২৭ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৫

ইউরোপের জন্য চিরকাল অপেক্ষা করবে না তুরস্ক -এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ইউরোপের দরজায় প্রবেশের জন্য তুরস্ক চিরকাল অপেক্ষা করবে না। যদি কিছু সদস্য দেশে ইসলামফোবিয়া বাড়তে থাকে এবং তারা যদি বৈরিতা অব্যাহত রাখে তাহলে তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশের আলোচনা থেকে সরে আসবে।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্টে ক্ষমতার পরিধি বাড়ানোর গণভোটে জয় পাওয়ার দুই সপ্তাহ পর এর‘দোগান এ সাক্ষাৎকার দিলেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা তুরস্ককে যে পর্যবেক্ষণের তালিকায় রেখেছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আঙ্কারা এই পদক্ষেপকে অনুমোদন করে না।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের পার্লামেন্টারি অধিবেশনে এর আগে বলা হয়েছিল, গত বছর ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর এরদোগান সরকার তুরস্কে ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। অধিবেশনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এরদোগানের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এরদোগান বলেছেন, ‘ইইউ তুরস্কের জন্য তাদের দরজা বন্ধ করছে কিন্তু তুরস্ক তার দরজা কারো জন্য বন্ধ করেনি।’ ইউরোপে প্রবেশের বিষয়ে উল্লেখিত ১৯৬৩ সালের আঙ্কারা চুক্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি গুরুত্বের সঙ্গে কাজ না করে তাহলে আমাদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। আমাদেরকে কেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে? আমরা ৫৪ বছর ধরে কথা বলছি। এদিকে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের সভাপতি যুহতু আরসালান বলেছেন, ১৬ এপ্রিল তুরস্কের গণভোটে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ একটি পরিপক্ক গণতন্ত্রেরই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এতে দেশের শতকরা ৮৫ ভাগেরও বেশি ভোটার অংশ নিয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।
সাংবিধানিক আদালতের ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার আঙ্কারায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণভোটে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়ে তুরস্কের গণতন্ত্রকে আরো বেশি পরিপক্ষ করেছে। যা তুরস্কের গণতন্ত্রের ইতিহাসে নতুন নজির স্থাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান, প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম, বিরোধীদলীয় নেতা কামাল কিলিকদারুগলুসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল তুরস্কে সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্যে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে ৫১.৪১ শতাংশ এবং ‘না’ এর পক্ষে ৪৮.৫৯ শতাংশ ভোট পড়ে। সরকারিভাবে আগামী সপ্তাহে এই ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
-

 

http://www.dailysangram.com/post/281498