৯ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ১০:৫৪

নানা বাধায় পর্যটনবান্ধব হতে পারছে না বাংলাদেশ

মুহাম্মদ নূরে আলম : ২০২০ সাল ছিল করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত একটি বছর যা ২০২১ সালে এসেও বিশ্ববাসীকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলেছিল। সারাবিশ্বে করোনা মহা মারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হলো পর্যটন শিল্প। যা বাংলাদেশেও করোনা মহামারির ধাক্কা লেগেছে এইখাতে। এই করোনা অতিমারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং বাংলাদেশেও ২৮ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের পর্যটনশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে আশা অনেকেরই। বাংলাদেশে নানা পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও মূলত কক্সবাজার কেন্দ্রিক পর্যটকই বেশি। সারা বছরে পর্যটন খাত যে সফলতা অর্জন করেছে তা বছর শেষে ম্নান করে দিয়েছে কক্সবাজারে নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনা। নানা বাধায় দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখনও পর্যটনবান্ধব হয়ে উঠেনি। তাই করোনা মহামারিতে আরও গভীর সংকটে পড়েছে দেশের পর্যটন খাত। বন্ধ হয়েছে অসংখ্য ট্যুর ও ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠান। অনিশ্চয়তার দোলাচলে এই খাতসংশ্লিষ্ট প্রায় ৪০ লাখ জনশক্তি। এর মধ্যে চার লাখের বেশি চাকরি হারিয়েছেন। মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না অনেকে। যারা বছরের পর বছর ক্রমবর্ধমান এই খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন, তাদের অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছেন। কেউ আবার দিন গুনছেন সুসময়ের। এক বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) লোকসান হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও নানা কারণে এখনো গতি পায়নি পর্যটন।

পর্যটনশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তিন ধাপে ১৬ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। তবে বছরের মাঝামাঝিতে করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছিল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এরফলে পর্যটকের পদচারণায় পুরনো রূপে ফিরে যায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এতে চাঙ্গা হয় পর্যটনশিল্প। প্রতি বছর এ খাত থেকেই দেশের মূল অর্থনীতিতে যোগান হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। কক্সবাজার, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, সিলেট, সুন্দরবন, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে যেন মায়াবী হাতছানি। পর্যটন মৌসুম ছাড়াও এসব এলাকায় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক ঘুরে বেড়ান সারা বছর। দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, পাহাড়-পর্বত, ঝিরি-ঝর্ণা, লেক, নদী আর পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে আনন্দের পাশাপাশি অপরূপ প্রকৃতি অবলোকন করে পর্যটকেরা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬০ কোটি। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুলসংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোতে। বাংলাদেশ যদি এ বিশাল বাজার ধরতে পারে তাহলে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি। কিন্তু ৯ বাধার কারণে পর্যটনবান্ধব হতে পারছে না বাংলাদেশ। এ জন্য নানা উদ্যোগের কথা বলা হচ্ছে। পর্যটন শিল্পের জিডিপিতে প্রত্যক্ষ অবদানের ভিত্তিতে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অবস্থান ১৪২তম। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি দিয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।

যে ৯টি বাধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে-প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাইরে পর্যটন উপযোগী উল্লেখযোগ্য ও উপযোগী উপাদানের অভাব। এই খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতা, সড়ক, নদীপথ, রেল ও বিমান যোগাযোগের নিরাপদ ও উপযুক্ত মানের পর্যটন উপযোগী পরিকল্পিত ও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার অনুপযোগিতা ও অপর্যাপ্ততা, পর্যটন দৃষ্টিকোণে সঠিক বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণে উপযুক্ত প্রচারণার অভাব, পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধকরণে দেশের গণমাধ্যমের (প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম) আন্তরিক সংশ্লিষ্টতা ও যথাযথ উদ্যোগের অভাব, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা, পর্যটন শিল্প খাতটির সঠিক উপলব্ধি, মানসিকতা ও ধারণার অভাব, পর্যটন খাতে নিযুক্ত জনবলের মানসিকতা, পর্যাপ্ত জ্ঞান ও পেশাদারিত্বের অভাব। সেই সঙ্গে পর্যটন বিষয়ক সঠিক, উপযুক্ত শিক্ষিত ও মননের মানুষের অপর্যাপ্ততা, প্রান্তিক পর্যায়ে ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, ব্যক্তি পর্যায়ে প্রদত্ত সেবা, পণ্যের বিপরীতে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যমান আদায়ের প্রবণতা, হয়রানিমূলক আচরণ সেই সঙ্গে সার্বিক নিরাপত্তাহীনতা, আন্তর্জাতিক ভাষাজ্ঞানসহ এ খাতের উপযোগী অন্যান্য ভাষাজ্ঞান সমৃদ্ধ জনবলের অপর্যাপ্ততা। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে এই খাত থেকে প্রায় ৭৬.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বার্ষিক আয় করে। অথচ সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, ভারতে পর্যটন খাত থেকে আয়ের পরিমাণ ১০,৭২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মালদ্বীপে ৬০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ৩৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পাকিস্তানে ২৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নেপালে ১৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুতরাং সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। পর্যটন শিল্পের সবটুকু সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আদর্শ হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-পর্যটন শিল্প বিকাশের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছি। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ যেখানে এই শিল্পের ওপর নির্ভর করে অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা স্থবির হয়ে আছি। সিঙ্গাপুরের জাতীয় আয়ের ৭৫ শতাংশ, তাইওয়ানের ৬৫ শতাংশ, হংকং এর ৫৫ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৫০ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩০ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে।

মালদ্বীপের অর্থনীতির বেশির ভাগই আসে পর্যটন খাত থেকে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ৭ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, ২০২৪ সালে মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে পর্যটন খাতের অবদান দাঁড়াবে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সেক্টর, যেমন পরিবহন, হোটেল, মোটেল, রেস্তরাঁ, রিসোর্ট, এয়ারলাইন্স ও অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম থেকে পৃথিবীর অনেক দেশ প্রতি বছর প্রচুর রাজস্ব আয় করে, যা অন্য যেকোনো বড় শিল্প থেকে পাওয়া আয়ের চেয়ে বেশি। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) এক প্রতিবেদনে উঠে আসে পর্যটন খাতের ভয়াবহ চিত্র। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে জিডিপিতে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়। ২০২০ সালে জিডিপিতে ৫৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে, যা ২০১৯ সালে ছিল ৮০ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে লোকসান ২৬ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। অর্থনীতিতে খাতটির অবদান হ্রাস পেয়েছে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পে ১৮ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। ২০২০ সালে তা কমে ১৪ লাখে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় কর্মসংস্থান কমেছে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর বিশ্বভ্রমণ ও পর্যটন খাতটি গত বছর প্রায় সাড়ে ৪ ট্রিলিয়ন বা সাড়ে ৪ লাখ কোটি ডলার লোকসান করেছে। বিশ্বে এই খাতের প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন পর্যন্ত ট্রাভেল এজেন্সি এবং পর্যটনসংশ্লিষ্ট খাতে সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা। অপরদিকে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা)-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনায় ছয় মাসে বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প ৯ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার টার্নওভার ঝুঁকিতে পরে। এই ক্ষতির এই বিবরণীর সঙ্গে দিনদিন যুক্ত হচ্ছে পর্যটনশিল্পের বিভিন্ন উপখাত। ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।

ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর সভাপতি রাফিউজ্জামান বলেন, পর্যটনের সব উপখাত মিলে করোনায় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। হোটেল-মোটেল দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এখন অভ্যন্তরীণ পর্যটন শুরু হওয়ায় আমাদের স্টেকহোল্ডাররা কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ লাখ লোক কাজ করেন। যারা দীর্ঘ সময় এই খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। প্রতিবছর ৫ লাখের বেশি বিদেশি ট্যুরিস্ট বাংলাদেশে আসেন। এখন ৭৮৫টি প্রতিষ্ঠান আমাদের এই সংগঠনের সদস্য। আমাদের পুরো প্রক্রিয়ায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে করোনায়। গত বছরেই আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হবে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি। বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের আহ্বায়ক রাশেদুর রাশেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মহামারিতে পর্যটন পেশাজীবী থেকে বিনিয়োগকারী লাখ লাখ লোক আশাহত অবস্থায় আছে। গত বছর প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরুর পর সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত দেড় বছরে পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, ট্রান্সপোর্ট, ট্যুর অপারেটরস, ট্রাভেল এজেন্সিসহ পর্যটনের ৪১টি খাত বন্ধ ছিল। বেকার হয়েছে লাখ লাখ পর্যটন শ্রমিক, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিনিয়োগকারী। দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মক্ষেত্র পর্যটন খাতে প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটনকর্মী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় দুই কোটি মানুষ করোনাকালে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আশাফুদৌলা আশিক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যটনকর্মীরা ভয়াবহ সংকটে আছে। যারা পর্যটনশিল্পে শ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে এই খাতের বিকাশে ভূমিকা রাখছে, তাদের অনেকেই মহামারিতে এই খাত ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং যারা পর্যটন সেবায় নিয়োজিত। এখন পর্যটক আসছে, আমরা আবার স্বপ্ন দেখছি, জীবিকা হারানো মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যাত্রী ধীরে ধীরে বাড়ছে। প্রায় ৮০ শতাংশ যাত্রী আমরা পাচ্ছি। বাংলাদেশ থেকে এখনো ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। তাই বিদেশগামী পর্যটকরা এখন দেশেরই বিভিন্ন গন্তব্য বেছে নিচ্ছেন। তাই অভ্যন্তরীণ পর্যটন উন্নয়ন করার বিশাল সুযোগ এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোয়েব-উর-রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির পরও এ সংকট থেকে পর্যটনশিল্পের উত্তরণে সময় লাগবে। কারণ ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। তবে আশার দিক হলো, করোনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছি, দেশের মানুষের মধ্যে ভ্রমণের প্রবণতা অনেক বেশি। ফলে পর্যটন ব্যবসা গতি ফিরে পাবে-এ কথা বলাই যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এবং এভাবে চলতে থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ১৯৩টি দেশের মধ্যে ২৫ নম্বর অর্থনৈতিক দেশ হবে। বাংলাদেশের জিডিপি এখন ৪০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি যা ২০৩৫ সাল নাগাদ ১ হাজার দুইশত বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। উন্নত বিশ্বের কাছে এ রকম বিস্ময়কর বা নাটকীয় উত্থানের মূলে রয়েছে বিনিয়োগবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব।

https://dailysangram.com/post/476909