সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ওলামা-মাশায়েখ মহাসম্মেলনের কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় যানজটের নগরীতে পরিণত হয় ঢাকা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় লোকজনকে। বেশ কয়েকটি সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে ছুটতে দেখা গেছে কর্মজীবীদের। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গাড়ি পাননি। অনেকের যানজটে কাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ছিল ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন।
আয়োজকরা আড়াই হাজার যানবাহনে সমাবেশে উপস্থিতি ঠিক করেছিল। সে লক্ষ্যে আগের দিনই ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) দুটি রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি ২৫টি স্থানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে নগরবাসীকে সতর্ক করেছিল। তবে রমনা এলাকায় সকাল থেকে ডাইভারশনের কথা থাকলেও তা করা হয় দুপুরে। তারপর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি দেখা যায়। তবে পূর্বঘোষিত ২৫টি স্থানের সবগুলোতে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। সন্ধ্যায় সব সড়ক খুলে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টায় হোটেল রূপসী বাংলা এলাকায় রাস্তায় বের হয়ে দুর্ভোগে পড়েন আবদুর রহমান নামে এক চাকরিজীবী। ডাইভারশনের কারণে তিনি আধঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো গাড়ি পাননি। অগত্যা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
শফিকুল ইসলাম নামে একজন তার বোনকে নিয়ে দুপুর ১টায় ধানমন্ডি থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠেন। এলিফেন্ট রোডে পৌঁছান দু’ঘণ্টা পর বিকাল ৩টায়। যানজটে নাকাল হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তারা।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে গতকাল বিকাল পৌনে ৩টায় জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে পলাশী, চানখারপুল, রূপসী বাংলা হোটেল, কাঁটাবন ও বাংলামোটর এলাকায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। তবে রাজধানীর উত্তরা, এয়ারপোর্ট এলাকার সড়কগুলোতে খুব একটা যানজট দেখা যায়নি। রাস্তা কিছুটা ফাঁকা দেখা গেছে।