১৭ই অগাস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে মঈনুল হোসেন বলেন, দেশ একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের সাথে যে সঙ্ঘাত এটি শেষ ধাপ। নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে গেছে, সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যে সংসদ গঠিত হয়েছে তাতে কোনো বিরোধী দল নেই। বিরোধী দল ছাড়া সংসদীয় সরকার চলতে পারে না। অথচ বলা হচ্ছে, এই সংসদকে অকার্যকর বলা চলবে না। এখন আছে শুধু বিচার বিভাগ। এই বিচার বিভাগ যদি ধ্বংস করা যায়, অধীনস্থ করা যায়, তাহলে তো হয়ে গেল। একনায়কত্ববাদী শাসন কায়েমের শেষ পর্যায়ে এসে এগুলো করা হয়। একদলীয় শাসনে এই বিরোধ অনিবার্য ছিল। তিনি বলেন, বাকশাল কায়েমের পূর্বে যে অবস্থা বিরাজ করছিল তার সাথে বর্তমান অবস্থার অনেকখানি মিল খুঁজে পাচ্ছি। সেদিকে ক্ষমতাসীনেরা যাবেই এবং যাচ্ছে। কারণ, আওয়ামী লীগের ওপর সওয়ার হয়েছে গণতন্ত্র বিরোধী শক্তি। ফলে এই পদক্ষেপগুলোকে সেভাবে দেখতে হবে। বিচার বিভাগের সাথে সংঘাতে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী ছিল। আসলে তারা বিচার বিভাগকে নতজানু রাখতে চায়। বিচার বিভাগকে প্রধান মন্ত্রীর অধীনে রাখতে চায়। বঙ্গবন্ধুর সময় এমন করা হয়েছিল। তিনি ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন, সংসদের হাতে দেননি।

সে সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর এ ধরনের শক্তি সওয়ার হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অসুবিধা ছিল, তিনি দেশে আসার পর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি এসে যে পরিস্থিতি দেখলেন, তা ছিল সম্পূর্ণ নতুন। ফলে তার সরকার ব্যর্থ হচ্ছিল। একমাত্র বামপন্থীরা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল। জাসদ বিভিন্ন স্থানে মানুষ খুন করল। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে এমন হওয়ার কথা ছিল না।

সরকারের মন্ত্রীরা পালা করে প্রতিদিন একের পর এক প্রধান বিচারপতির অপসারণ চাচ্ছেন, এ ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্বের এমন কোনো দেশ আছে যেখানে মন্ত্রীরা উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের পদচ্যুতি বা চাকরিচ্যুতি চান। তিনি বলেন, সামরিক শাসন যদি এতই খারাপ হয়ে থাকে সামরিক শাসনের অধীনে কারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল? সেই পার্লামেন্টকে কেন অবৈধ বলা হচ্ছে না? সামরিক শাসন আমলে হোক, আর যে আমলে হোক, সংসদ যা বৈধ করেছে তা এখন সংবিধানের অংশ। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৭০ সালে জেনারেল মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন। তিনি সারা পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেন। কিন্তু এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তিনি একটি লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার বা এল এফ ও জারি করেন। সেই এল এফ ও’র সীমাবদ্ধ পরিসরে সামরিক শাসনের অধীনে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। সেই পটভূমিতেই ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন যে, সামরিক শাসন যদি এতই খারাপ হবে তাহলে সামরিক শাসনের অধীনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই নির্বাচন বৈধতা পায় কিভাবে? সেই নির্বাচনের মাধ্যমে যে পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছিল সেটি বৈধতা পেয়েছিল কিভাবে?

আর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের অন্যান্য নেতা এবং আইনজীবীরা প্রতিদিন তার স্বরে বলছেন যে, রায়ের বাইরে যে সব পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে সেগুলো এক্সপাঞ্জ করা হোক। তিনি বলেন, তারা আগে একটি তালিকা করুক, সেই তালিকায় থাকবে, কোন কোন পর্যবেক্ষণ এক্সপাঞ্জ করতে হবে বা বাদ দিতে হবে। সেগুলো তখন পরীক্ষা করা যাবে। কিন্তু সেই সাথে সাথে তখন এই দাবিও উঠবে যে এই রায় নিয়ে, এসব পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অন্যান্য বিচারপতিদের সম্পর্কে জাতীয় সংসদে এমপিরা যে সব আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন এবং যে সব বিষোদগার করেছেন সেগুলোও এক্সপাঞ্জ করা হোক বা বাদ দেয়া হোক।

দুই.
আমরা শুরু করেছিলাম এই আশঙ্কা নিয়ে যে দেশ কি একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে? সেই আলামত চারদিকে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছে। তা না হলে একজন আমলা কিভাবে প্রধান বিচারপতিকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করতে পারেন? তা না হলে কিভাবে সেই আমলা বিএনপিসহ বিরোধী দলকে সরাসরি তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতে পারেন? এই আমলা হচ্ছেন আইন সচিব আবুল সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। গত ১৭ই অগাস্ট প্রথম আলোতে এ সম্পর্কে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তার শিরোনাম হলো “বড় গলায় কথা বলবেন না, কারও রায়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি”। তিনি বলেছেন, ‘বড় গলায় কথা বলবেন না। কারও রায়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। জাতির জনককে অস্বীকার করা, তাঁর একক নেতৃত্বকে অস্বীকার করা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে অস্বীকার করার শামিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আদালত কোনো সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে) মামলা করেনি।’

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে আইন সচিব এসব কথা বলেন। আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নিবন্ধন পরিদপ্তরের কার্যালয়ে এই আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আইন সচিব আবুল সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বলেন, ‘কোনো আদালতের রায়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। কারও রায়েও হয়নি। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। ভাই মুক্তিযোদ্ধা। এক ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ। জাতির জনকের ডাকে তাঁরা যুদ্ধে যান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান এ দেশটার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে গেছেন।’
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক একজন প্রধান বিচারপতি, এ কথা উল্লেখ করে জহিরুল হক বলেন, ‘বড় গলায় কথা বলবেন না। একজন প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন একজন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। বিচার বিভাগকে কলুষিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আদালত কোনো সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে) মামলা করেননি। যাঁরা গণতন্ত্রের কথা বলেন, মুক্ত আলোচনার কথা বলেন’ তখন কোথায় ছিলেন বড় বড় বক্তারা?

আইন সচিব আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের দলটি যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন জঙ্গি হামলা হয় না। তখন গণতন্ত্রের মুক্ত বিকাশের আলোচনা হয় না। তাদের মিছিল মিটিংয়ে কিন্তু কোনো বোমা হামলা হয় না। আমি এই পদে থেকে এ কথা বলা ঠিক নয়, এমন কথা অনেকে বলবেন। আমি তো বলব, অবশ্যই ঠিক। আমাদের মধ্যে শত্রু ঢুকে পড়েছে, আমাদের সাবধান থাকতে হবে। জাতির জনককে অস্বীকার করা, তাঁর একক নেতৃত্বকে অস্বীকার করা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে অস্বীকার করার শামিল। এসব কিসের আলামত?’
আইন সচিব প্রশ্ন করেছেন, এসব কিসের আলামত? জনগণও পাল্টা প্রশ্ন করতে চায়, আপনারা যা বলছেন এবং করছেন সেগুলোই বা কিসের আলামত? আপনারা ধারাবাহিকভাবে প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতিদেরকে আক্রমণ করেই যাচ্ছেন। এক দিকে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে আপনি মাঠে নেমে পড়েছেন, অন্য দিকে আইন কমিশনের প্রধান হিসাবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকও মাঠে নেমেছেন। তিনি পর পর দুইটা সংবাদ সম্মেলন করলেন। প্রথম কথা হলো, তিনি যে পদে কাজ করছেন সেই পদে কাজের বিনিময়ে তিনি সরকারী কোষাগার থেকে বেতন পাচ্ছেন। জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে অর্থাৎ টেকনিক্যাল ভাষায় একটি লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি এভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন না। তেমন বেআইনি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি আরও বেআইনি কথা বলেছেন। পৃথিবীর কেউ কি কোথাও শুনেছেন যে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি বর্তমান প্রধান বিচারপতি অর্থাৎ সিটিং চিফ জাস্টিসের বিরুদ্ধে অপমানজনক ভাষায় কথা বলেন? তাও আবার শুধুমাত্র চিফ জাস্টিসই নয়, সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চ, অর্থাৎ আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতির জ্ঞান গরিমা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। মওদুদ আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিনসহ অনেক আইনজীবী মন্তব্য করেছেন যে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত বিচারপতি সম্পর্কে খায়রুল হক যেটি বলেছেন সেটি একদিকে যেমন চরম ধৃষ্ঠতা, অন্য দিকে আদালত অবমাননার শামিল। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও তিনি রীতিমতো দলবাজি শুরু করেছেন। আজ পর্যন্ত সরকারী বা বিরোধী দল যা করেনি তিনি তেমন একটি ঘৃণ্য কাজ করেছেন। ১৭ই অগাস্ট বৃহস্পতিবার তিনি যে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেখানে প্রথমে সব টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকার সাংবাদিককে দাওয়াত করা হয়েছিল। সকল সাংবাদিক যখন সেখানে জমায়েত হন তখন হঠাৎ করে তিনি ডিগবাজি মারেন। মাত্র চারটি মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়া অবশিষ্ট সমস্ত মিডিয়ার সাংবাদিকদের তিনি বের হয়ে যেতে বলেন। এই চারটি মিডিয়া হলো ‘৭১ টেলিভিশন’। এই টেলিভিশনটিকে মানুষ ‘জনকণ্ঠের’ ইলেক্ট্রনিক সংস্করণ বলে জানে। অপর মিডিয়া হলো দৈনিক জনকণ্ঠ। এটি কি সংবাদপত্র, নাকি আওয়ামী লীগের লিফলেট সেটি নিয়ে জনগণ বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। তৃতীয় মিডিয়া হলো ‘বিডিনিউজ২৪.কম’। এটি একটি কর্পোরেট গোষ্ঠীর অন লাইন মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রচার যন্ত্র। সর্বশেষ মিডিয়াটি হলো দৈনিক ‘প্রথম আলো’। প্রথম আলোকে বের করে দেয়ার সাহস খায়রুল হকের হয়নি। তাই প্রথম আলো সেখানে রয়ে গিয়েছিল।

৪র্থ সংশোধনীতে যেমন চারটি দৈনিক পত্রিকা রেখে অবশিষ্ট সবগুলো পত্রিকাকে বিলুপ্ত করা হয়েছিল, তেমনি ২০১৭ সালে চারটি মিডিয়াকে রেখে আর সবগুলোকে বের করে দেয়া হয়েছিল। দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের কথার প্রতিধ্বনি করে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে প্রশ্ন করছেন, দেশ কি একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে?

http://www.dailysangram.com/post/296760