১০ এপ্রিল ২০১৭, সোমবার, ৯:১৫

ভারত বাংলাদেশের চুক্তি ও সমঝোতা

তিস্তায় হতাশা প্রতিরক্ষায় কৌতূহল

ওদেরটা নগদ নগদ হচ্ছে, আমাদের সবই বাকির খাতায় থেকে যাচ্ছে - মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম * আমরা কিছুই পাইনি - আ স ম আবদুর রব * প্রাপ্তির পাল্লা ভারতের দিকেই ভারি - ড. তারেক শামসুর রেহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি অনেকটা শূন্য বলে মনে করেন রাজনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন বাংলাদেশের এক নম্বর এজেন্ডা। কিন্তু এ নিয়ে কোনো চুক্তি সম্পাদিত না হওয়ায় এ সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তিকে নিষ্ফল দেখা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তারা আরও মনে করেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দূর করা, টিপাইমুখে ভারতের বাঁধ নির্মাণ ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা নিয়েও কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি এ সফরে। এসব ইস্যু বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এককথায় বলতে গেলে, এ সফরে তিস্তা চুক্তি রয়ে গেছে হতাশার জালে বৃত্তবন্দি। আর প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক নিয়ে সবাই এক রকম অন্ধকারে। তাই এ বিষয়ে কৌতূহল আরও বাড়ছে।


অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেছেন কেউ কেউ। তারা বলেন, পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক হলেও দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুসংহত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারকার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে। এ সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গতিশীল এবং বেগবান হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক, মহাকাশ, সাইবার ইস্যুতে বাংলাদেশ এবং ভারতের সমঝোতার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, আগামী বিশ্ব গড়তে এ চুক্তি এবং সমঝোতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রচলিত প্রথা ভেঙে নয়াদিল্লি পালাম বিমানঘাঁটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ সময় শেখ হাসিনার হাতে ফুল দেয়ার ছবি টুইট করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।’ সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার ভারতের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দরাবাদ হাউসে দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরের অর্জন নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা বিশ্লেষণ থাকলেও তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় সবাই চরম হতাশা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রূপরেখাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নিয়ে অনেকে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে কেউ কেউ বলেন, যেহেতু বিষয়টি সম্পর্কে দেশের সবাই এক ধরনের অন্ধকারে রয়েছে তাই জনস্বার্থে সরকারের উচিত হবে এর পুরো বিষয়টি খোলাসা করা। এ ছাড়া অন্যান্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিশ্লেষকদের অনেকের মধ্যে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। কেউ কেউ মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, আণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, পরমাণু নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতার মতো সমঝোতা স্মারককে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখতে চান।

ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক শামসুর রেহমান এর সারমর্ম মন্তব্য ছিল বেশিরভাগই গতানুগতিক। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ সরকারকে সাধুবাদ দিতে চান।

তার মতে, তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি হতাশার হলেও এই সফর নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক, মহাকাশ, সাইবার প্রভৃতি বেশকিছু ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া চুক্তির নানা দিক নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন কয়েকজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই সফরের মধ্য দিয়ে আমরা কী পেলাম? আমরাতো কিছুই পেলাম না। ভারতের টাকায় ভারত থেকে অস্ত্র কিনতে হবে- এটাতো কৈয়ের তেলে কৈ ভাজা। এই চুক্তির কোনো অর্থ নেই।’ সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের মতে, পরিস্থিতি এমন যে ওদেরটা ‘নগদ নগদ’ হচ্ছে, আমাদেরটা ‘বাকির খাতায়’ থেকে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে সাবেকমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের রোববার যুগান্তরকে বলেন, ‘দেশের মানুষ তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় হতাশ। তবে আশার কথা হচ্ছে, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে যৌক্তিক আশ্বাস পাওয়া গেছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ আশ্বাস চায় না, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়। চায় ন্যায্য পানির হিস্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রূপরেখা’ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়েছে। এই রূপরেখায় কী রয়েছে তা জানি না। সরকারের বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত হবে। এ ছাড়া মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা, আণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা, পরমাণু নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে- যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক দিক। জিএম কাদের আরও বলেন, ‘আমরা আশা করব দ্রুত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করার মধ্য দিয়ে ভারত যে আমাদের প্রকৃত বন্ধু তার প্রমাণ দেবে।’

এ প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে আমরা কিছুই পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম চুক্তি করতে হলে তার আগে দেশের মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হোক, জনগণের মতামত নেয়া হোক, জনগণ কী চায়- তা আমলে নেয়া হোক, কিন্তু তা করা হয়নি।’ আসম আবদুর রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- এই সফরের মধ্য দিয়ে আমরা কী পেলাম? আমরাতো কিছুই পেলাম না।’ প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ তিস্তায় পানি চায়, গঙ্গার পানি চায়, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ হোক- তা চায়। কিন্তু এসব দাবি আদায় হল না। এমনকি এ নিয়ে একটি কথাও হল না। তাহলে এই সফরের অর্থ কী?’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ঝুলে থাকা সমস্যা অনেক। কিন্তু এই সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। আমাদের ঝুলে থাকা সমস্যা দিন দিন পাহাড়সম হচ্ছে। আমাদের চাওয়া পূরণের বিষয়টি মৌখিক প্রতিশ্রুতির ভেতরেই আবদ্ধ থাকছে। কিংবা বাকির খাতায় থেকে যাচ্ছে। কিন্তু ভারত চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগদ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে পাটের টাকায় তারবেলা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তখন আমরা বক্তৃতায় বলতাম, তারবেলায় (পশ্চিম পাকিস্তানের) সবই হয়। আমার (পূর্ব পাকিস্তানের) বেলায় সবই বাকি। এখনকার পরিস্থিতিও একই রকম।’

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি তিস্তার পানি। অভিন্ন নদীর পানি। এই পানির ওপর বাংলাদেশের অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে আছে। কিন্তু পানি পাওয়ার নাম নেই। দেশের মানুষকে এক সফর থেকে আরেক সফর পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়, কিন্তু পানি পাওয়ার বিষয়টি বছরের পর বছর ঝুলে আছে।’ তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানি না পাওয়ায় বাংলাদেশকে হুমকির মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’ সিপিবির সভাপতি বলেন, ‘আমরাও বন্ধুত্ব চাই। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু ভারতকে মনে রাখতে তিস্তাকে উপেক্ষা করে এই বন্ধুত্ব বেশিদূর এগিয়ে নেয়া যাবে না। লেবু বেশি চিপলে যেমন তিতা হয়ে যায়, তেমনি তিস্তার পানি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা করলে বন্ধুত্বে সম্পর্ক তেতো হয়ে যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে ভারতের স্বার্থই বেশি সংরক্ষিত হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ভারতের প্রাপ্তির পাল্লাই অনেক বেশি ভারি। আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রাপ্তি খুবই কম।’ তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানিপ্রাপ্তির বিষয়টি ছিল আমাদের এক নম্বর দাবি। এটা হল না। কবে এই চুক্তি হবে, তাও অজানা।’

ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, ‘এ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ওপর ভরসা রাখার কোনো অর্থ নেই। তিনি বারবার বাংলাদেশকে বিভ্রান্ত করছেন। তাই পানিবণ্টন চুক্তি করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরই ভরসা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের ২৫৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারই যে কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষমতা রাখে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরই এ ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’

ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, ‘পানি নিয়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক দরবারে যাওয়া যায় কিনা, তা ভাবতে হবে। কারণ পানির ওপর আমাদের স্বার্থ সবচেয়ে বেশি জড়িত।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের টাকায় ভারত থেকে অস্ত্র কেনা হবে। কী অস্ত্র কেনা হবে, কী ধরনের অস্ত্র আমাদের প্রয়োজন, তা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। কারণ এটা তারাই ভালো বুঝবেন। তবে কলকাতা এবং খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় এখানকার মানুষ উপকৃত হবে। এবারের সফরে এ চুক্তি বা সমঝোতার বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তা চুক্তি হবে। কিন্তু তা না হওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক। তবে তিস্তা চুক্তি না হলেও আগামী বিশ্ব গড়তে এ চুক্তি এবং সমঝোতার বিষয়টি আমাদের এগিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত এ সফরে ‘বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রূপরেখা’ সংক্রান্ত সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৌশলগত ও ব্যবহারিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, জাতীয় নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও কৌশলগত শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা। এছাড়া উল্লেখযোগ্য অন্যান্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা, আনবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা, পরমাণু নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতা, বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সহযোগিতা, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রুনিক্সের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটি) ও ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (সিইআরটি-ইন) মধ্যে চুক্তি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণ সহায়তা সমঝোতা, মোটরযান যাত্রী চলাচল (খুলনা-কলকাতা রুট) নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তি, ‘তৃতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশকে সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার বিষয়ে সমঝোতা প্রভৃতি।

http://www.jugantor.com/first-page/2017/04/10/116461/