৯ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ১০:৫৮

মারাত্মক পরিস্থিতির দিকে করোনা সংক্রমণ

# পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনসহ আরও কিছু নির্দেশনা আসছে

ইব্রাহীম খলিল: দেশব্যাপী করোনা মহামারি আবারও মারাত্মক রূপ নিচ্ছে। তবে দেশের জেলা শহরগুলোর তুলনায় মহানগরগুলোর করোনা সংক্রমণের বেশির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে উদ্বেগজনক হারে। যা দেখে মনে হচ্ছে, ঢাকায় দ্রুতই ভয়ংকর রূপ নেবে করোনা। বিশ্বে একদিনে ২৭ লাখ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বাস-ট্রেন-লঞ্চসহ সব পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিগগিরই নির্দেশনা আসছে। দোকানপাট রাত ৮টার পর বন্ধের ঘোষণা দেয়ার চিন্তা-ভাবনাও চলছে। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ মনে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধেরও চিন্তা করা হবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সকল হাসপাতাল ও নার্স-চিকিৎসকরা সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

দেশে করোনা শনাক্তের হার চারশ’ গুণ বেড়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাস-ট্রেন-লঞ্চসহ সব পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিগগিরই নির্দেশনা আসবে। দোকান-পাট রাত ৮টার পর বন্ধের ঘোষণা দেয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ মনে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধেরও চিন্তা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া বাইরে গেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে। দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই এখনো অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। কল-কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে। এই পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলো পুনরায় প্রস্তত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডেল্টার মতো ওমিক্রনও মেকাবিলা করা হবে। তবে রোগী ধারণ ক্ষমতার বেশি হলেই সমস্যা হবে। সেই সমস্যা এড়াতে সবাইকে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। চলমান ইউপি নির্বাচনসহ শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়ম না মানলে দেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হবে।

দেশে প্রায় তিনমাস পর আবারও দ্রুত গতিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৯ জনে। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও এক হাজার ১১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ২০৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ১৯ হাজার ২৭৫ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫৪ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৮ জন। এর আগে, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ১৪৬ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়। করোনা সংক্রমণের দৈনন্দিন তালিকায় দেখা যায়, গত ১ জানুয়ারি সারা দেশে ৩৭০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। যার মধ্যে ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৩২৭ জন। মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে ৬ জানুয়ারি এই সংখ্যা গিয়েছে পৌঁছেছে সারা দেশে ১,১৪০ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৮ জন। কিন্তু শুধু ঢাকা মহানগরেই আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯৫০ জন। ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশব্যাপী আক্রান্ত শনাক্ত মাত্র ১৯০ জন! যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ঢাকায় করোনা সংক্রমণের হার পাঁচগুণ বেশি!

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, গত ২ জানুয়ারি দেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৫৭ জন যার মধ্যে ঢাকায় ৪৮৫ জন। এরমধ্যে শুধু মহানগরেই আবার আক্রান্ত শনাক্ত ৪৭৭ জন। ৩ জানুয়ারির বুলেটিনে জানা যায়, সেদিন সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৬৭৪ জন, যারমধ্যে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৮০ জন। এরমধ্যে শুধু মহানগরে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে ৫৬৮ জনে পৌঁছায়।

ঠিক এর একদিন পর ৪ জানুয়ারি সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন ৭৭৫ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৬৫৫ জন। কিন্তু শুধু ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৭ জনে পৌঁছায়।

এর পর গত বুধবার দেশব্যাপী আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৮৯২ জন। ঢাকা মহানগরেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৩ জন। কিন্তু একদিন পরই এই সংখ্যা একলাফে হাজার ছাড়িয়ে যায়। সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ৫ জানুয়ারি করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হলেও ৬ জানুয়ারি তা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে গত ৬ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিনই আগের দিনের তুলনায় বাড়ছে এবং এই বৃদ্ধির হার সমগ্র দেশের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ।

এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার পর এখনো স্বাভাবিক হয়নি পাঠদান কার্যক্রম। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে সপ্তাহে মাত্র এক দিন করে চলছে শিক্ষাদান। করোনায় তৈরি হওয়া সেশনজট কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ইতোমধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সশরীরে পাঠদান বন্ধ করেছে। এতে আরও আতঙ্ক বেড়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলে গণরুম ছাড়াও নির্ধারিত আসনের বেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। তাই এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরাও। এদিকে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এক বক্তব্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। গত সোমবার সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সংক্রমণের হার ক্রমে বাড়ছে।

যদি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ক্লাস কমাতে হয়, কমিয়ে দেব। বন্ধ করার প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেব। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মার্চের আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের চলমান সূচি বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।

কারণ, গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। তাই আপাতত ক্লাস বাড়ানোর ঝুঁকি নেবে না সরকার। বর্তমানে শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস চলছে। এদিকে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে স্বাভাবিকভাবে ক্লাস চললেও কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমে জোর দিয়েছে।

তথ্যমতে, জানুয়ারিতে এসে গত এক সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়েছে করোনা শনাক্তের হার। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে জোর দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমেও। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে (১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী) শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। এদের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছে ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৮ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪১৭ জন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান জানান, জাবি প্রশাসন সিন্ডিকেটে সশরীরে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। কোনো সিদ্ধান্ত পেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ২৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছিল। তারপর রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই গণহারে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়েছিল। এ ছাড়া বর্তমানে স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার পথ উন্মুক্ত রয়েছে। সব মিলে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছে।

বিশ্বজুড়ে একদিনে ২৭ লাখ সংক্রমণের রেকর্ড
এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি সারা বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন লাখো মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হচ্ছে। দুই দিন আগে সর্বোচ্চ ২৬ লাখ শনাক্তের রেকর্ড হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। গত একদিনে প্রায় ২৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে। নতুন সংক্রমিতদের নিয়ে এই সংখ্যাটা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৬৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৫০০ জনের কিছু কম। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৫ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৪১ হাজার ৭০৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৮১ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ২৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬ কোটি ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৬ জন মারা গেছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে লাখের ঘর। এই দেশগুলো হলো- ফ্রান্স নতুন আক্রান্ত ৩ লাখ ২৮ হাজার ২১৪, মৃত্যু ১৯৩; যুক্তরাজ্য নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০, মৃত্যু ২২৯; ভারত নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪, মৃত্যু ১৫; স্পেন নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০০, মৃত্যু ১৫; আর্জেন্টিনা নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৩৩, মৃত্যু ৪২ এবং ইতালি নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৩০৪, মৃত্যু ২২৩।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৯০০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ৭৩৫, মৃত্যু ৭৮৭, তুরস্কে আক্রান্ত ৬৩ হাজার ২১৪, মৃত্যু ১৫৭, জার্মানিতে আক্রান্ত ৫৯ হাজার ৩৯৩ এবং মৃত্যু ২৮৪।

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৬ জন। তাদের মধ্যে কোভিডের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ২২৮ জন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৯৩ হাজার ১২৮ জন।

https://dailysangram.com/post/476911