৭ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার, ৯:১৭

আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব : কৃষিতে চরম বিপর্যয়

বসন্তে বর্ষার আবহ। আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা আর দিনভর বৃষ্টি যেন আষাঢ়ের রূপ। প্রকৃতির এই বৈরী আচরণে কৃষিতে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। চৈত্রে হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের আসাম-মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট-সুনামগঞ্জ নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের অনেক হাওড়ের ফসল তলিয়ে গেছে। অসময়ে পানির প্রভাবে দুর্ভোগ ও দুর্দশার মধ্যে দিন কাটছে এসব এলাকার কৃষকদের। এ ছাড়া অসময়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সারাদেশে আলু, তরমুজ, কাঁচা মরিচ ও শাক-সব্জিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বৈশাখের আগেই অনেক স্থানে কালবৈশাখীর হানা, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতেও ফসল এবং ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই অসময়ের বৃষ্টি এবং ভারতের পানিতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন তলিয়ে গেছে। অথচ এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করেছিল কৃষক। তাদের চোখে ছিল স্বপ্ন, মুখে ছিল হাসি। কিন্তু হঠাৎ গত ৩০ মার্চ থেকে এমন ভারী বৃষ্টিপাতে সব স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। কৃষকের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বাকি জমিরও ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। সরকারের কৃষি বিভাগের অসমর্থিত সূত্র মতে, অতিবৃষ্টির কারণে দেশের হাওরসহ নিম্নাঞ্চলের বোরো আবাদে প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতিতে পড়েছেন কৃষকরা। হাওড় অঞ্চলের দুই লাখ চল্লিশ হাজার হেক্টর জমির ফসল ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। 

কিছুদিন আগেও চৈত্রের দারুণ খরায় খাঁ খাঁ করছিল দেশ। দেশের প্রায় প্রতিটি নদীর তলদেশ ছিল শুকনো। সেই শুকনো নদীতেই এখন থৈ থৈ পানি। এই চৈত্রেই এখন উত্তাল সুরমা-কুশিয়ারা, বিষনাই, মগড়া এসব নদী। এ ছাড়া পিয়ান, জাফলং, সারিগোয়াইন, যদুকাটা, চ্যালা এসব নদী পানিতে থৈ থৈ। অসময়ে টানা বৃষ্টি, উজানের পাহাড়ি ঢল ও বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের হাওর অঞ্চল। এছাড়া অসময়ের বৃষ্টিতে সারাদেশের কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় আলু, তরমুজ, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশে বৃষ্টিপাতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯১ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে (অপর এক সূত্র মতে, ২ লাখ ৫১ হাজার হেক্টর)। এ মাসের মাঝামাঝি থেকে বোরো ধান কাটা শুরু হবে। কিন্তু হঠাৎ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কৃষকদেরকে বিপাকে ফেলেছে। একই সঙ্গে চলতি বছরে বোরো ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে। তারপরও সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিতে ধান কাটার পূর্ব পর্যন্ত সকল বোরো জমি নিবিড় পর্যবেক্ষণও পরিচর্যার মধ্যে রাখার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তা থেকেই পাহাড়ি ঢল ধেয়ে আসছে বাংলাদেশে। এতে বেড়েছে সুরমা, কুশিয়ারসহ কয়েকটি নদীর পানি। এছাড়া অসময়ে দেশে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পোষাতে অধিদপ্তর থেকে পৃথক ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশে ১০ হাজার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষককে সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এ বছর দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি নির্দেশনা দিবেন। সে অনুযায়ী কাজ হবে। একই সঙ্গে বাঁধ ভাঙা হাওরবাসীর হাহাকার সম্পর্কে বলেন, হাওরকে বাঁচাতে হবে। এসব এলাকায় আউশ এবং আমন ধানের চাষ করার বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪০ বছরে হাওর এলাকায় চৈত্রের শেষে এমন বৃষ্টি হয়নি। ভারী বৃষ্টি আর না হলে পানি কমতে শুরু করবেÑ এমন পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত আটদিনে বৃষ্টি হয়েছে ১২শ’ মিলিমিটার আর আসামের শীলচরে হয়েছে পাঁচশ ২৫ মিলিমিটার। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে। গত ৩০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ৪৪৫ মিলিমিটার, কানাইঘাটে ৩৩৪ ও সুনামগঞ্জে ৩১৫। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বৈশাখের আগে এমন বৃষ্টি অস্বাভাবিক। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বৃষ্টিপাত কমছে। তাই নদীর পানিও আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের সাতটি বিভাগের প্রতিটিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি ঝরছে। সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে, যার পরিমাণ ছিল ৩৭৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার। এখানে স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ১২০ মিলিমিটার। বিশেষজ্ঞরা জানান, এ বছর পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব ছিল। এ কারণে বৃষ্টি প্রচুর পরিমাণে হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় প্রতি বছর। তবে আগামী বছর ২০১৮ সালে বৃষ্টি পরিমাণ যে বেশি হবে, সেটি নিশ্চিত নয়। তবে এবার অসময়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে।
ফসলি জেলা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের কৃষকরা লাইফ সাপোর্টে। জেলার ৪ ভাগের তিন ভাগ ফসলই ডুবে গেছে। যেটুকু রয়েছে, তাও ঝুঁকির মধ্যে। অসময়ে বর্ষণে সুনামগঞ্জর বোরো ফসল হারিয়ে কৃষকরা সর্বস্বান্ত। মহাজন জোতদারদের হাত থেকে বাঁচার তাগিদে দিশাহারা হয়ে পড়ছে তারা। এখানকার কৃষকরা বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণ থেকে বাঁচাতে বিশেষ বরাদ্দসহ জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। কৃষকরা জানান, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ৮০ ভাগ হাওরের বাঁধ ভেঙে একমাত্র বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি অন্যান্য ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরম দুর্ভোগ-দুর্দশায় পড়েছেন জেলার ১৫ লাখ কৃষক। দিশেহারা কৃষকরা বাঁধ রক্ষায় ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দিন-রাত বাঁধেই কাটাচ্ছেন। কেউ বা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। এক ফসলি জেলা সুনামগঞ্জের কৃষকদের বাঁচার সকল অবলম্বন হাওরকে ঘিরেই। অথচ বাঁধ ভেঙে তাও ডুবে গেছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে কৃষকরা। গত কয়েকদিন থেকে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে পাউবো, পিআইসি ও সিন্ডিকেট ঠিকাদারদের শাস্তির দাবিতে মিছিল ও উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে।
সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, ১৯৭৭ সালের পর চৈত্র মাসের শুরুতে জীবনে এরকম দুর্যোগ আর দেখিনি। এ মাসের শেষদিকে ধান তোলার কথা ছিল। এবার একমুঠো ধানও তোলার উপায় নেই। এর মধ্যে প্রান্তিক কৃষকরা সুদে মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ এনে চাষ করায় তারা ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সবাই প্রকৃত কৃষকদের তালিকা করে দ্রæত পুনর্বাসন সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। এই কৃষকরা নতুন করে কৃষিঋণ প্রদানেরও আহŸান জানান।
সূত্র মতে, ভারী বৃষ্টিপাতে হাওরে পানি বেড়ে যাওয়ায় মৌলভীবাজার জেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। কৃষকরা হাহাকার করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আরো নতুন নতুন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিলেটের বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) এলাকায় টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ¯্রােতে ভেসে গেছে বানিয়াচং উপজেলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ধান। সরকারি হিসেবে টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় শত কোটি টাকার উপরে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ক’দিন থেকে টানা বর্ষণে, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গোলাপগঞ্জসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকা জুড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সুরমা-কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনের ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে। শুধু বৃষ্টি নয়, শিলা-বৃষ্টির কারণে রোপা আমন ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এদিকে সিলেটের বালাগঞ্জে হাওরগুলোর ষোলআনা ফসলের ওপরে এখন থৈ-থৈ পানি। বছরে একটি মাত্র বোরো ফসলে হাওর এলাকার কৃষকদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করতে হয়। বসন্তের অতিবৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে বালাগঞ্জ উপজেলার হাওরগুলো। হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাতারাতি তলিয়ে গেছে উপজেলার প্রায় ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমির স্বপ্নের সোনার ফসল। সিলেটের গোয়াইনঘাটে টানা ভারি বর্ষণ কিছুটা কমলেও বন্যা ভয়াবহতা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সিলেটের গোয়াইনঘাটে সবকটি হাওর, নিম্নাঞ্চলে বোরো ফসলের ৮০ ভাগেরও বেশি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে হঠাৎ ভারী বর্ষণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আলু, তরমুজ, কাঁচামরিচ, শাক-সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে তরমুজ আবাদ করেছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক। কিন্তু অসময়ের ভারি বর্ষণে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলায় তরমুজের জমি প্লাবিত হয়। জমিতে পানি জমে থাকায় বেশির ভাগ ফল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে।
অনেকে মাঠ থেকে তরমুজ তুলতেই পারেননি, আবার কেউ আরো বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় কম ক্ষতি হওয়া জমি থেকে অপরিপক্ব তরমুজ তুলে ফেলেছেন। ফলে এবার আবাদ বাড়লেও দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে ভালো মানের তরমুজের যথেষ্ট অভাব থাকছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কৃষি মন্ত্রণালয় চলতি মৌসুমে সারা দেশে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে শুধু বরিশাল অঞ্চলের ছয় জেলায় ৩৫ হাজার ২৯১ হেক্টরে এ রসালো ফলের আবাদ হয়েছে। কিন্তু গত ১০-১২ মার্চের তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় অর্ধেক জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বলে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের ধারণা।
বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ওমর আলী শেখ জানান, এ অঞ্চলে আবাদকৃত ৩৫ হাজার ২৯১ হেক্টর জমির তরমুজের প্রায় ৩২ শতাংশ ক্ষতির কবলে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ১১ হাজার ২৫৫ হেক্টর।
এছাড়া তরমুজের চেয়েও দক্ষিণাঞ্চলে আলুর অবস্থা আরো খারাপ। ভোলাতে এক আলু চাষি ফসলের ক্ষতি সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অসময়ে ভারি বর্ষণে ওখানকার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, বেশিরভাগ আলুই আর জমি থেকে তোলা সম্ভব হয়নি। অনেক চাষির আলু টানা বৃষ্টিতে পচন ধরে জমিতেই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেক চাষিই জমি থেকে আলু তোলারও সাহস করেননি। কারণ এতে শ্রমিকের মজুরির অর্থও উঠবে না।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বলেন, আমি আজই (গতকাল) বিকালে সিলেট থেকে এসেছি। ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়। কুশিয়ারা ও সন্ধ্যা নদীর পানি ৬ ইঞ্চি কমেছে। পানি দ্রæত কমে যাচ্ছে। পানি এভাবে কমতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণও কমে আসবে। তবে হাওরের এসব জমিতে ২ লাখ ৪০ হাজার টন চাল পাওয়া যেত। এতে প্রায় ৭২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

https://www.dailyinqilab.com/article/73529/