২২ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার, ১০:৩০

ধর্মের নামে রাজনীতি

ড. আবদুল লতিফ মাসুম

‘মোল্লারা ধর্মের নামে রাজনীতির জিকির তোলে’। পাকিস্তান আমলে কথাটি মূলত উচ্চারিত হতো ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদ এবং আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের বিরুদ্ধে। বিগত ৫০ বছরে রাজনীতির অনেক ওলট-পালট হয়েছে। আপাতত বাংলাদেশে ধর্মের নামে রাজনীতির অভিযোগ আর মোল্লা-মৌলভীদের বিরুদ্ধে উচ্চারিত হচ্ছে না। দীর্ঘকাল ধরে যারা ধর্মনিরপেক্ষতার বয়ান করে আসছেন এখন অভিযোগের অঙ্গুলি তাক করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বক্তব্য, কার্যকলাপ ও কিছু প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। সমালোচকেরা বলছেন, এ যেন ‘ভূতের মুখে রাম নাম’। বাংলাদেশের প্রাথমিক সময়গুলোতে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় ফল ফলেছে উল্টো। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেশি বেড়ে যায়। একটি বই নিষিদ্ধ হওয়া মানে ভেতরে ভেতরে বইয়ের কাটতি বেড়ে যাওয়া। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়ে সেরূপ গোপনে গোপনে ‘মুসলিম বাংলার জিকির উঠেছিল সর্বত্র’। সে অভিযোগে ‘বন্দুকযুদ্ধে! সিরাজ শিকদার নিহত হন’। যা হোক, ধর্মের স্বাভাবিক স্বীকৃতি এসেছিল অস্বাভাবিক শাসকদের থেকে।
এখন আবার ‘ধর্মের নামে রাজনীতি’ ফিরে এসেছে। কোনো মোল্লাতন্ত্র অথবা সামরিকতন্ত্র এই বিতর্ক সৃষ্টি করেনি, বরং ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির দিকপালদের নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল ‘ইসলামী সমাবেশে’র আয়োজন করেন। দেশের ইমাম-আলেম-ওলামা-পীর-মাশায়েখরা এতে অংশ নেন। দোয়া করার জন্য আসেন পবিত্র মক্কা-মদিনার ইমাম ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কেবল ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করেছে, কিন্তু ইসলামের উন্নয়নে ও প্রসারে কিছুই করে যায়নি। দিল্লি সফর শেষে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদরাসার আলেম-ওলামাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে সরকারের ইতঃপূর্বে তোপের মুখে থাকা ব্যক্তিত্ব হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফী এবং সরকারের খয়ের খাঁ ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর ‘দাওরায়ে হাদিস’কে সরকার স্নাতকোত্তরের সমমান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত গ্রিক মূর্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা এখানে রাখা উচিত নয়।’ কয়েক মাস আগে হেফাজতে ইসলাম এবং অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত ইসলামবিরোধী বিষয়গুলো প্রত্যাহার করা হয়। এ ধরনের কার্যক্রমের সাথে সঙ্গতি রেখে এবারের বাংলা নববর্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় শোভাযাত্রা কর্মসূচি বাতিল করা হয়। কয়েক বছর ধরেই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এই শোভাযাত্রা করে আসছিল। মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বৈশাখী অনুষ্ঠানকে ‘অনৈসলামিক’ আখ্যা দেয়ায় আওয়ামী লীগ পয়লা বৈশাখের কর্মসূচি বাতিল করেছেÑ এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।

স্মরণ করা যেতে পারে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ২০০৬ সালে শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসের সাথে পাঁচ দফা চুক্তি করেছিল। যদিও বামপন্থীদের দাপটে সেই জোট টেকেনি। ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয় লাভ করে তখন ‘নেত্রীর মাথায় হিজাব, হাতে তসবি’Ñ এ ধরনের হাজার হাজার পোস্টার বিতরণ করা হয়। স্লোগান দেয়া হয়Ñ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ/নৌকার মালিক তুই আল্লাহ’। পঞ্চদশ সংশোধনীতে সরকার ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি পুনঃপ্রবর্তন করেন। সেই সাথে রাষ্ট্রধর্মও বজায় রাখেন। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল বিশেষত বাম রাজনৈতিক দলগুলো এই ‘দ্বৈততা’র সমালোচনা করে। এবারেও সরকারের ভেতরে ও বাইরে থাকা বামশক্তি সরকারের ‘ইসলামপ্রীতির’ তীব্র সমালোচনা করছে। দেশের বাম ঘরানার তাবৎ বুদ্ধিজীবী যারা এত দিন ধরে সরকারের প্রশস্তি গাইছিলেন তারা ভীষণ গোসসা হয়েছেন। প্রগতির নামে বরাবর সরকার সমর্থক গণমাধ্যমেও এ ব্যাপারে ভিন্নমত লক্ষ করা যাচ্ছে। তারা সংবাদভাষ্য, অভিমত, সম্পাদকীয় ও টকশোসহ সব আলোচনায় সরকারের পদক্ষেপগুলোর সমালোচনা করছে।
দেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা সংস্কার ছাড়াই কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতিদানে সরকারের সমালোচনা করেন। তারা অভিমত প্রকাশ করেন, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হয়। কিন্তু দাওরায়ে হাদিসের সমমান বাস্তবায়নে কমিটি করা হলেও কোন কর্তৃপক্ষ সনদ দেবে তা স্পষ্ট নয়। মাদরাসা-সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ মনে করেনÑ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি পৃথক অনুমোদনকারী বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করা যেতে পারে। বুদ্ধিজীবীদের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বীকৃতি দিতে গিয়ে প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে মানা হয়নি।’ অপর দিকে, কওমি মাদরাসাভুক্ত একটি মহল মনে করে সরকারের অনুমোদন বা স্বীকৃতি নেয়া অনুসৃত দেওবন্দ নেসাবের বিপরীত। ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের শিক্ষার ধারায় কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণের বিরোধী। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ বিবিসি জানায়, দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ মাদরাসাটির আধুনিকায়নে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ কোটি রুপির অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই মাদরাসার অধিকর্তার বক্তব্য হলো, ‘দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতারাই এই বিধান করে গেছেন, কারণ সরকারের টাকা নিলে তাদের কথাই শুনতে হবে, আমরা আমাদের স্বাধীনতা হারাব।’ তবে সাম্প্রতিক সমঝোতার ক্ষেত্রে আল্লামা শফী কোনো আপস বা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেননি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। অপর দিকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নামের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এই সমঝোতার বিরোধিতা করছে। আওয়ামী লীগপন্থী বলে পরিচিত এই গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রামে কওমি মাদরাসার শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের আহ্বান জানান।

সরকারের এ ধরনের সমঝোতা ও স্বীকৃতি ‘ধর্মের নামে রাজনীতি’ বলে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক চলছে। একটি বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০১৮-এর শেষ নাগাদ অথবা ২০১৯-এর প্রথমে যে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেটি লক্ষ্য করেই এ ধরনের বিষয় ঘটছে। এই বিশ্লেষণে বলা হয়, পরিসংখ্যান বলে, এ দেশের জনগণের মধ্যে বাম ধারার জনসমর্থন খুবই কম। জাতীয় নির্বাচনে সর্বসাকুল্যে তাদের ভোট ১ শতাংশ অতিক্রম করে না। অপর দিকে, ইসলামপন্থীদের বিরাট গণসমর্থন রয়েছে। সব দল মিলে তা হবে প্রায় ১৬ শতাংশ। সুতরাং আওয়ামী লীগকে বাধ্য হয়ে এ ধারায় আসতে হয়েছে। দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, ‘যারা এটি করছে তারা ভাবছে এর মাধ্যমে নির্বাচনে তাদের সমর্থন পাওয়া যাবে।’ সমঝোতার লক্ষ্য সম্পর্কে রাখ-ঢাক করেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সমঝোতাটি সাময়িক ও কৌশলগত’। তার ভাষায় ‘আমরা বাংলাদেশের ৭০ হাজার কওমি মাদরাসার ছাত্রছাত্রীদের অবজ্ঞা করতে পারি না।’ সমঝোতার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের রাজনীতির বাস্তবতা হচ্ছে, জনগণের অনুভূতি ও আবেগের সাথে সঙ্গতি রেখে যারা বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তারাই এ দেশে সত্যিকারের প্রগতিশীল। বাস্তবতা থেকে প্রগতি বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। আমরা তো হেফাজতের আদর্শের সাথে কোনো আপস করেনি।’ শিক্ষা পরিসংখ্যান বিভাগের হিসাব মতে, দেশে কওমি মাদরাসার সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। উল্লেখ্য, দেশে গৃহীত সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির ভোটের ব্যবধান ৫ শতাংশ বেশি নয়।

হেফাজতের সাথে সখ্য ও সমঝোতার এ সম্পর্কে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক দল লোক মনে করেন, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের সাথে যে আচরণ আওয়ামী লীগ করেছে তা সহজে ভোলার নয়। মৃতের সংখ্যা হাজার হাজার নাকি শত শত সেই বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, সরকার যে শক্তি প্রয়োগের নির্মমতা প্রদর্শন করেছে তা নজিরবিহীন। ওইসব বিয়োগান্ত ঘটনার পরে গণভবনে আল্লামা শফীর উপস্থিতি বেদনাদায়ক। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী আল্লামা শফী সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেনÑ ‘আমি তাকে বলতে চাই, তিনি কি কোনো মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেননি? তিনি কি সেই মাকে সম্মান করেন না? তার কি স্ত্রী বা কোনো বোন নেই?’ জনগণের অপর অংশ মনে করে, জাতীয় নির্বাচন কিংবা যেকোনো সময়ে আওয়ামী লীগ ধর্ম নিয়ে অপপ্রচারের শিকার। তাই আদর্শ ঠিক রেখে সাময়িক কৌশলের আশ্রয় নেয়া যেতেই পারে। আরো যুক্তি দেখানো হয়, বিএনপি-জামায়াত যাতে হেফাজতকে নির্বাচনে ব্যবহার করতে না পারে সে লক্ষ্যে তাদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা ইতিবাচক। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে এ সমঝোতার নেতিবাচক বক্তব্যও রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বেশির ভাগ শরিক মনে করে ‘ধর্মীয় এই গোষ্ঠীর ভোট কখনোই আওয়ামী লীগের বাক্সে যাবে না। তাই হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করার দরকার ছিল না।’ তরিকত ফেডারেশন মনে করে, ‘এর মাধ্যমে ১৪ দল বা সরকার কোনো কিছু অর্জন করতে পারবে না।’ বাম ঘরানার নেতারা মনে করেন, ‘সরকারের কৌশলের কারণে উগ্রধর্মী ও গোষ্ঠী আশকারা পাবে’।

এক সময় ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সংশ্লিষ্টতার কারণে বিএনপিকে ধর্মের নামে রাজনীতির জন্য গালমন্দ করা হতো। সাম্প্রতিক পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি সুযোগ পেয়েছে আওয়ামী লীগকে ‘ধর্মের নামে রাজনীতি’ করার অভিযোগ তোলার। বিএনপি নেতৃত্ব মনে করে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাথায় রেখেই হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর সাথে ‘ভোটের রাজনীতি’ করছে আওয়ামী লীগ। এ জন্যই তাদের দাবি পূরণে উদ্যোগী হয়েছে। তারা আরো মনে করে, আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা হারিয়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীকে তুষ্ট রেখে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করতে চাইছে। তাই তাদের ‘ন্যায্য ও অন্যায্য সব দাবি মেনে নিচ্ছে সরকার’। বিএনপির আরো বক্তব্য, যখন কোনো সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা থাকে না তখন সে সরকার মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন সরকারকে নানাভাবে, নানা শ্রেণী-গোষ্ঠীকে তুষ্ট করার দায় পড়ে। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটা শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক স্বার্থে করছেন। তারা যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেনÑ এসব তার সাথে সাংঘর্ষিক।’ দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলেছেন।

উপরোল্লিখিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ একটি দ্বৈততা অতিক্রম করছে। এটি বিস্মৃত হওয়ার কোনো কারণ নেই যে, ১৯৪৯ সালে যখন আওয়ামী লীগের জন্ম হয় তখন তার সাথে মুসলিম শব্দটি সংযোজিত ছিল। একজন বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলেছেনÑ আওয়ামী লীগ কি তাহলে পঞ্চাশের দশকে ফিরে যাচ্ছে? কারা ‘ধর্মের নামে রাজনীতি’ করছে? রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলেÑ ক্ষমতাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতাকেই তাদের উদ্দেশ্য-বিধেয় মনে করে। ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতা সংহতকরণের জন্য তারা যেকোনো কৌশল বা জনরঞ্জন নীতি অবলম্বন করেন। হেফাজতের সাথে তাদের আপসরফা বা কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি শুধুই কি ক্ষমতায় থাকার কৌশল নাকি আন্তরিকÑ ভবিষ্যৎই তা প্রমাণ করবে।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/213949