কিছুটা কমে আবারও বাজারে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। গত এক মাসের ব্যবধানে আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্যটির দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা; আর মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও তেজকুনিপাড়াসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেজিপ্রতি ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। এক মাস আগে এটি পাওয়া যেত ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।
ভোক্তারা বলছেন, কয়েকদিন পর পরই ব্যবসায়ীরা নানা কারণ দেখিয়ে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ান। দাম বাড়ানোর কারণের কোনো অভাব নেই।
কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগির দোকানে মাইন উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা সমকালকে বলেন, উৎপাদন পর্যায়ে দাম পাঁচ টাকা বাড়ালে খুচরা পর্যায়ে আসতে আসতে সেই পাঁচ টাকা পরিণত হয় ৫০ টাকায়। এতে সব সময় ঠকছেন সাধারণ মানুষ। পণ্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে বাজারে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান জানান এই ক্রেতা।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির দৈনিক বাজার দরের তথ্যেও দেখা গেছে মুরগির দাম বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যানুযায়ী, গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ১৮০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত।
অথচ এক বছর আগেও ব্রয়লারের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা। সেই হিসাবে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে পণ্যটির।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি দোকানদার রুবেল হোসেন বলেন, শীতকালে বিয়েশাদি, পিকনিক ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ নানা আয়োজন থাকে। এ কারণে এ সময় ব্রয়লারের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সেই তুুলনায় ব্রয়লারের সরবরাহ বাড়ছে না। তাই দামে প্রভাব পড়েছে।
তেজকুনি পাড়ার ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা সামসুল আলম জানান, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়লে খুচরা বাজারেও দাম বাড়ে। তাছাড়া শীতের সময় কিছু মুরগি মরেও যায়। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে ব্রয়লার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি জাতের মুরগির। ব্যবসায়ীরা এই ধরনের মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। মাসখানেক আগে ক্রেতারা এ জাতের মুরগি কিনতে পারতেন ২৫০ থেকে ২৭০ টাকার মধ্যে।